বর্তমানে ইন্টারনেটে হাজার হাজার অ্যাপ রয়েছে, যে অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে ইন্টারনেটে কিছু টাকা ইনকাম করা যায়। তবে এই হাজার হাজার অ্যাপ গুলোর মধ্যে সব ধরনের অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করা যায় না। বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য অ্যাপস আছে যেগুলো দিয়ে সত্যিকার অর্থে টাকা ইনকাম করা যায়।
আজ আমরা সেই অ্যাপ গুলো সম্পর্কে জানানোর জন্যই “কোন app দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়” আর্টিকেলটি নিয়ে হাজির হয়েছি। যারা টাকা ইনকাম করার app গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তারা আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
কোন app দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় ?
বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর সেই সঙ্গে অনলাইনে উপার্জনের সুযোগও বাড়ছে। বিশেষ করে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয় করা এখন অনেক সহজ ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
অনেকেই বাড়তি উপার্জনের জন্য নির্ভরযোগ্য অ্যাপ খুঁজে থাকেন, যা তাদের সময় ও পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য দিতে পারে। তবে ইন্টারনেটে ভুয়া ও প্রতারণামূলক অ্যাপের সংখ্যাও কম নয়, তাই সঠিক ও বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো, কোন app দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়, কীভাবে এই অ্যাপগুলো কাজ করে এবং কীভাবে নিরাপদে উপার্জন নিশ্চিত করা যায়। আপনি যদি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয়ের সহজ ও কার্যকর উপায় খুঁজে থাকেন, তাহলে এই গাইড আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।
কয়েকটি নির্ভরযোগ্য অ্যাপস এর তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- Google Opinion Rewards
- Sweatcoin
- Foap
- Toloka
- Work Up Job app
- Fiverr app
- FoodPanda
- Rocket app
- YouTube app
- Freecash App
- Facebook app
- Bikash app
- Nogod app
উপরোক্ত অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই মোবাইল ফোনে ইনকাম করতে পারেন। আপনার মোবাইল ফোনে উল্লেখ অ্যাপ গুলো ডাউনলোড করে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। আর এই অ্যাপগুলো বিশ্বস্ত হওয়ায় খুব দ্রুত পেমেন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অর্থাৎ আপনি এই অ্যাপ গুলোতে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যারা শুধুমাত্র পার্ট টাইম যবের মত ইনকাম করতে চাচ্ছেন তারাই এই সকল অ্যাপস গুলো ডাউনলোড করে কাজ করুন। চলুন নিম্নে অ্যাপস গুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিয়ে আসি।
Google Opinion Rewards
Google Opinion Rewards অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই টাকা উপার্জন করতে পারেন। এটি মূলত সার্ভে ভিত্তিক একটি অ্যাপ যেখানে আপনাকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। প্রতি সার্ভের জন্য Google আপনাকে Google Play ক্রেডিট বা গিফট কার্ড পর্যন্ত দিতে পারে।
মূলত এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি সার্ভের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপটি এভেলেবেল রয়েছে। আপনি সরাসরি সেখানে গিয়ে অ্যাপটির নাম লিখে সার্চ করেই ডাউনলোড করে ফোনে ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
