১১ হাজার টাকা ফ্রি পাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে, মূলকথা হলো ফ্রিতে ১১ হাজার টাকা সরাসরি পাওয়া সম্ভব নয়। আপনাকে কাজ করার মাধ্যমে সেই টাকা ইনকাম করতে হবে।
বর্তমানে অনেক ইনকাম করার উপায় আছে যেগুলো আপনি অবলম্বন করে ঘরে বসেই অনলাইনে ফ্রিতে ১১ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন।
আজকের ব্লগে এমন কিছু উপায় শেয়ার করব, যেগুলো সম্পর্কে আপনি জানলে কার্যকরী ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে আপনি ১১ হাজার টাকা ফ্রিতে আয় করতে পারবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
১১ হাজার টাকা ফ্রি পাওয়ার উপায় সমূহ
বর্তমান সময়ে সম্পূর্ণ ফ্রিতে কোন কাজ করা না ছাড়াই ইনকাম করা সম্ভব নয়, ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু না কিছু কাজ করতে হবে।
হয়তো আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না, কিন্তু আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যম থেকে আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে অনলাইনে হাজার হাজার অ্যাপস ও ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আমরা রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারি।
আপনি যদি ঘরে বসে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাদের কিছু ইনকাম করার উপায় গুলো জানতে হবে। মূল কথা আপনি মাস শেষে ১১ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিতে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা ইনকাম করার উপায়
আরো পড়ুনঃ টাকা ছাড়া ইনকাম করার উপায়
আজকের এই ব্লগে ১১ হাজার টাকা ফ্রি পাওয়ার এমন কিছু উপায় দেখানো হয়েছে, যে উপায়গুলোর মাধ্যমে আমরা সহজেই প্রতি মাসে বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারি।
এই উপায়গুলো সকলেই মনোযোগ সহকারে দেখুন এবং ঘরে বসে ইনকাম করার চেষ্টা করুন। উপায়গুলো সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
১. রেফারেল মার্কেটিং করে
রেফারেল মার্কেটিং করে সহজে ঘরে বসে প্রতিদিন আয় করা যায়। বর্তমানে বহু অ্যাপস রয়েছে যেগুলোতে রেফারেল ইনকাম রয়েছে।
সেখানে আপনি বৈধভাবে রেফারেল করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। রেফার করা খুবই সহজ, সরাসরি অ্যাপ গুলোতে একাউন্ট খুলে বন্ধু ও পরিচিতদের রেফার লিংক এর মাধ্যমে অ্যাপে জয়েন করালে আপনি রেফারেল বোনাস পাবেন।
সাধারণত নতুন ব্যবহারকারী বা গ্রাহকরা এই ধরনের রেফারেল মার্কেটিং করে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারে।
বাংলাদেশী বহু অ্যাপ্স রয়েছে যেগুলোতে প্রতি মাসে রেফারেলকে ক্যাম্পেইন চালু হয়, সেই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে আপনি সহজেই ১১ হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম করতে পারেন।
রেফারেল ইনকাম কিভাবে করবেন দেখুনঃ
- অনেক অ্যাপ (যেমনঃ bKash, Nagad, Pathao, Foodpanda) নতুন ইউজার রেফার করলে ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস দেয়।
- তাই apps গুলোতে একাউন্ট খুলে বেশি বেশি রেফারেল মার্কেটিং করুন, পরিচিত ও বন্ধুদের মাঝে রেফার লিংক শেয়ার করুন।
- দিনে ১০ জন রেফার করলে সহজেই ১,০০০+ টাকা ইনকাম করা যায়।
- নিয়মিত রেফার করলে ১-২ সপ্তাহের মধ্যে ১১,০০০ টাকা অর্জন করা সম্ভব।
২. সাইন আপ বোনাস নেয়া
অনলাইন থেকে আয় করার আরেকটি সেরা উপায় হল সাইন আপ বোনাস। প্রায় প্রতিটি ইনকাম করার অ্যাপ গুলো তাদের গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত সাইনা বোনাস দিয়ে থাকে।
সাইন আপ বোনাস দেওয়ার মাধ্যমে তারা নিজেদের প্লাটফর্মের গ্রাহক সংখ্যা বাড়ায়। এই ধরনের সাইট বা এপ্স গুলোতে যদি আপনি সাইনআপ করেন তাহলে খুব সহজেই প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার বেশি ইনকাম করে ফেলতে পারবেন।
এর জন্য আপনাদের সঠিক অ্যাপসগুলো বাছাই করতে হবে, সকল ধরনের অ্যাপসগুলো সাইন আপ বোনাস দেয় না। তাই কিছু কার্যকরী অ্যাপস আপনাদের সাথে তুলে ধরবো যেগুলোতে সাইন আপ বোনাস নিতে পারেন। অ্যাপস গুলো হলঃ
- swagbucks – প্রথম সাইন আপে 5 ডলার
- Binance – ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট খুললে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত সাইন আপ বোনাস
