বর্তমানে অনেকেই রয়েছেন যাদের স্বল্প পুঁজি হওয়ার কারণে ছোট ব্যবসার আইডিয়াগুলো খুঁজে থাকেন। এই ডিজিটাল যুগে আপনার বিভিন্ন ধরনের ছোট ব্যবসা গুলো করতে পারবেন, লাভজনক ব্যবসার আইডিয়াগুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে যারা ছোট ব্যবসার আইডিয়াগুলো জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ছোট ব্যবসার আইডিয়া
আপনি কি নতুন কোন ব্যবসার খোঁজ করছেন অথবা ছোট আকারের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। তাহলে চিন্তিত হবেন না, ধৈর্য ধরে আজকের ছোট্ট আর্টিকেলটি পড়ুন ছোট ব্যবসার আইডিয়াগুলো জানতে পারবেন।
মূলত আপনার যদি পুঁজি কম হয়ে থাকে তাহলে মাঝারি আকারের ব্যবসা গুলো করতে পারেন। মাঝারি আকার ব্যবসা বলতে ছোট ব্যবসা গুলোকে বোঝানো হয়ে থাকে। এমন অনেকে রয়েছে যারা বাড়িতে বেকার বসে রয়েছেন, কিন্তু সল্প পুঁজি থাকার কারণে ব্যবসা করতে পারছেন না।
আরো পড়ুনঃ সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম অ্যাপ
আরো পড়ুনঃ রিয়েল টাকা ইনকাম করার উপায়
তাদেরকে বলব ছোট আকারের ব্যবসা শুরু করুন। বর্তমানে ছোট ব্যবসা করেই অনেকে লাভজনকভাবে বড় ব্যবসা গড়ে তুলছে। ছোট ব্যবসাকে বড় ব্যবসায় পরিণত করতে হলে অবশ্যই প্রথম থেকেই পরিশ্রম করতে হবে। ছোট ব্যবসার আইডিয়াগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- খাবারের হোম ডেলিভারি ব্যবসা
- অনলাইন বেকারি
- কাস্টমাইজড গয়না তৈরি
- দর্জির দোকান
- মেকআপ আর্টিস্ট
- ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং
- ইউটিউব চ্যানেল
- অনলাইনে বাংলা বই বিক্রি
- অনলাইন শিক্ষকতা
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- ফুলের দোকানের ব্যবসা
- মোবাইল রিচার্জের (Recharge) দোকান
খাবারের হোম ডেলিভারি ব্যবসা
কর্মব্যস্ততার যুগে অনেকেই বর্তমানে বাড়িতে রান্না করতে চায় না, এছাড়াও রান্না করার সময় ও সুযোগ দুটোই হয়ে ওঠে না। এজন্য তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হোম ডেলিভারির উপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। আপনি নিজের বাড়িতে খাবার রান্না করে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিয়ে হোম ডেলিভারির ব্যবসাটি ভালোভাবেই করতে পারেন।
হোম ডেলিভারি বলতে নিজে খাবার তৈরি করে সেগুলো গ্রাহকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া। সুস্বাদু এবং মানসম্মত খাবার তৈরি করতে পারলে হোম ডেলিভারি ব্যবহারের অভাব হবে না, কলেজ ও প্রতিষ্ঠান এলাকায় এই ধরনের কাজের সুযোগ বেশি তৈরি হয়। অনেক ছাত্রছাত্রীরা গ্রাম থেকে শহরে পড়াশোনা করার জন্য এসে থাকে,
এছাড়াও ছাত্রছাত্রীরা রোজ রান্না করতে চান না, যার ফলে তারা খাবারের জন্য পুরোপুরি হোম ডেলিভারির উপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। তাহলে বুঝতেই পারছেন খাবার হোম ডেলিভারি ব্যবসার চাহিদা বর্তমানে কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি সঠিকভাবে খাবার হোম ডেলিভারি ব্যবসা করতে পারেন তাহলে মাস শেষে প্রচুর উপার্জন করতে পারবেন। মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
অনলাইন বেকারি
স্বল্প পুঁজিতে ছোট আকারে ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে অনলাইন বেকারি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। বর্তমানে এই ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড ,কুকিস্, কেক , পেস্টিসাইড , পিজ্জা ইত্যাদি সহ আরো অনেক ধরনের খাবার গুলো আকর্ষণীয়ভাবে বানিয়ে অনলাইনে ডেলিভারি করে আয় করা যায়।