অ্যাপটি থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে অ্যাপটিতে জিমেইল দিয়ে একাউন্ট খুলতে হয়।জিমেইল একাউন্ট খোলার পর অ্যাপটিতে থাকা প্রশ্নের উত্তর ও সার্ভেগুলোর উত্তর দিয়ে পয়েন্ট বা ক্রেডিট অর্জন করবেন।
আপনি যত বেশি সার্ভে করে ক্রেডিট অর্জন করতে পারবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন। তাই বেশি বেশি সার্ভে করুন এবং Google Opinion Rewards প্রতিদিন ইনকাম করুন।
Sweatcoin
আপনি যদি প্রতিদিন ফিজিক্যালি এক্সারসাইজ বা হাটাহাটি করতে পছন্দ করেন তাহলে, Sweatcoin আপনার জন্য হতে পারে একটি চমৎকার উপার্জনের মাধ্যম। এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে, আপনি অ্যাপটি ডাউনলোড করে প্রতিদিনের হাঁটার হিসাব রেখে ইনকাম করতে পারবেন।
সুইট কয়েন অ্যাপটির কাজ হল আপনার প্রতিদিনের হাঁটার হিসাব রাখা এবং বিনিময়ে Sweatcoin নামে ডিজিটাল কয়েন প্রদান করা। তারা তাদের নির্দিষ্ট সুইট কয়েন নামক ডিজিটাল কয়েন একাউন্টে দিয়ে থাকে।
আপনি যত বেশি হাঁটবেন তত বেশি তাদের ডিজিটাল মুদ্রাটি কালেক্ট করতে পারবেন। আর নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়েন একাউন্টে জমা হলেই নগদ অর্থসহ গিফট কার্ডে পেমেন্ট নেওয়া যায়। এভাবে এই অ্যাপ থেকে প্রতিদিন ইনকাম করা সম্ভব।
উপার্জনের মাধ্যমঃ PayPal, গিফট কার্ড
Foap – কোন app দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
যদি আপনি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে ফটোগ্রাফি করেই ছবি বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। যারা মূলত মোবাইল সহ ক্যামেরা দিয়ে ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য Foap হতে পারে আয়ের জন্য একটি ভালো অ্যাপ।
কারণ আপনি এখানে নিজের তোলা ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন নিয়ে আয় করতে পারবেন। আপনার ছবি যত বেশি বিক্রি হবে তত বেশি আপনি অ্যাপটি থেকে কমিশন পেতে থাকবেন।
যার ফলে ফটোগ্রাফাররা এই অ্যাপ থেকে বর্তমানে ইনকাম করে থাকে। যদি পার্টটাইম ইনকাম করার চিন্তা ভাবনা থাকে তাহলে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।
Toloka
Toloka হলো এক প্রকার মাইক্রো টাস্কিং অ্যাপস, যেই অ্যাপস ব্যবহার করে আপনারা মোবাইল ফোনেই আয় করতে পারবেন। এই অ্যাপটিতে ছোট ছোট মিনি টাক্স গুলো সম্পন্ন করে আয় করা যায়।
যার কারণে আপনি অল্প সময়ে কিছু টাকা আয় করতে পারছেন। যারা সামান্য কিছু টাকা ঘরে বসে মোবাইলে আয় করতে চাচ্ছেন তারা একটি ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা আয় করার উপায়
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন ২০০ টাকা ইনকাম করার উপায়
কারণ এই ধরনের অ্যাপস থেকে খুব বেশি আয় করা যায় না, আপনি খুব সীমিত পরিমানে হাত খরচ চালানোর জন্য সামান্য টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন যেমনঃ
- ফেসবুক ফলো করা
- ওয়েবসাইট ভিজিট
- ভিডিও দেখা
- বিজ্ঞাপন দেখা
- সার্ভে করা
- কুইজ গেম খেলা
- ইউটিউব সাবস্ক্রাইব
- পোস্ট শেয়ার করা
- আর্টিকেল লেখা
উপরোক্ত কাজগুলো আপনি এই অ্যাপটিতে করতে পারবেন। আরও বিস্তারিত জানার জন্য অ্যাপ ডাউনলোড করুন এবং তাদের নীতিমালা গুলো পড়ে নিন। আর অ্যাপটি ব্যবহার করার পূর্বে কাস্টমার ফিডব্যাক ইন্টারনেট থেকে দেখে নেবেন।
Work Up Job app
Work Up Job অ্যাপটির কথা আপনার আগে জেনেছেন, কারণ বাংলাদেশে অনেকেই এই অ্যাপটিতে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করছে। অ্যাপটির অফিসিয়াল সাইট আছে যেখানে আপনি রেজিস্ট্রেশন করে ছোট ছোট মাইক্রো জব গুলো করে আয় করতে পারবেন।
