ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয় ২০২৪

যারা ব্লগার রয়েছেন তাদের অবশ্যই ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখতে হবে। যদি আপনি ব্লগিং ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ব্লগিং থেকে ইনকাম করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয় এই সম্পর্কে জানতে হবে। আর এই বিষয়টি নিয়েই আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

একজন ব্লগারের অবশ্যই ব্লগিং ওয়েবসাইট কি বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে তাহলেই সেই ব্যক্তি ব্লগিং করে সাকসেসফুল হতে পারবে। ব্লগিংয়ে সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই ব্লগিং সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা ও জ্ঞান থাকতে হবে। তাছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় ব্লগিং করে ইনকাম হয় না, ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায় বিষয়টি নিয়ে আজকে বিস্তারিত জানাবো। আজকের আর্টিকেলটিতে থাকছে ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয় সম্পর্কে। 

ভূমিকা | ব্লগিং কি

ব্লগিং কি এই বিষয়টি অনেকেই ভালোমতো জানেন না, তাই এখন ব্লগিং সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। মূলত ব্লগিং ওয়েবসাইটে লেখালেখি করা কি ব্লগিং বলা হয়ে থাকে। আরেকভাবে বলা যায় ব্লগিং সাইটে কনটেন্ট লেখালেখি করে ইনকাম করাকে ব্লগিং বলা হয়।

আপনার যদি লেখালেখি করার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি সেই বিষয়টি নিয়ে ব্লগিং ওয়েবসাইটে লেখালেখি করতে পারেন। আর এই লেখালেখি করার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। ব্লগিং সাইটে টাকা ইনকাম করার জন্য বিজ্ঞাপন দেখাতে হয়। আর বর্তমানে বিজ্ঞাপন দেখানোর বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।

আপনার ইচ্ছামত বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম গুলো নির্বাচন করে সেগুলো ব্যবহার করে ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার যদি কনটেন্ট লেখালেখি করা দক্ষতা থাকে তাহলেই ব্লগিং করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আজকের পাঠের মূল আলোচ্য বিষয় হলো ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়। এই সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পুরোটি পড়ুন।

ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম 

যারা ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম জানতে হবে। ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করার কিছু নিয়ম রয়েছে। ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

  • প্রথমে আপনাকে টপ লেভেলের ডোমেইন ক্রয় করতে হবে। আপনি চাইলে ডোমেন ও হোস্টিং ক্রয় করে ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
  • এছাড়াও হোস্টিং ছাড়া ব্লগার ডট কম ফ্রিতেই কম খরচে ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
  • এরপর ব্লগিং সাইটে কনটেন্ট আপলোড করতে থাকবেন। আপনি যদি নিজেই আর্টিকেল রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন কনটেন্ট লিখে ব্লগিং সাইটে পাবলিশ করুন।
  • পাঠকগণ পছন্দ করে এমন ধরনের আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন। তাছাড়া সুন্দর ভাষায় ভালোভাবে আর্টিকেল লিখলে পোস্ট রাংকে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 
  • আপনার আর্টিকেলটি পড়ে যাতে পাঠক উপকৃত হয়ে সেই বিষয়ের দিকের খেয়াল রেখে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন।
  • আপনি যে বিষয়টিতে দক্ষ সেই বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করুন। আর প্রতিদিন অবশ্যই আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটটিতে পাবলিশ করবেন।
  • আর্টিকেলটি অবশ্যই এসইও সম্পূর্ণ হাই কোয়ালিটির হতে হবে। তাই প্রথমেই অন পেজ এসিও ও অফ পেজ এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবেন এবং জ্ঞান লাভ করবেন।
  • ব্লগিং সাইটের নীতিমালা অনুযায়ী কন্টেন্ট লেখালেখি করবেন।
আরো পড়ুনঃ  ২০২৪ সালে নগদ একাউন্ট খুললে কত টাকা বোনাস পাওয়া যায়?

এভাবে ব্লগিং সাইট তৈরি করে নিয়ম লেখালেখি করে নির্দিষ্ট সময়ের পর গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স ছাড়াও বর্তমানে আরো বিভিন্ন উপায়ে ব্লগিং সাইট মনিটাইজেশন করে টাকা উপার্জন করা যায়।

ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়

আপনাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগে থাকে ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে কত টাকা আয় করা যায়, ব্লগিং ওয়েবসাইট কিভাবে খুলতে হয় ও ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়। এই সকল বিষয় নিয়েই আমরা এখন আপনাদের বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

আপনি যদি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন তাহলে সাথে সাথেই টাকা আয় করতে পারবেন না। ব্লগিং একটি ধীরস্থির প্রক্রিয়া, অর্থাৎ আপনি ব্লগিং সাইটে কাজ করে ধীরে ধীরে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মূলত ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করা সময়ের ব্যাপার।