- Kucoin- নতুন একাউন্ট সাইনআপ করলে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বোনাস।
- Coinbase
- Pi Network
- Bkash app
সঠিকভাবে KYC কমপ্লিট করে আপনি প্রাথমিকভাবে ৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। তবে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস গুলোতে সাইনআপ করে বোনাস নিয়ে একসাথে ১১ হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম করতে পারেন।
এজন্য আপনাদের সাইন আপ বোনাস দেয় এমন সকল অ্যাপস গুলোতে ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট খুলে বোনাস নিতে হবে। তার ফলেই ১১ হাজার টাকায় ইনকাম করা সম্ভব হবে।
৩. অনলাইন জরিপ (Survey) পূরণ করে ১১ হাজার টাকা ফ্রি
ওয়েবসাইট যেমনঃ Timebucks, ySense, Survey Junkie তে ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলে জরিপ পূরণ করে টাকা ইনকাম করা যায়।
প্রতিদিন ২-৩টা সার্ভে করলে মাস শেষে ১০,০০০+ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত সার্ভে করতে হবে।
সার্ভে সাইটগুলোতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রশ্ন যোগ করে থাকে। আর তাদের নির্দিষ্ট লিমিট থাকে। যে লিমিটের মধ্যে আপনাকে সার্ভের উত্তর দিয়ে পয়েন্ট কালেক্ট করতে হবে।
অনেক সার্ভে ওয়েবসাইট পয়েন্ট ভিত্তিক ইনকাম দেয়। আবার অনেকগুলো সরাসরি ডলার পর্যন্ত ইনকাম দিয়ে থাকে। যেমনঃ Freecash ওয়েবসাইটে সার্ভে করলে সরাসরি ডলার ইনকাম পাওয়া যায়।
এখানে প্রতিটি সার্ভে করার জন্য সর্বনিম্ন ১ ডলার থেকে শুরু করে ৫ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। আর এভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্ভে করলে খুব সহজেই মাস শেষে ফ্রিতে ১১ হাজার টাকা ইনকাম করা যাবে।
৪. ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ খুলে
মজার ভিডিও, অনলাইন ইনকাম, ফানি মিম ইত্যাদি বিষয়ের উপর একটি ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ খুলুন।নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করতে থাকুন।
কিছুদিনের মধ্যেই ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মেম্বার সংখ্যা বাড়তে থাকলেই আপনি বিভিন্ন উপায়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
যদি ফেসবুক পেজে অধিক ফলোয়ার হয়ে থাকে তাহলে স্পন্সরশিপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ফ্রি ইনকাম করতে পারবেন। আর এর মাধ্যমে সহজেই ১১ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
তাই সকলকে বলবো সঠিকভাবে একটি ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ খুলুন। সেখানে আপনার ইচ্ছা মত বিষয় নিয়ে প্রতিদিন ভিডিও কনটেন্ট অথবা রাইটিং কন্টেন্ট আপলোড করুন।
তবে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করলে বেশি ভিউজ পাওয়া সম্ভব। আর বেশি ভিউজ পেলে আপনার ফেসবুক পেজের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়বে।
এভাবে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করে ফেসবুক পেজের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলুন। এরপর যখন আপনার ফেসবুক পেজে প্রচুর ফলোয়ার হবে তখন আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোশন করে দিতে পারবেন।
এর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ চার্জ নিতে পারেন। এভাবে যদি আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলে ফলোয়ার সংখ্যা গেইন করতে পারেন তাহলে বিভিন্নভাবে আয় করতে পারবেন।
তখন আপনার কাছে প্রতি মাসে ১১০০০ টাকা ইনকাম করা কোন বিষয় নয়, আপনি প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।
৫. রিভিউ লেখা বা ফ্রিল্যান্স কাজ করে ১১ হাজার টাকা ফ্রি
Fiverr, Upwork, বা Freelancer এ অ্যাকাউন্ট খুলে সহজ কাজ (রিভিউ লেখা, ফিডব্যাক দেয়া) করে টাকা ইনকাম করা যায়।
কিছু বেসিক স্কিল থাকলে ১০-১৫ দিনে ১১ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের বিশেষ কাজগুলোতে যদি এক্সপার্ট হন, তাহলে আপনি এক সপ্তার মধ্যেই ১১ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
আর মাস শেষে তো আপনার ৩০ থেকে ৫০ টাকা ইনকাম হবেই। কারণ আপনারা জানেন ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর যেখানে কাজের কোন অভাব নেই, আর কাজ করতে পারলেই ইনকাম নিশ্চিত ভাবে হবে।