বর্তমানে জন্মদিনে কেকের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে, আপনি যদি আকর্ষণীয় এবং ভালো ধরনের কেক তৈরি করতে পারেন তাহলে অনলাইন বেকারি ব্যবসাটি বেশি লাভজনকভাবে করা যাবে। নতুন নতুন আকর্ষণীয় ভাবে খাবার তৈরি করার চেষ্টা করুন,
আর অবশ্যই হোম ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকদের ঘরে খাবারগুলো পৌঁছে দিন। এভাবেই অনলাইন বেকারি ব্যবসা করে অনেকেই প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে আসছে। আমার মতে ছোট ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে অনলাইন বেকারি সবচেয়ে লাভজনক।
কাস্টমাইজড গয়না তৈরি
সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন ধরনের গয়না তৈরি করার চেষ্টা করুন, বিশেষ করে কাস্টমাইজড আকর্ষণের ডিজাইনের গয়না তৈরি করুন। তাহলেই কাস্টমাইজ গয়না তৈরি করে এই ব্যবসাটি করে লাভজনকভাবে মুনাফা অর্জন করা যাবে।
আপনি বাজারে এই গয়না তৈরীর সকল উপকরণ গুলো পেয়ে যাবেন। বর্তমানে অনলাইনে এই ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, আপনি নিজেই বাড়িতে বসে কাস্টমাইজ গয়না তৈরি করে অনলাইনে প্রচার করে সেগুলো বিক্রয় করতে পারেন। এভাবে এই ব্যবসাটি শুরু করা যাবে, মাত্র কিছু টাকা খরচ করে এই ছোট্ট ব্যবসাটি দাঁড় করাতে পারবেন।
দর্জির দোকান
ছোট ব্যবসা শুরু করতে হলে দর্জির দোকানের কথা ভাবতে পারেন। অর্থাৎ ছোট্ট দোকান ভাড়া নিয়ে দর্জির ছোট ব্যবসাটি শুরু করা যাবে। তবে মনে রাখুন দর্জির দোকান খুলতে হলে অবশ্যই কিছু দক্ষতা ও সৃজনশীলতা প্রয়োজন হবে। আপনি বাড়িতে থেকেও এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
তাছাড়াও পাড়া মহল্লায় অথবা বাজারের জনসমাগম এলাকাতে দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে দর্জির দোকান খুলে ব্যবসাটি করতে পারেন। আর যদি বাড়িতে বসেই দর্জি দোকান খুলতে চান তাহলে আপনার কাজ হবে গ্রাহকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের ডিজাইনের মাপ নিয়ে এসে বাড়িতে বসে বানিয়ে পুনরায় গ্রাহকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া।
এই দর্জি ব্যবসাটি আপনি অনলাইনে ঘরে বসে করতে পারবেন। অনলাইনে কাপড় বানানোর অর্ডার নিয়ে ব্যবসাটি করা যাবে। বিভিন্ন আকর্ষণীয় ডিজাইনের কাপড় বানিয়ে ক্যাটালগ তৈরি করুন, এতে করে গ্রাহকরা আকৃষ্ট হবে এবং আপনার কাছ থেকে কাপড় বানাতে বা কিনতে আগ্রহী হবে।
মেকআপ আর্টিস্ট
আপনি যদি একজন মেকআপ আর্টিস্ট হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। মূলত যারা সাজাতে পারেন এবং মেকআপ করার উপযুক্ত দক্ষতা থাকলে খুব সহজেই স্বল্প পুঁজিতে লাভজনকভাবে এই ব্যবসাটি শুরু করা সম্ভব। আপনি বিয়ে বাড়ির কনে সাজাতে পারেন, বিভিন্ন পার্টিতে মেকআপ , তাছাড়া নাচ গান ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেকাপের কাজ করতে পারেন। এভাবে মেকআপ আর্টিস্ট হয়ে টাকা ইনকাম করা যাবে।
আপনি যে একজন মেকআপ আর্টিস্ট এটি প্রচার করার জন্য ফেসবুক পেজ ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ওয়েবসাইট থাকলে ভালো হয় সহজেই কাজটি পাওয়া যায়। তাছাড়া পাশাপাশি আপনি নিজের একটি পার্লার খুলতে পারেন, সেখানে বিয়ের কনে থেকে শুরু করে পার্টির মেকআপ পর্যন্ত করতে পারেন। এভাবে মেকআপ আর্টিস্ট হয়ে বিভিন্ন ভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং
আপনার লেখালেখি করার অভ্যাস রয়েছে, তাহলে অনলাইনেই লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করুন। অনলাইনে লেখালেখি করাকে কনটেন্ট রাইটিং বলা হয়। অর্থাৎ অনলাইনে লেখালেখি করে ইনকাম করাকে ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং বলা হয়ে থাকে। আপনার যদি কোন বিষয়ে দক্ষতা থাকে সেই বিষয়টি নিয়েই অনলাইনে লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারেন।
নিউজ পোর্টাল সাইট অথবা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাইটিং করুন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে রাইটিং এর প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে, সেখানে প্রচুর গ্রাহক পেয়ে যাবেন যারা কনটেন্ট ক্রয় করে থাকে। আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলে কনটেন্ট রাইটিং করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। পাশাপাশি কনটেন্ট রাইটিং বিক্রি করে বিভিন্ন সাইট থেকে উপার্জন করতে পারবেন।
কনটেন্ট বিক্রি করার জন্য ফেসবুক পেজ ব্যবহার করুন। আপনি যে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন সেটি প্রচার করার চেষ্টা করুন। এতে করে অনেকেই আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং জব অফার করতে পারে। তাছাড়াও বিভিন্ন সাইটে কন্টেন্ট রাইটিং জব করতে পারেন।
ইন্টারনেটে সার্চ করলেই অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেগুলো কনটেন্ট রাইটিং জব অফার করে থাকে। তবে মনে রাখুন কন্টেন্ট রাইটিং করতে হলে অবশ্যই কিছু দক্ষতা থাকতে হবে। বিশেষ করে এসইও সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে এবং কনটেন্ট রাইটিং কিভাবে করতে হয় সে বিষয়ে দক্ষ হতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেল
ঘরে বসে আয় করতে চান সেক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন। ইউটিউব চ্যানেল খুলে সহজেই বিভিন্নভাবে ইনকাম করা যাবে। বর্তমানে অনলাইনে ছোট ব্যবসা হিসেবে ইউটিউব চ্যানেল প্রচুর ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনি অনলাইন ব্যবসা করার জন্য ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করতে পারেন।
পাশাপাশি ইউটিউবে আকর্ষণীয় ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করেও এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনারা হয়তো জানেন ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। আপনি আকর্ষণীয় কনটেন্ট ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব ব্যবহার করে আয় করতে পারেন। ইউটিউব চ্যানেলে বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যাবে।
অনলাইনে বাংলা বই বিক্রি
বর্তমানে অনলাইনে বই কেনাকাটা করার বেশ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা অনলাইন থেকেই কম দামে বই কিনতে চেয়ে থাকে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের বই সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই , গাইড বই ও অন্যান্য বইগুলো সংগ্রহ করুন।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাংলা বই গুলো সংগ্রহ করে রাখুন। আর অনলাইন প্লাটফর্মে বই বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিন। বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম পাবেন যেখানে বই বিক্রির প্রচার করতে পারবেন। মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েই ছোট্ট এই ব্যবসাটি শুরু করা যাবে।
অনলাইন শিক্ষকতা