আরো পড়ুনঃ টাকা আয় করার বাংলাদেশি ওয়েবসাইট

আরো পড়ুনঃ মাসে 5 লক্ষ টাকা ইনকাম করার উপায়

ব্লগিং ওয়েবসাইটে আপনার কাজ করার সময় যত বেশি হবে আপনি তত টাকা ইনকাম বেশি করতে পারবেন। ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ডোমেন ও হোস্টিং ক্রয় করতে হয় যা আমরা ইতিমধ্যে জেনে এসেছি। সকল কিছু ঠিকঠাক থাকলে ব্লগিং ওয়েবসাইটে নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হয়। ব্লগিং ওয়েবসাইটে প্রথম দিকে হয়তো আপনি ভিজিটর পাবেন না।

ধীরে ধীরে আর্টিকেল সংখ্যা বাড়তে থাকলে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়তে থাকবে। ব্লগিং ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ৫০টি আর্টিকেল থাকলে এবং সাইটে প্রতিদিন ১০০ এর বেশি ভিজিটর আসলে গুগল এডসেন্স আবেদন করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স আবেদন করে অনুমোদন নিয়ে ব্লগিং সাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

তাহলে বুঝেই গেলেন ব্লগ থেকে আয় করার জন্য গুগল এডসেন্সের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়। গুগল এডসেন্স আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেখাবে এবং এর বিনিময়ে আপনি টাকা পাবেন। যদি আপনার সাইটে ভিজিটর সংখ্যা বেশি হয় তাহলে ইনকাম বেশি হবে, তাই সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন বেশি বেশি আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

আপনার লেখালেখি যত ভালো হবে এবং কনটেন্ট এর গুণগতমান ভালো হলে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়তে থাকবে। এভাবে আপনি ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়িয়ে গুগল এডসেন্স থেকে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে গুগল এডসেন্স ব্যতীত অন্যান্য অ্যাড নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন করে টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে।

অন্যান্য বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম গুলো গুগল এডসেন্সের মতো আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দিয়ে থাকবে। তবে মনে রাখবেন ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স। গুগল এডসেন্স থেকে সহজেই বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যায়।

আরো পড়ুনঃ  উপায় একাউন্ট খোলার নিয়ম-উপায় একাউন্ট দেখার নিয়ম ২০২৫

তাই আপনার যদি ব্লগিং সাইট থাকে তাহলে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজেশন করুন। তাছাড়া আপনি চাইলে অন্যান্য বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মনিটাইজেশন নিয়ে আয় করতে পারেন। নিম্নে অন্যান্য অ্যাড নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

গুগল এডসেন্স

আপনি যদি ব্লগিং সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই গুগল এডসেন্স আবেদন করতে পারেন। সর্বপ্রথম আপনাকে ব্লগিং সাইটে google adsense approval এর জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ্যাড দেখানো প্ল্যাটফর্ম হল গুগল এডসেন্স।

আপনার ইউটিউব চ্যানেল থাকলেও আপনি ইউটিউব চ্যানেলটি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজেশন নিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ঠিক একইভাবে ব্লগিং সাইটেও গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে মনিটাইজেশন নিতে হয়। আপনি যদি ব্লগিং সাইট থেকে বেশি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই গুগল এডসেন্স ব্যবহার করবেন।

আর গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি সারা জীবন ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিশ্বের অ্যাড নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো গুগল এডসেন্স। আপনি যদি ব্লগিং থেকে আজীবন টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে বিশ্বস্ত এই গুগল এডসেন্স মনিটাইজেশন আবেদন করতে পারেন। বিশ্বস্ততার দিক দিয়ে গুগল এডসেন্স সবার উপরে।

আর গুগল এডসেন্স থেকে আপনি সহজেই পেমেন্ট সহ বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই আমার মতে আপনি যদি ব্লগিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করুন। ব্লগিং ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ১০০+ ট্রাফিক থাকলে গুগল এডসেন্স আবেদন করতে পারবেন। আর আপনার কনটেন্টগুলো অবশ্যই google এডসেন্সের নীতিমালা মেনে চলতে হবে, তাহলেই সহজেই গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে ব্লগিং সাইট থেকে সারাজীবন টাকা আয় করতে পারবেন। 

Adsterra – এ্যাডস্ট্রা

বর্তমানে ব্লগিং সাইট থেকে টাকা আয় করার আরেকটি অন্যতম উপায় হলো অ্যাড্রেসটা। এটিও এক প্রকার এড নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম। এই অ্যাড্রেসটার মাধ্যমে আপনি নিজের ব্লগিং সাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। শোনা যাচ্ছে এই প্লাটফর্মটি থেকে সহজেই এপ্রুভাল পাওয়া যায়।

অনেকেই আছে বর্তমানে এই ধরনের অ্যাড নেটওয়ার্ক গুলো ব্যবহার করে ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করছে। এগুলোতে খুব সহজে আবেদন করে এপ্রুভাল পেতে পারেন। এভাবে এই এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেও ব্লগিং সাইট থেকে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেতে পারেন। 

