মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের নিবন্ধনের মাধ্যমে জেনে নিন। অনেকেই আপনারা বাড়িতে বেকার বসে থাকেন, বাড়িতে অযথা সময় নষ্ট না করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার জনপ্রিয় উপায় গুলো জেনে ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইনে ইনকাম করার বহু উপায় রয়েছে। উপায় গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে যদি কাজ করেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে সক্ষম হবেন। বিশ হাজার টাকা কিভাবে আয় করা যায় তার উপায় জানতে নিম্নের আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
বর্তমানে অনেক যুবক চাকরি না পাওয়ার কারণে বাড়িতে বেকার বসে থাকে। যার ফলে দেশে প্রতিনিয়ত বেকারত্ব সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আপনারা যারা বসে আছেন তারা সারাদিন সময় নষ্ট না করে অনলাইন এর মাধ্যমে ঘরে বসে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে বহু যুবক ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে, এছাড়াও তারা ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি আরো অনেক উপায় অবলম্বন করে টাকা আয় করছে। আপনারাও আয় করতে পারবেন শুধু তার জন্য আয়ের সঠিক পথগুলো সম্পর্কে জানা অবশ্যক।
কোন কোন উপায়ে আপনি আয় করতে পারবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলে আশা করি ইনকাম করতে পারবেন। সঠিক গাইডলাইন ও পরিশ্রম ছাড়া কখনোই ইনকাম করা সম্ভব নয়, তাই ইনকাম করতে হলে অবশ্যই সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করুন এবং পরিশ্রম করুন।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বর্তমানে ডিজিটাল যুগে অনেকেই অনলাইন থেকে ইনকাম করার চেষ্টা করে থাকে, কিন্তু সকলেই ইনকাম করতে পারেনা। তার অন্যতম কারণ হলো সঠিক গাইডলাইন না জানা। এছাড়াও অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য কিছু স্কিল থাকতে হয়।
যদি আপনার নির্দিষ্ট স্কিল থাকে তাহলেই আপনি অনলাইন থেকে ব্যাপক পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে স্কিল এর অভাবে অনলাইনে আয় করতে পারে না, তাদেরকে বলব আপনারা স্কিল প্রথমে শিখুন এবং সঠিক উপায় ও গাইডলাইন মেনে চলুন।
প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের কাছে অনুরোধ রইল আপনারা ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। তবে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার জনপ্রিয় উপায় গুলো।
- ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
- ফেসবুক পেজ থেকে মাসে ২০ হাজার আয়
- ব্লগিং করে মাসে টাকা আয়
- অনলাইন ট্রেডিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
- এসইও করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
- ভিডিও এডিটিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
- মোবাইল সার্ভিসের দোকান দিয়ে আয়
- ফলের ব্যবসা করে আয়
- ফুলের দোকান দিয়ে টাকা আয়
- ডে কেয়ার সেন্টার খুলে আয়
- আর্টিকেল রাইটিং করে আয়
- ওয়েব ডিজাইন করে মাসে আয়
- গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম
- অনলাইনে শিক্ষকতা করে আয়
- ট্যুর গাইড হয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা
- অনলাইনে বই বিক্রি করে আয়
ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
বর্তমানে অনলাইন থেকে সবচেয়ে ইনকাম করার সহজ মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে মাসে বিশ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। এটি একটি মুক্ত পেশা,
যেখানে সকলেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী স্কিল অনুযায়ী কাজ করে ইনকাম করতে পারবে। মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করা খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। শুধুমাত্র বুদ্ধি খাটিয়ে ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করলেই আপনি মাসে বিশ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০০০০ টাকা আয় করার উপায়
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে আপনি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে হলে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বিভিন্ন অনলাইন কোর্স অথবা অফলাইন কোর্স করতে পারেন।
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়
বর্তমানে অনলাইনে আয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হচ্ছেন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন মানুষ। ২০৩০ সালের মধ্যে মার্কেটপ্লেস এ ফ্রিল্যান্সিং এর ইনকাম ১০০% বেড়ে যাবে বলে আশা করা যায়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার লক্ষ্য নির্বাচন করতে হবে।