তাদের অফিসিয়াল অ্যাপটি এখন বর্তমানে আর প্লে স্টোরে নেই, তবে আপনি গুগল ক্রোম ব্রাউজার থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এর থেকে ভালো আপনি তাদের অফিসিয়াল সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে সেখান থেকে কাজ করা শুরু করুন।
এখানে আপনি তাদের দেখানোর নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী যদি কাজ করেন তাহলে খুব দ্রুত সময় পেমেন্ট পাবেন। কাজ সম্পন্ন করার পর কাজের প্রমাণ এডমিনকে দিতে হয়। যদি কাজ সঠিকভাবে হয়ে থাকে তাহলে আপনার একাউন্টে ব্যালেন্স জমা হয়ে যাবে।

এখানে ডলারে ব্যালেন্স জমা হলেও আপনি পেমেন্ট পাবেন বাংলাদেশি পেমেন্ট পদ্ধতিতে। বিশেষ করে আপনি এখানে সাইটটি থেকে বিকাশ ও নগদ এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। যার ফলে অনেক ছেলে মেয়েরাই যারা ঘরে বসে বেকার সময় নষ্ট করে থাকে তারা বর্তমানে এই সাইটটি থেকে আয় করছে।
আপনারা চাইলেও দেখতে পারেন। তবে সাইট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে সরাসরি তাদের সাইটে ভিজিট করুন এবং তাদের নিয়ম নীতি পড়ে নিন।
যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান সে ক্ষেত্রে ইউটিউবে সাইটের নাম লিখে সার্চ করুন সবকিছু ভিডিও আকারে চলে আসবে। সেখানে আপনি রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এই অ্যাপটিতে কাজ করবেন কি না।
- পেমেন্ট মাধ্যমঃ বিকাশ , নগদ ও রকেট
- আয়ের উপায়ঃ মাইক্রোটাস্ক সম্পন্ন করা, রেফারেল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা ইত্যাদি।
Fiverr app
ফাইবার অ্যাপটির সাথে আপনারা সকলেই পরিচিত, বিশেষ করে যারা অনলাইন জগতের সাথে যুক্ত রয়েছেন তারা হয়তো জানেন ফাইবারে অ্যাপটিতে কি করা যায়। ফাইবার হলো বর্তমানে যুবকদের জন্য ইনকামের অন্যতম একটি অ্যাপ।
ফাইবার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপ যেখানে লক্ষ লক্ষ যুবক ছেলে মেয়েরা কাজ করে প্রতিনিয়ত টাকা ইনকাম করছে। যার কারণে এই প্লাটফর্মটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যুবকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ এখানে ছোট ছোট ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে সহজ উপায় ইনকাম করা যায়।
অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে তুলনায় এখানে দ্রুত কাজের খোঁজ পাওয়া যায় এবং দ্রুত পেমেন্ট পাওয়া যায়। পাশাপাশি যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তারাও এই প্লাটফর্মটিতে কাজ পেতে পারেন। এখানে সর্বনিম্ন ৫ ডলার এর কাজ রয়েছে। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজের খোঁজ করবেন।
এই ফাইবার অ্যাপটিতে ছোট থেকে বড় সকল ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজের অফার থাকে। বর্তমানে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিও ফ্রিল্যান্সাররা এই অ্যাপটি ব্যবহার করে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি এখানে বিদেশি বায়ারদের সাথে যোগাযোগ করে কাজ নিতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজগুলোতে দক্ষ হতে হবে। বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন যেমনঃ
- বাংলা কনটেন্ট রাইটিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ইংরেজি কনটেন্ট রাইটিং
- ওয়েব ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- এসিও ম্যানেজমেন্ট
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটিং
- প্রোডাক্ট মার্কেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ড্রপ শিপিং
