প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি আমরা সহজ কিস্তিতে লোন নেওয়ার উপায় ও গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন ও সহজ কিস্তিতে লোন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সহজ কিস্তিতে লোন নিতে হলে অবশ্যই কিছু নিয়ম ও শর্ত মেনে চলতে হবে। আর সহজ কিস্তি লোন নেওয়ার শর্ত ও নিয়ম কি কি এই বিষয়টি নিয়ে আজকের পুরো আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এছাড়াও গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন কিভাবে নিবেন সেই সম্পর্কেও জানানো হবে।
ভূমিকা
ব্যাংক হলো একটি ঋন প্রদান করার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। যারা বিভিন্ন মেয়াদে সকলকে সহজ সুদের কিস্তিতে ঋণ প্রদান করে থাকে। যার ফলে সকলেই এই লোন নেওয়ার মাধ্যমে তাদের আর্থিক চাহিদা সম্পূর্ন করে থাকেন। এর ফলে সকলেই এই লোনের টাকার মাধ্যমে তাদের আর্থিক চাহিদা মেটাতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বেইমান মানুষ চেনার উপায়
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে আপনি কম সুদে ব্যাংক লোন বাংলাদেশ, জরুরী লোন, সুদবিহীন লোন, ব্যাবসা লোন, গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন, বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সহজ কিস্তিতে লোন
আমরা যে লোন নিয়ে থাকি ব্যাংক বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে, সেই প্রতিষ্ঠান তাদের লোনের প্রদেয় টাকা মাসিক তহবা সাপ্তাহিক কিস্তিতে ফেরত নিয়ে থাকেন। আর এছাড়াও এই টাকা এখন বর্তমানে বিকাশ নগদ মাধ্যমেও পরিশোধ করা যায়। এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে কিস্তিতে লোনের টাকা ফেরত প্রদানের সুবিধাকে সহজ কিস্তিতে লোন বলে।
আরো পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন ২০২৪
কোন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে সহজ কিস্তিতে বিভিন্ন লোন নিতে হলে অবশ্যই আপনার নিম্নের দেখানো যোগ্যতা গুলি থাকতে হবে। চলুন তাহলে আমরা এখন সেই লোনের যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নেই।
- লোন নিতে হলে আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে বাংলাদেশের ভোটার এন আই ডি কার্ড থাকতে হবে।
- লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বয়স ১৮-৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- আপনার বার্ষিক অথবা মাসিক আয়ের প্রমান থেকতে হবে।
- লোন গ্রহণ করার পূর্বে আপনার লোনের ক্ষত্রে প্রয়োজনীয় সফল কাগজপত্রগুলো প্রস্তুত থাকতে হবে।
এই পর্যায়ে আমরা জানতে পারলাম সহজ কিস্তিতে বিভিন্ন লোন নেওয়ার জন্য আমাদের কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত। এখন আমরা জানবো কোন কোন ব্যাংক এই সহজ কিস্তি লোন প্রদান করে থাকে। এ সকল ব্যাংকের নিকট থেকে আপনি খুবই সহজে এই আপনার প্রাপ্ত লোকটি গ্রহণ করতে পারবেন। সহজ কিস্তিতে লোনের সুবিধা দিয়ে থাকে যে সকল ব্যাংক সেগুলো হলঃ
- আশা ব্যাংক
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- ব্র্যাক ব্যাংক
- গণমূখী ব্যাংক
- গ্রামীণ ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক
- এক্সিম ব্যাংক
- জয়েন্ট স্টেট ব্যাংক
আপনি এই সকল ব্যাংকে গিয়ে তাদের সকল শর্ত পূরণ করে নির্দিষ্ট ধাপ ফলো করে আপনি এই সহজ কিস্তিতে আপনার লোন নিতে পারবেন। আশা করছি আপনি এই বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন।
সহজ কিস্তিতে লোন নেওয়ার উপায়
সহজ কিস্তিতে লোন নেওয়ার কিছু উপায় রয়েছে, এই উপায় গুলো জানলে আপনি সহজ কিস্তিতে সহজে লোন নিতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত লোন প্রদান করে থাকে। এই ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে।
আপনার যেকোন সমস্যায় বা ব্যবসার ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যাংক থেকে সহজ কিস্তিতে লোন নিতে পারবেন। লোন নেওয়ার জন্য কিছু শর্ত ও নিয়ম রয়েছে। সহজ কিস্তিতে লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেগুলো লাগতে পারে তা নিম্নে দেওয়া হলঃ