যে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন না গ্রাফিক্স ডিজাইন করবেন। সেটা পুরোপুরি আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করবে। আপনি যদি এই দুইটির মধ্যে থেকে একটি বেছে কাজ করেন তাহলে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং এবং নিজের ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন একটি সেক্টরে কাজ করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আপনার যোগ্যতা দেখাতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। তাই আপনি যদি অনলাইনে আয়ের উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
মাসে ২০ হাজার টাকার আয়ের অন্যতম উপায় হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মার্কেটিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানুষ। শুরুতেই বলি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংটা কি। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে আমাদের সবার যোগাযোগের একটি সামাজিক মাধ্যম। আর এই যোগাযোগের মাধ্যম দিয়ে আপনি আপনার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের মার্কেটিং করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন পণ্য ও সেবা প্রচার করতে পারবেন। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয় এবং প্রচার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার একটি প্রোডাক্টের ছবি এবং প্রোডাক্ট এর বিভিন্ন তথ্য দিয়ে দিবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ এগুলো দেখবে এবং প্রোডাক্টগুলো ক্রয় করবে। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেট হিসেবে যে platform গুলো বেছে নিবেন। যেমন, facebook, youtube, twitter, instagram এবং tiktok ইত্যাদি প্লাটফর্মের মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য এবং বিভিন্ন খবর প্রচার করে মার্কেটিং করতে পারবেন।
এক কথায় বলতে গেলে এগুলোকে মূলত সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বলে। মূলত এই প্লাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন এবং ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। সর্বশেষ বলি ঘরে বসে না থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন।
ফেসবুক পেজ থেকে আয়
আপনারা চাইলে ফেসবুক পেজ থেকে অনলাইন থেকে খুব সহজেই মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। ফেসবুক পেজে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে খুব সহজে অনলাইন থেকে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া ফেসবুক পেজে প্রমোশনাল কনটেন্ট ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমেও আয় করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
এই ফেসবুক থেকেই আপনারা প্রতি মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। সেই ফেসবুক পেজে আপনি ফলোয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে বিভিন্নভাবে আয় করতে পারবেন ।
ব্লগিং করে মাসে আয় উপায়
বর্তমানে আয় করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং করা। এটি একটি সহজ এবং স্মার্ট পেশা ইনকাম করার জন্য। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে সেখানে আপনি ব্লগিং করে প্রচুর আয় করতে পারবেন। তার জন্য থাকতে হবে আপনাকে ব্লগিং সম্পর্কে জ্ঞান। বর্তমানে ব্লগিং শেখার অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে মূলত ব্লগিং সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান দেওয়া হয় এবং টাকা ইনকাম করার পথ দেখানো হয়।
ব্লগিং মূলত আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকবে সেখানে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো যে কোন বিষয় নিয়ে লিখতে পারবেন। আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে পোস্টগুলো মানুষ পড়লে আপনার ইনকাম হবে। এর জন্য অবশ্যই ব্লগিং কিভাবে করতে হয় এবং কিভাবে করা যায় তা সম্পর্কে জানতে হবে।
অনলাইন ট্রেডিং মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
বর্তমানে অনলাইন ট্রেডিং করে আয় করা জনপ্রিয় একটি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রেডিং করার জন্য কিছু দক্ষতা ও এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হয়। তবে আপনাকে এখানে মূলত আগে ইনভেস্ট করতে হয়। আপনারা যারা ইনভেস্ট করতে চান তারা অনলাইন ট্রেডিং প্লাটফর্মে ইনভেস্ট করতে পারেন। তবে আগে থেকে বলে রাখছি ট্রেডিং করার জন্য ভালোভাবে ধারণা ও জ্ঞান থাকতে হবে ,
তা না ছাড়া আপনারা ট্রেডিং করে আয় করতে পারবেন না। আর যদি আপনার ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনি মাসে অনায়াসে ৫০ হাজার টাকার উপরে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ইউটিউবে ফ্রিতে ট্রেডিং শেখা যায়। আপনারা সেখান থেকেই ফ্রিতে ট্রেডিং শিখতে পারবেন।
এসইও করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন তাহলে এসিও আপনার জন্য সেরা হবে।আপনি ওয়েবসাইট এসইও করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। এখানে মূলত ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে তুলতে হয়। একে এসইও বলা হয়। বর্তমানে এই সেক্টরের কাজের চাহিদা বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আপনারা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে বর্তমানে বিদেশীরা এ ধরনের কাজ বেশি করিয়ে থাকে।