উল্লেখিত ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ আছে যেগুলো আপনি করে এই অ্যাপ থেকে আয় করতে পারবেন। যদি আপনার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিশেষ দক্ষতা থাকে তাহলে এখনই ফাইবার অ্যাপটিতে একাউন্ট খুলুন এবং আপনার দক্ষতা সম্পর্কিত একটি প্রোফাইল তৈরি করুন।
পাশাপাশি কাজের খোঁজ করতে থাকুন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নতুন হলে কাজ পেতে সময় লাগতে পারে, তবে পরিচিতি বাড়লে খুব দ্রুতই কাজ পাবেন এবং প্রতি মাসে লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
FoodPanda app
আপনারা জানেন ফুড পান্ডা হলো অনলাইনে খাবার অর্ডার করার অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্ম। ফুড পান্ডা অ্যাপটি ব্যবহার করে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ অনলাইনে খাবার অর্ডার করে থাকে। ফুড পান্ডাতে খাবার অর্ডার করলে তারা বাড়িতে এসে খাবার ডেলিভারি দিয়ে যায়।
আর এই খাবার ডেলিভারি দেওয়ার জন্য একজন ডেলিভারি ম্যান এর প্রয়োজন হয়। যার কারণে ফুড পান্ডা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত ডেলিভারি ম্যান নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি ফুড পান্ডাতে ডেলিভারি ম্যান এর জবটি করে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার ফোনে তাদের অ্যাপটি ইন্সটল থাকলে সহজেই ডেলিভারি কাজটি নিয়ে প্রতিদিন ডেলিভারি সম্পন্ন করে আয় করতে পারবেন। তারা প্রতিটি ডেলিভারি সম্পূর্ণ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দিয়ে থাকে।
আপনি যত বেশি ডেলিভারি প্রতিদিন সম্পন্ন করতে পারবেন তত বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। মোবাইল ফোনে তাদের ফুড পান্ডা অ্যাপ ইন্সটল করুন এবং অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করে ডেলিভারি ম্যান এর জন্য আবেদন করুন।
ডেলিভারি ম্যান এর জব পেয়ে গেলে আপনি অ্যাপটির মাধ্যমেই সকল অর্ডার গুলো নিয়ে ডেলিভারি দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে ফুডপান্ডা অ্যাপটি ডাউনলোড করে তাদের নীতিমালা গুলো দেখে নিন।
যারা ঘরে বেকার বসে রয়েছেন তারাই এই অ্যাপটি ব্যবহার করে ডেলিভারি সম্পন্ন করে আয় করতে পারেন। কারণ এখানে কাজ করলে আপনি প্রতি মাসে অন্তত ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
Rocket app
রকেট হল ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং একটি অ্যাপ, যেখানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নেওয়া যায়। পাশাপাশি গ্রাহকদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গুলো প্রদান করেও আয় করা যায়। যদি আপনি রকেট অ্যাপ অথবা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট হয়ে কাজ করে তাহলে ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে সরকারি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজন হয়ে থাকে। বিভিন্ন পেমেন্ট সম্পন্ন করার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক বা রকেট একাউন্ট এর দরকার হয়। যার ফলে প্রত্যেকে বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট রকেট ব্যবহার করে থাকে।
রকেট একাউন্টে টাকা তোলার জন্য এজেন্ট পয়েন্টে যেতে হয়। যদি আপনি এজেন্ট হয়ে রকেটের ক্যাশ ইন সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশনে আপনি প্রতিদিন আয় করতে পারবেন। dutch bangla bank আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন প্রদান করবে তাদের সার্ভিস প্রদান করার জন্য।
এভাবে রকেট অ্যাপ থেকে আয় করা যায়। আপনার যদি মোবাইল রিচার্জের দোকান থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি মোবাইল রিচার্জ করার পাশাপাশি রকেটের সার্ভিসগুলো গ্রাহকদের দিতে পারেন। এতে করে আপনার বাড়তে ইনকাম হবে।