Media Vine

বর্তমানে ব্লগ সাইট থেকে টাকা আয় করার আরেকটি এড নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম হল Media Vine। আপনার ইতিমধ্যে জেনেছেন ব্লক থেকে টাকা আয় করার জন্য গুগল এডসেন্সের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়। google এডসেন্স পেতে হলে অনেক নিয়ম কানুন মেনে কাজ করতে হয়। তাদের কন্ডিশন অনুযায়ী কাজ করলে সহজেই গুগল এডসেন্স অনুমোদন পাবেন।

তবে যারা এপ্রুভাল পাবেন না তারা চাইলে এই ধরনের অ্যাড নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম গুলোতে এপ্রুভাল নিয়ে কাজ করতে পারেন। এই প্লাটফর্মটিও google এডসেন্স এর মতো অ্যাড দেখিয়ে ক্রিয়েটরদের টাকা প্রদান করে থাকে। তবে আপনি যদি বেশি টাকা আয় করতে চান তাহলে গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিন।

মনিট্যাগ – Monitag

ব্লগিং সাইট থেকে টাকা ইনকাম করার আরেকটি উপায় হল মনিট্যাগ। মনি ট্যাগ মূলত একপ্রকার বিজ্ঞাপন কোম্পানি। এই প্লাটফর্মটিতে সহজেই আবেদন করে এপ্রুভাল পাওয়া যায়। আপনি যদি গুগল এডসেন্সে অ্যাপ্রুভাল না পেয়ে থাকেন তাহলে এই Monitag এড নেটওয়ার্ক কোম্পানিতে এপ্লাই করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  নগদ একাউন্ট খোলার নিয়মাবলী,নগদ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম ২০২৪

এখানে আপনি apply করলে খুব সহজেই অনুমোদন পেয়ে যাবেন। তবে এখানে ইনকাম কম হয়ে থাকে, কিন্তু বেশি টাকা ইনকাম করতে হলে প্রচুর ভিজিটর ওয়েব সাইটে আনতে হবে। যদি বেশি ভিজিটর আনতে পারেন তাহলে এই অ্যাড নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মে এপ্লাই করতে পারেন। বর্তমানে আরো কিছু অ্যাড দেখানোর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমনঃ

  • Media.net
  • Ad Thrive
  • EZoic
  • Propeller Ads
  • Advertica

ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়

ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। তাই আমরা এখন এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি যদি একজন ফুল টাইম প্রফেশনাল ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে ব্লগিং করে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে প্রফেশনাল ব্লগার না হয়ে থাকলে প্রতি মাসে 10 থেকে 20 হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ব্লগিং ওয়েবসাইটে ইনকাম নির্ভর করে সাধারণত ভিজিটরের উপর। আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভিজিটর বেশি থাকে তাহলে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি ব্লগিং ওয়েবসাইটে কি ধরনের কনটেন্ট রয়েছে তার ওপর নির্ভর করেও ইনকাম বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি কান্ট্রি অনুযায়ী , ব্লগিং পোস্ট এর সিপিসি অনুযায়ী ইনকাম কম বেশি হতে পারে। তাছাড়া ব্লগিং সাইটে দেখানো বিজ্ঞাপনে ক্লিকের উপরনির্ভর করেও ওয়েবসাইটের ইনকাম দেওয়া হয়ে থাকে।  তবে ব্লগিং সাইটে যদি বেশি ভিজিটর আসে তাহলে ইনকাম বেশি হবে।

মূলত যত ভিজিটর বৃদ্ধি করতে পারবেন তত ইনকাম বৃদ্ধি পেতে থাকবে। প্রাথমিক অবস্থায় আপনি গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিয়ে ব্লগিং সাইট থেকে প্রথমদিকে হয়তো ভিজিটর অনুযায়ী 10 থেকে 15 হাজার টাকা ইনকাম হতে পারে। তবে সময়ের সাথে সাথে ট্রাফিক সংখ্যা বাড়তে থাকলে ইনকাম বেশি হতে থাকবে। আর মনে রাখবেন ব্লগ থেকে আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়। আর গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়ে গেলে আপনি ওয়েবসাইট থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

শেষ কথা

ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয় এই সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত তথ্য জানাতে সক্ষম হয়েছি। আপনি হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন ব্লগ থেকে আয় করার জন্য গুগল এডসেন্সের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়ে থাকে। সর্বপ্রথম আপনারা google এডসেন্স আবেদন করবেন।

গুগল এডসেন্স অনুমোদন পেলে আপনি অনায়াসেই অনলাইন থেকে দীর্ঘদিন ধরে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশি অর্থ উপার্জন করতে হলে গুগল এডসেন্সের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

আপনি যদি সঠিকভাবে আর্টিকেল লেখালেখি করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে পারেন তাহলে গুগল এডসেন্স থেকে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। আশা করছি আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হয়েছেন। বন্ধুদের বা পরিচিতদের ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয় সম্পর্কে জানাতে আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। 

Leave a Comment