- যেই ব্যাংকের লোন নিবেন সেই ব্যাংকের আবেদন ফরম
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন/পাসপোর্ট
- যিনি আবেদন করবেন তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা সনদপত্র
- যিনি আবেদন করবেন তার কর্মস্থল এর ডিটেইলস।
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
- সরকারি খাতের অগ্রণী ব্যাংক
- রুপালী ব্যাংক
- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- বেসিক ব্যাংক
- এবি ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক
- ব্র্যাক ব্যাংক
- কমিউনিটি ব্যাংক
- ডাচ বাংলা ব্যাংক
- ইস্টার্ন ব্যাংক
- যমুনা ব্যাংক
- মেঘনা ব্যাংক
- মার্কেন্টাইল ব্যাংক
- মধুমতী ব্যাংক
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট
- এনসিসি ব্যাংক
- এনআরবি ব্যাংক
- এনআরবিসি ব্যাংক
- ওয়ান ব্যাংক
- প্রিমিয়ার
- পূবালী ব্যাংক
- সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার
- সীমান্ত
- সাউথইস্ট
- স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক
- দি সিটি ব্যাংক
- ট্রাস্ট ব্যাংক
- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল
- এক্সিম
- গ্লোবাল ইসলামী
- ইসলামী ব্যাংক
- আইএফআইসি
- সোশ্যাল ইসলামী
- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবং
- ইউনিয়ন ব্যাংক।
- স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং
- আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক
কম সুদে ব্যাংক লোন বাংলাদেশ
আমরা সকলেই বেশিরভাগ মানুষজন তাদের বাড়ি নির্মাণ করার ক্ষেত্রে সবথেকে কম পরিমাণে লোন দেয় কোন কোন ব্যাংক সেই বিষয়ে আমরা জানতে চাই। আপনিও যদি এমন বাড়ি নির্মাণ করার জন্য লোনের স্থান সন্ধান করে থাকেন তাহলে এই অংশের মাধ্যমে কম সুদে ব্যাংক লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনে নিন।
বাড়ি নির্মানের জন্য যেই লোন প্রদান করা হয় তাকে সাধারণত হোম লোন বলা হয়ে থাকে। আর এই হোম লোনের ক্ষেত্রে ৫টি ব্যাংক শীর্ষে অবস্থান করছে। চলুন তাহলে এই সকল ব্যাংকের সুদের হার সম্পর্কে ও তাদের প্রদানকৃত সুবিধাবলি সম্পর্কে জেনে নেই।
আশা করছি আপনি এইখান থেকে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনি এইখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা লোন নিতে পারবেন।
ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি
- প্রথমেই লোন কারীর বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- এছাড়াও আপনার লোন নিতে হলে বিবাহিত হতে হবে।
- শুরুতেই আপনাকে নির্দিষ্ট ব্যাংক এনজিওর গ্রাহক হতে হবে।
- সাধারণত কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে ৪৫ কিস্তির মধ্যে।
- যদি লোন নিতে চান তাহলে একজন জামিনদার রাখতে হবে।
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার লোন পরিশোধ করার সক্ষমতা থাকতে হবে।
- আগে যদি লোন নিয়ে থাকেন তাহলে কোন প্রকার ঝামেলা থাকা যাবে না।
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরেকটি যে নিজস্ব বাড়ি থাকতে হবে।
- সর্বশেষ আপনি যেই ব্যাংক অথবা এনজিও থেকে লোন নিবেন সেই অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- এরকম এনজিওগুলোতে সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়।
- আপনি যদি মৌসুমী লোন নিতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাবে।
ব্যবসা লোন কিভাবে নিবেন
সাধারণত আপনি একটি ছোট ব্যবসা শুরু করেছেন এবং ব্যবসাটিকে বড় করে তুলতে চান। তাহলে ব্যবসা লোন আপনার জন্য খুবই জরুরী। সাধারণত আপনি ব্যবসা লোন পেতে পারেন বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে। সব ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রেই আপনি লোন পেয়ে যাবেন। আপনি চাইলে ব্যবসা লোন হিসেবে আইডিএলসি স্টার্ট আপ লোন নিতে পারেন। এই লোনটিতে সর্বোচ্চ আপনাকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত ৫ বছরের মধ্যে এই লোনটি আপনার শোধ করতে হয়।