YouTube app
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় সকলেই জানেন, এই নিয়ে আর বিস্তারিত বলার কিছু নেই। তবে আমরা কিছু উপায় শিখিয়ে দেবো যার মাধ্যমে আপনি youtube থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল খুলে থাকে, কিন্তু ইউটিউবে সফলতা অর্জন করতে পারে না।
সফলতা না পাওয়ার পিছনে পিছনে কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত আপনারা সঠিক উপায় ও গাইডলাইন জানেন না যার কারণে ইউটিউবে কাজ করেও ইনকাম করতে পারেন না। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার অন্যতম উপায় হল ভিডিও বানিয়ে আপলোড করা।
যদি আপনি সঠিকভাবে ভিডিও না বানিয়ে আপলোড না করেন তাহলে কখনোই ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন না। চলুন ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সহজ উপায় গুলো দেখে আসি।
Youtube থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়ঃ
- প্রথমত সঠিকভাবে আগে ইউটিউব চ্যানেল খুলুন।
- ইউটিউব চ্যানেল খোলা হয়ে গেলে এবার আপনার কাজ হলেও ভিডিও তৈরি করা।
- আপনি দুইভাবে ভিডিও বানিয়ে আয় করতে পারেন।
- প্রথমত লং ভিডিও তৈরি করে আয় করা, আর দ্বিতীয়ত শর্ট ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে সহজে আয় করা।
- আমার মতে ইউটিউব শর্ট ভিডিও থেকে দ্রুত সময়ে আয় করা যায়।
- এজন্য আপনারা প্রতিদিন সব ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে থাকুন।
- যদি আকর্ষণীয় ইউনিক ভিডিও বানান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হবে।
- আর বেশি ভিজিটর পেলে আপনি বেশি সাবস্ক্রাইবার পাবেন। যার ফলে মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
- মনিটাইজেশন পেলেই আপনি শর্ট ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন।
আর যদি চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার থাকে তাহলে স্পন্সরশিপ , ব্যান্ড প্রমোশন , প্রোডাক্ট রিভিউ ইত্যাদির কাজগুলো করে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ইউটিউবে ভিডিও না বানিয়েও ইনকাম করতে পারেন। এর কিছু উপায় রয়েছে যা আমরা অলরেডি অন্য একটি পোস্টে শেয়ার করেছি। সেই পোস্টটি পড়ে নিন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
Freecash App
ফ্রি ক্যাশ অ্যাপটির অফিশিয়াল সাইট আছে যেখানে আপনি জিমেইল দিয়ে একাউন্ট খুলে সার্ভে করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন। পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন অ্যাপস ডাউনলোড করে সেগুলো টেস্ট করে রিভিউ প্রদান করার মাধ্যমেও ইনকাম করা যায়। এই প্লাটফর্মটি বর্তমানে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমনঃ
- অ্যাপ ডাউনলোড করে রিভিউ করা।
- টিকটক একাউন্ট সাইনআপ করা
- সার্ভে করে ইনকাম
- প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে আয়
- গেম টেস্ট করে ইনকাম
- গেম ডাউনলোড করে রিভিউ দেওয়া
- বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম
তবে এই অ্যাপটিতে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করা যায় পেইড সার্ভে করে অর্থাৎ আপনাকে কিছু টাকা খরচ করে পেইড সার্ভে করার মাধ্যমে আয় করতে হবে। কিন্তু আপনি চাইলে ফ্রি মাধ্যম গুলো ব্যবহার করেও আয় করতে পারেন।

অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে, সরাসরি অ্যাপটির নাম লিখে সার্চ করুন। আর ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ফ্রি ক্যাশ অ্যাপটি ইন্সটল করে নিন। বর্তমানে এখানে তাদের একটি অফার রয়েছে, নতুন ব্যবহারকারী সাইন আপ করলেই সাথে সাথে ৫ ডলার বোনাস পাচ্ছেন।
এছাড়া এখানে রেফারেল ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে ইনকাম করা শুরু করেছে। পরিচিত ও বন্ধুদের সাথে রেফার করে কমিশন নিয়ে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
পেমেন্ট মাধ্যমঃ বিটকয়েন , পেপাল , পেয়োনিয়ার ইত্যাদি।
Bikash app
বিকাশ অ্যাপ এর নাম আপনারা সকলে শুনেছেন, কারণ এটি বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠান। বিকাশের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ টাকা লেনদেন করে থাকে। তবে এই বিকাশ অ্যাপটি ব্যবহার করেই ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
বিকাশের মাধ্যমেই গেম খেলে ইনকাম করা যায় , বিকাশ কুইজ খেলে আয় করার সুযোগ আছে। এছাড়াও বিকাশ মিনি গেম গুলো খেলেও ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি বিকাশের সার্ভিস গ্রাহকদের দিয়ে প্রতিদিন কমিশন ভিত্তিক আয় করতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপ এর মধ্যে গেম খেলে আয় করতে পারবেন। এর জন্য বিকাশ অ্যাপের নিচের দিকে গেম ষ্টার নামক একটি অপশন পাবেন, যেখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন প্যাক কিনে আনলিমিটেড গেম খেলে এবং কুইজ খেলে আয় করা যাবে। আরো বিস্তারিত জানার জন্য সরাসরি বিকাশ অ্যাপ ওপেন করে চেক করুন।
Nagad app
নগদ অ্যাপ থেকে ইনকাম করার অনেক উপায় আছে, যা আমরা অনেকেই জানি। নগদ বাংলাদেশের একটি সরকারি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। যেখানে আপনারা কম খরচে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। পাশাপাশি নগদের এজেন্ট হয়ে সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন। নগদ থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো হলোঃ
- ক্যাশ আউট ও ক্যাশ ইন সার্ভিস প্রদান করা
- বিল পেমেন্ট সম্পন্ন করা
- নগদে রেফারেল ক্যাম্পেইন অংশগ্রহণ করা
- ক্যাশব্যাক অফার থেকে ইনকাম
- মোবাইল রিচার্জ থেকে ক্যাশব্যাক নেওয়া
উল্লিখিত মাধ্যম ছাড়াও নগদ থেকে ইনকাম করার আরো অনেক উপায় রয়েছে। তবে আমরা মূল মাধ্যমগুলোয় আলোচনা করেছি।
Facebook app
ফেসবুক থেকে ইনকাম করার একাধিক মাধ্যম আছে, এর মধ্যে অন্যতম মাধ্যম হলো ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা। পাশাপাশি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে প্রোডাক্ট বিক্রি করেও আয় করা যায়। তবে আমি একটি সহজ উপায় বলবো, আর সেই উপায়টি হলো ফেসবুকে Reels ভিডিও আপলোড করা।
Reels ভিডিও হল শর্ট ভিডিওর মত। অর্থাৎ ছোট আকারের ভিডিওগুলোকে Reels ভিডিও বলা হয়ে থাকে। আপনি ফেসবুকে Reels ভিডিও আপলোড করে খুব দ্রুত সময়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর বর্তমানে ফেসবুকে Reels ভিডিওতে মনিটাইজেশন পাওয়া খুব সহজ।
নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলোয়ার ও ফিউজ থাকলেই মনিটাইজেশন পাওয়া যায়। একবার মনিটাইজেশন পেলেই আপনি যেকোনো ধরনের Reels আপলোড করে প্রতিদিন উপার্জন করতে পারবেন।
শেষ কথা
কোন app দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনাদের মাঝে অনেকগুলো অ্যাপস শেয়ার করা হয়েছে যেগুলো থেকে সত্যিকার অর্থে আয় করা যায়। এই অ্যাপসগুলোতে সময় দিয়ে কাজ করলে অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব। ধৈর্য ও সময় দিয়ে কাজ করতে থাকুন নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করবেন।