আপনি যদি এসইও সেক্টরে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অতি সহজেই মাসে বিশ হাজার টাকার উপরে আয় করতে পারবেন। আপনারা চাইলে এসইও বিনামূলাই শিখতে পারবেন। বর্তমানে ইউটিউবে এসইও সম্পর্কে বিভিন্ন ফ্রি কোর্স দেওয়া থাকে সেগুলো আপনারা করতে পারেন।
তাছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এসইও কোর্স করিয়ে থাকে তাদের কাছ থেকে শিখতে পারেন। আর ভালোমতো শিখে আপনারা অনলাইন থেকে অতি সহজেই আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল এ ভিডিও আপলোড করে আয় করা। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে সেখান থেকে আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে ওই ভিডিও মানুষকে দেখিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
তবে অবশ্যই এই আয় করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্রাফিক বা ভিজিটর আপনার চ্যানেলে দরকার হবে। তারপর ইউটিউবের নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে অনায়াসে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং করে টাকা আয়
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করে কোন ব্যাপার না বরং এর থেকে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। কম বেশি সকল ডিজিটাল কোম্পানি এই ভিডিও এডিটিং করার ক্লায়েন্ট খুঁজে থাকে। যাতে করে ভিডিও এডিট করে মার্কেটিং করা যায়।
আরো পড়ুনঃ বিকাশে ২০০০ টাকা বোনাস নেওয়ার উপায়
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং পারেন তাহলে অনায়াসে যেকোন মার্কেটপ্লেস থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। তবে একটা কথা মনে রাখা উচিত আপনাকে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং এ দক্ষতা থাকা লাগবে।
মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান আয়
আপনি যদি একটি মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই এর থেকে আপনি মাসের ৩০ হাজার টাকা থেকেও বেশি আয় করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। আর এই ডিজিটাল যুগে যতদিন যাবে মোবাইল ব্যবহারকারী সংখ্যা তত বেড়ে যাবে।
মোবাইল যেহেতু ইলেকট্রনিক জিনিস সেটি যেকোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর মোবাইল নষ্ট হলে মানুষ মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে গিয়ে ঠিক করে অর্থাৎ সারিয়ে নেয়। আপনি যদি নিজের মোবাইল সার্ভিসের দোকানটির পরিচিত বাড়াতে পারেন তাহলে মোবাইল সার্ভিসিং করে ভবিষ্যতে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহায়তা নিয়ে আপনার মোবাইল সার্ভিসিং দোকানের পরিচিতি বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আর কাস্টমারদের সঠিকভাবে সেবা দান করুন তাহলেই মোবাইল সার্ভিসিং থেকে অর্থ উপার্জন করা যাবে।
ফুলের দোকান থেকে আয়
বর্তমানে ফুলের ব্যবহার বহুলভাবে বেড়ে গেছে। তাই আপনি যদি একটু ফুলের দোকান দিতে পারেন তাহলে আপনি অনায়াসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে ফুল মানুষের উপহার দেওয়ার একটি নিত্য প্রয়োজনীয় গিফট হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
আর যদি বড় কোন বিয়ের ফুলের অর্ডার পান তাহলে তো অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার হয়তো নিজে বুঝে গেছেন ফুলের দোকান দিয়ে কত টাকা আয় করা যায়। ফুলের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই সততার সাথে ব্যবসা করবেন।
ফুলের দাম কখনোই বেশি রাখবেন না, সঠিক দাম নিয়ে কোয়ালিটি সম্পন্ন ফুল সাপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করুন। একবার যদি আপনার ফুলের দোকানটি পরিচিতি পেয়ে যায় তাহলে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম হবে।
ডে কেয়ার সেন্টার থেকে হাজার টাকা আয়
আপনি যদি একটি ডে-কেয়ার সেন্টার খুলতে পারেন তাহলে অনায়াসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কারন অনেকেই কাজের চাপে অফিসে থাকাকালে তাদের বাচ্চাদের ডে-কেয়ার সেন্টারের রাখতে পছন্দ করে।
তারা বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারে রেখে যায়। তাহলে আপনি যদি ডে-কেয়ার খুলতে পারেন, তাহলে বাচ্চাদের দেখাশোনা করে মাস শেষে ভালো একটা স্যালারি ইনকাম করতে তে পারেন।
এছাড়াও চাইলে আপনি ডে কেয়ার সেন্টারে জব করতে পারেন, যদি বড় ধরনের প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে ২০ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন। কিন্তু ছোট প্রতিষ্ঠান হলে ১০ হাজার টাকার বেশি বেতন পাওয়া যায় না। এজন্য আমার মতে আপনি নিজেই কিছু টাকা খরচ করে ডে কেয়ার সেন্টার খুলুন।
ফলের দোকান থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