এই লোন গুলো সাধারণত বিভিন্ন জামানতের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এছাড়াও আপনি যদি কোন জামানত ছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংকের থেকে লোন নিতে চান তাহলে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পাবেন। আপনি যদি ব্যবসা লোনটি নিতে চান তাহলেই শুরুতে আপনার ব্যবসা পরিকল্পনাটি জমা দিতে হবে এবং তারপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এটি তদারকি করে গ্রহণ করলে আপনার লোন কার্যকর হয়ে যাবে। আপনি যদি ব্যবসায়ী হিসেবে লোন নিতে চান তাহলে সরকারি প্রকল্প গুলো আপনার জন্য বেশ কার্যকর।
- শুরুতে আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- দ্বিতীয়ত আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
- আপনার থাকতে হবে রঙিন ছবি।
- এছাড়াও ব্যবসার জন্য থাকতে হবে ট্রেড লাইসেন্স।
- আপনার থাকতে হবে বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
- আরো থাকতে হবে আপনি যে স্থাপনাতে ব্যবসা করতে চান সেই স্থাপনার রেজিস্ট্রেশন।
- এছাড়াও সম্পত্তির valuation ও সম্পত্তি নেওয়া হলে তার বৈধ চুক্তিনামা থাকা খুবই জরুরী।
- সর্বশেষ আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু থাকা অবস্থায় এক বছরের হিসাব দেখাতে হবে।
পার্সোনাল লোন নেওয়ার উপায়
আমরা সকলেই জানি যে পার্সোনাল লোন বলতে বোঝায় নিজস্ব কোন কাজ করার জন্য যেই লোন নেওয়া হয় থাকে। এক কথায় বলতে গেলে সাংসারিক অথবা ব্যক্তিগত কোন প্রয়োজনে যেই লোন নেওয়া হয় তাকে আমরা পার্সোনাল লোন বলে থাকি।
আপনি খুব দ্রুত পার্সোনাল বিভিন্ন লোন নিতে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। তাহলে খুব দ্রুত আপনি লোন পেয়ে যাবেন। এক কথায় আপনার খুব টাকার প্রয়োজন এই সময় পার্সোনাল একটি লোন আপনাকে খুব সাহায্য করতে পারে। আর এই লোনের ক্ষেত্রে সহজ কিস্তিতে লোন নিতে পারবেন।
এক কথায় আপনি এ ধরনের লোন পেতে আপনার ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। পার্সোনাল লোন নিতে আপনাকে বিভিন্ন শর্তাবলী মানতে হবে। এছাড়াও এই শর্তাবলির পাশাপাশি কিছু জরুরী নথি জমা দিতে হবে কোম্পানির কাছে। তাহলে খুব দ্রুত লোন পেয়ে যাবেন আপনার বিপদের সময়। আপনি একটা কথা মাথায় রাখবেন যে পার্সোনাল লোনের টাকা নির্ভর করে আপনার মাসিক আয় এর উপরে। অর্থাৎ আপনি মাসিক যত বেশি আয় করবেন তত বেশি লোন আপনি পাবেন।
- প্রথমেই আপনার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আধার কার্ড থাকতে হবে।
- দ্বিতীয়তঃ আপনার নূন্যতম যেকোনো একটি ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে এবং এমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে যে অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে কিছু পরিমাণে টাকা জমানো হয়।
- এমন মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে যে মোবাইল নাম্বারে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হয়েছে।
- সর্বশেষ KYC নথির ফটোকপি থাকতে হবে।
জরুরী লোন নেওয়ার উপায়
আমরা ইতিমধ্যে সহজ কিস্তিতে লোন নেওয়ার উপায় জেনে এসেছি। তবে যারা এখন জরুরি লোন নিতে চান তারা এই অংশটি পড়ুন।প্রত্যাহিক জীবনের আমাদের জরুরী প্রয়োজনে যে লোন নিয়ে থাকি আমরা তাকেই মূলত জরুরি লোন বলা হয়। এই লোন আপনার দুঃসময়ের আপনার পাশের সাথি হতে পারে। তাই আমাদের সকলের এই লোন সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। জরুরি লোন যেই সকল প্রতিষ্ঠান প্রদান করে থাকেন।
- ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ
- বর্তমানে বিকাশ ও এই ঋণের সুবিধা প্রদান করছে।
- এছাড়াও আরো সকল বিভিন্ন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান।
জরুরী লোন ব্রাক ব্যাংক বাংলাদেশঃ এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংক অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। এই ব্যাংক থেকে আপনি আরো বিভিন্ন সকল ধরণের সুবিধা পেয়ে যাবেন। যেমন আপনি যদি কোন বাড়ি নির্মাণ করতে চান অথবা কোন খামার করতে চান তাহলে আপনি ও এই প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন
গ্রামে বাড়ি করার জন্য অথবা আমরা যদি কেঊ গ্রামে বাড়ি কিনতে চাই তাহলে আমদের লোন নিতে হয়। এই লোনকে ব্যাংকের ভাষায় হোম লোন বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে অনেক ব্যাংক রয়েছে যারা গ্রামের বাড়ি করার জন্য সহজ কিস্তিতে লোন দিয়ে থাকে। যেসকল ব্যাংক হোম লোন প্রদান করে থাকে সেগুলি ব্যাংক হলোঃ
- এবি ব্যাংক
- ইসলামি ব্যাংক
- ইস্টার্ন ব্যাংক
- সিটি ব্যাংক
এই সকল ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে আপনার লোনের ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। সেগুলি হলোঃ
- আপনার একটি আইনত বৈধ আয়ে উৎস থাকতে হবে। যেমনঃ চাকরি, ব্যাবসা, প্রবাসী ইত্যাদি।
- আপনি যে ব্যাংক হতে লোন নিবেন সেই ব্যাংকে একটি আপনার অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আর যদি আপনার অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
- আপনি যদি এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চান তাহলে অন্য কোন জায়গায় আপনার ঋণ থাকা যাবে না। অন্যথায় আপনাকে এই ব্যাংক থেকে আপনার এই উৎসের উপর ঋণ প্রদান করা হবে না।
- আপনার একটি বাংলাদেশের নাগরিকত্বের ভোটার এনআইডি কার্ড থাকতে হবে।
- আপনি যদি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে শেষ এক বছরে কোন লেনদেন করে থাকেন তাহলে তার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।
- আপনি যে জমিতে গ্রামে বাড়ি করতে ইচ্ছুক সেই জমির দলিল আপনাকে দেখাতে হবে এবং সেই দলিলের মালিক যে আপনি সেটি প্রমাণ দেখাতে হবে।
- মূল জমির দলিল ব্যাংক কর্মকর্তাদের দেখাতে হবে। তারপর তারা যদি আপনার থেকে অরিজিনাল কপি অথবা সেই দলিলের ফটোকপি চায় তাহলে সেটি জমা দিতে হবে।
- আপনার জমির খাজনা বকেয়া থাকলে সেই খাজনা পরিষদ করতে হবে এবং সেই খারাপ তাদেরকে দিতে হবে।
- আপনার জমি যে আপনার নিজস্ব সেজন্য আপনাকে একটি সেই জমির খতিয়ান জমা দিতে হবে।
আপনার যদি এই সকল যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি আপনার সংশ্লিষ্ট লোন উক্ত ব্যাংক হতে তাদের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করার মাধ্যমে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। যার ফলে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় জমিতে আপনার স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে পারবেন।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলটিতে সহজ কিস্তিতে লোন ও গ্রামের বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি। পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই সহজ কিস্তিতে লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। এছাড়াও যারা গ্রামে বাড়ি করার জন্য লোন নিতে চান তারা অবশ্যই গ্রামের বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন অংশটি পড়বেন।
কারণ সেখানে আমরা গ্রামের বাড়ি করার জন্য লোন কিভাবে নিবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাছাড়া পুরো আর্টিকেলে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ক লোন সমূহ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। যার ফলে আপনি সহজেই জানতে পারবেন কোন লোন কিভাবে নিতে হয়। সহজ কিস্তিতে লোন সম্পর্কে প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানান।
সহজ কিস্তিতে লোন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
শীর্ষ ঋণদাতা ব্যাংকগুলো জামানা ছাড়া ঋণ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে রয়েছে SBI, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা সহ আরো অনেক ব্যাংক।
হ্যাঁ অবশ্যই অনেকগুলো ব্যাংক রয়েছে যারা জামানত ছাড়া ঋণ দিয়ে থাকে। আর এ সম্পর্কে আমরা এই পুরো পোস্টে আলোচনা করেছি।
এমন অনেক ব্যাংক রয়েছে যারা ঋণ দিয়ে থাকে তারা অনেক ক্ষেত্রে সুদ ছাড়া ঋণ প্রদান করে থাকে।
জানা গেছে ব্যাংক থেকে ব্যবস্থা পরিচালক ও ম্যানেজমেন্ট পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ শর্ত মেনে ব্যাংকের নিয়ম মেনে চলতে হয়।জামানত ছাড়া শিক্ষা ঋণ কোন ব্যাংকে পাওয়া যায়?
জামানত ছাড়া কি ব্যাংক ঋণ দেয়?
সুদ ছাড়া কি ঋণ পাওয়া যায়?
ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা লোন নেওয়া যায়?