সেখানে আপনি ফ্রিতে কাজ করে সহজে ১১ হাজার টাকা ডেইলি আয় করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অধিক দক্ষ সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সার হতে হবে।
আর যদি আপনি বেসিক কিছু বিষয়ে দক্ষ হন যেমনঃ রিভিউ লেখা , কন্টেন্ট লেখা , ফিডব্যাক লেখা ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো নিয়েও আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট খুলে কাজ করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১১০০০ টাকা আয় করতে পারেন।
৬. অ্যাপ ইনস্টল ও ইউজ করে
বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করার একাধিক মাধ্যম রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম মাধ্যম হলো অ্যাপস থেকে ইনকাম করা। বিভিন্ন ধরনের ইনকাম ভিত্তিক অ্যাপস পাবেন যেখানে একাউন্ট খুলে কিছু কাজ করে ইনকাম করা যায় যেমনঃ Google Opinion Rewards, CashApp, Swagbucks।
এই টাইপের apps গুলোতে আপনি ছোট ছোট মিনি কাজ করে রেগুলার আয় করতে পারবেন। তবে অ্যাপস গুলোতে অনেক কম পরিমাণ ইনকাম দিয়ে থাকে, যার কারণে আপনার ১১ হাজার টাকা ইনকাম করতে অনেক সময় লাগতে পারে।
যদি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ১১ হাজার টাকা আয় করতে চান তাহলে এই অ্যাপস গুলোতে কাজ করতে পারেন। ডেইলি অ্যাপস গুলোতে Task পূরণ করে আয় করতে পারবেন।
যদি আপনার ইনকাম করার ধৈর্য থাকে তাহলে এই ধরনের অ্যাপস গুলো ট্রাই করুন। আপনার ১১ হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম করতে কমপক্ষে ১ মাসের বেশি সময় লাগতে পারে। এজন্য বলব যাদের হাতে সময় রয়েছে তারা এখানে কাজ করে আয় করুন।
৭. ইউটিউবে ভিডিও দেখে বা গেম খেলে
কিছু প্ল্যাটফর্ম যেমন ClipClaps, MooCash ভিডিও দেখার জন্য পয়েন্ট দিয়ে থাকে। আর এই পয়েন্ট গুলো এক্সচেঞ্জ করে ডলারে রূপান্তর করা যায় এবং আপনি ডলারে পেমেন্ট নিয়ে আয় করতে পারবেন।
আরও অনেক ধরনের অ্যাপস পাবেন যেগুলোতে ইউটিউব ভিডিও দেখে সরাসরি ডলার আয় করা যায়। এছাড়াও কিছু গেম খেলার অ্যাপ রয়েছে যেখানে ফ্রিতে গেম খেলে আয় করার সুযোগ পাবেন।
যেমনঃ MPL ,Taka income pro ,Daily taka ,Taka gor ,Taka income ,Wild cash ,FREE Cash ,Pollpay ইত্যাদি। এই অ্যাপসগুলোতে বিভিন্ন টাইপের গেম খেলে আয় করতে পারবেন।
সবগুলো গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে। গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যাপস গুলোর নাম লিখে সার্চ করে ইন্সটল করে নিন।
৮. ক্যাশব্যাক অফার ব্যবহার করে ইনকাম
বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট (যেমনঃ Daraz, Pickaboo, Evaly) ও মোবাইল অ্যাপস (যেমনঃ bKash, Nagad, Rocket) নির্দিষ্ট পেমেন্টে ক্যাশব্যাক দেয়।
অফার পিরিয়ডে ছোট ছোট কেনাকাটায় ১০-২০% ক্যাশব্যাক নিয়ে সহজেই কিছু টাকা জমানো যায়।
ক্যাশব্যাক প্রোগ্রামগুলো স্মার্টভাবে ব্যবহার করলে অল্প সময়েই ৫০০০-১০০০০ টাকা পর্যন্ত সেভিংস ও ইনকাম সম্ভব।
তাই সকলেই এই অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে ক্যাশব্যাক অফার নিয়ে ফ্রি ইনকাম করুন। প্রতিনিয়ত পেমেন্ট অ্যাপ গুলোতে ক্যাশব্যাক অফার দিয়ে থাকে।
বিশেষ করে বিভিন্ন পেমেন্টে আপনি বিকাশ, নগদ অ্যাপস থেকে ক্যাশব্যাক অফার পাবেন। যারা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেন এবং অনলাইনে কেনাকাটা করলে বিভিন্ন পেমেন্টে 10 থেকে 20% বা তার বেশি ক্যাশব্যাক অফার পেতে পারেন।
আর ক্যাশব্যাক অফার থেকে সহজে টাকা জমিয়ে মাসে শেষে ১১ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়।
উপসংহার – ১১ হাজার টাকা ফ্রি
আজকের এই ডিজিটাল যুগে ১১ হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম করা আর কোনো স্বপ্ন নয় বরং একটু বুদ্ধি আর নিয়মিত চেষ্টা করলেই তা সম্ভব। রেফারেল মার্কেটিং, অনলাইন সার্ভে, ক্যাশব্যাক অফার কিংবা ছোট ছোট ফ্রিল্যান্স কাজের মাধ্যমে অল্প সময়েই ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়।
তবে মনে রাখতে হবে, কোনো কাজেই অলসতা চলবে না এবং স্ক্যাম থেকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। একাধিক মাধ্যম একসাথে ব্যবহার করে কাজ করলে শুধু ১১ হাজার নয়, তার চেয়েও বেশি টাকা আয় করা সম্ভব।