আপনি যদি একটি ফলের দোকান দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি এখান থেকে প্রতিমাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তবে ফলের দোকানটি অবশ্যই জনসমাগম এলাকায় হতে হবে। তাহলে আপনি অনায়াসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফলের দোকানে সিজনাল ফল সংগ্রহ করে রাখতে হবে। কারণ বর্তমানে সিজনাল ফলের চাহিদা খুবই বেশি। প্রায় সকল ধরনের ফলগুলো দোকানের মজুদ রাখার চেষ্টা করবেন। তাহলে এই ফলের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে মাসিক বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
দর্জির দোকান দিয়ে আয়
বর্তমানে দর্জির দোকান দিয়ে অনেকেই মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করছে। কারণ বর্তমানে কাপড় কেনার চাহিদা বেড়ে চলছে আর এই কাপড় বানানোর জন্য দর্জির প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি একটি জনবহুল এলাকায় দর্জির দোকান দিতে পারেন,
সেক্ষেত্রে আপনি অনায়াসে বিশ হাজার টাকা প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারবেন। বিশেষ করে বর্তমানে মেসের মেয়েরা কাপড় বানাতে বেশি পছন্দ করে থাকে, ফলে আপনি মেয়েদের কাপড় বানিয়ে দর্জি দোকান দিয়ে আয় করতে পারেন।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায়
অনলাইনে বই বিক্রি করে আয়
অনলাইন প্লাটফর্মে বই বিক্রি করে অতি সহজেই মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করা যায়। শুধু এর জন্য আপনার থাকতে হবে অনলাইন প্লাটফর্মে একটি ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট। যাতে আপনি বইয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনার বই বিক্রি করতে পারেন।
আপনি কি ধরনের বই বিক্রি করেন সেই সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচার করবেন। আর দ্রুত সময়ে বই ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে গ্রাহকরা আপনার অনলাইন বই বিক্রি প্লাটফর্মের প্রতি বিশ্বস্ত বাড়বে, আর আপনি বই বিক্রি করেই ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
আর্টিকেল রাইটিং করে আয়
বর্তমানে সবচেয়ে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ মাধ্যম ও জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং করা। আর্টিকেল রাইটিং করে আপনি অনায়াসে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য জব প্রদান করে থাকে। আপনি চাইলে তাদের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে অতি সহজে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি চাইলে অর্ডিনারি আইটিতে(ordinaryit) আর্টিকেল রাইটিং করে অনায়াসে টাকা করতে পারেন। এছাড়া আরো অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম করা যায় যেমনঃ ট্রিকবিডি , টেকনিক্যাল কেয়ার বিডি , টেকটিউন্স আয়ো , ফাইবার , ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি। তাছাড়াও আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং চাকরি পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের বড় বড় নিউজ পেপার সাইটে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।
ট্যুর গাইড হিসেবে আয়
আপনি ট্যুর গাইড হিসেবে চাকরি করে অনায়াসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে দর্শনীয় স্থানে থাকতে হবে এবং সেখানে ট্যুর গাইড হিসেবে চাকরি করতে হবে। আপনি বিদেশ থেকে আসা পর্যটন বা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আসা মানুষজনকে গাইড করে আয় করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনিং করে আয়
আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এ পারফেক্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যেকোন কোম্পানিতে ওয়েব ডিজাইন এর চাকরি করে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইন এর চাহিদা অনেক বেশি। আপনি মার্কেটপ্লে বিভিন্ন দেশের কোম্পানিতে ওয়েব ডিজাইন এর চাকরি করে অনায়াসে বিশ হাজার থেকেও লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
উপসংহার
আশা করছি আপনারা তাহলে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেছেন। জানতে পারলে হবে না এর সম্পর্কে কিছু ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই যেকোনো একটি বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করে যেতে হবে তাহলেই আপনি আয় করতে পারবেন। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করুন এবং অন্যদের আয় করতে সাহায্য করুন।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়| FAQ
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন।
অ্যাড দেখে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এড দেখে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন ইনকাম ক্যাটাগরিতে সার্চ করুন।অনলাইনে কাজ করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়?
অ্যাড দেখে কি টাকা ইনকাম করা যায়?