বর্তমানে এই আধুনিক যুগে পুরাতন এই অনলাইন শিক্ষকতা ব্যবসাটি অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনার কোন বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকলে সেই বিষয় নিয়ে অনলাইনে শিক্ষকতা করতে পারেন। নিজের ফেসবুক পেজ খুলে অথবা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি লাইভ ক্লাস নেওয়ার মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষকতা করা যাবে। তাছাড়াও অনলাইন কোচ তৈরি করে বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনার কাজ করে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে এই কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। বড় বড় কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলো পরিচালনা করার জন্য কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান গুলো সোশ্যাল মিডিয়া পেজ পরিচালনা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজমেন্ট কে দায়িত্ব দিয়ে থাকে।
আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজমেন্ট করার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে এই কাজটি করে উপার্জন করতে পারবেন। এখানে আপনার কাজ হবে প্রতিষ্ঠানের পেজ পরিচালনা করা, পরিচালনা বলতে ফেসবুক পোস্ট করা , কমেন্ট করা , গ্রাহকদের উত্তর দেওয়া , প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় প্রচার করা।
মোবাইল রিচার্জের (Recharge) দোকান
ছোট ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাহলে আমি বলব মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা শুরু করুন। মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা অল্প পুঁজিতেই করা যায়। ছোট একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা শুরু করুন। সিম কোম্পানির সাথে রিচার্জ রেট আলোচনা করে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ ব্যবসাটি করতে পারেন।
প্রথমে আপনি পাড়া মহল্লায় ছোট একটি দোকান ভাড়া নিবেন। দোকানে অবশ্যই মোবাইল রিচার্জ কার্ড , সরাসরি মোবাইল রিচার্জ সিস্টেম রাখবেন। তাছাড়া ও সিম কার্ড বিক্রয় করতে পারেন। এজন্য সিম মজুদ রাখবেন। স্বল্প পরিসরে মাত্র ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করা সম্ভব।
গ্রামে ছোট ব্যবসার আইডিয়া
গ্রামে আপনি বিভিন্ন ধরনের ছোট ব্যবসা করতে পারেন। ইতিমধ্যে আমরা কিছু ছোট ব্যবসার আইডিয়া গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে গ্রামে কি কি ছোট ব্যবসা করা যেতে পারে সেগুলো সম্পর্কে এখন জানানো হবে। গ্রামে কি কি ছোট ব্যবসা করতে পারেন তা নিম্নে দেওয়া হলঃ
- টিফিন ডেলিভারি
- ফার্নিচার তৈরির ব্যবসা
- মুরগির খামার এর ব্যবসা
- মাছ চাষ ব্যবসা
- তেলের ব্যবসা
- ছাগল পালন
- সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকান
- ওষুদের দোকান
ছোট ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ
বাংলাদেশে থেকে আপনি কোন ধরনের ছোট ব্যবসা গুলো করা যেতে পারে সেগুলো সম্পর্কে এখন জানানো হবে। নিম্নে বাংলাদেশে ছোট ব্যবসার আইডিয়াগুলো তুলে ধরা হলোঃ
- মোবাইল পার্টস বিক্রি ব্যবসা
- চায়ের দোকান
- কফি শপ
- হস্তশিল্প পণ্য তৈরির ব্যবসা
- কাপড়ের দোকান (অনলাইন/অফলাইন)
- গিফট শপ
- গ্রোসারি শপ (অনলাইন/অফলাইন)
- সৌন্দর্য ও প্রসাধনী পণ্য বিক্রি
- অর্গানিক পণ্যের দোকান
বাড়িতে বসে ছোট ব্যবসার আইডিয়া
আপনার বাড়িতে বসে বেশ কিছু ছোট ব্যবসা করতে পারেন। ঘরে বসে যে ধরনের ব্যবসা গুলো করা যাবে সেগুলো এখন আলোচনা করা হবে। বেশ কিছু নতুন ব্যবসা রয়েছে যেগুলো ঘরে বসে করা যায় এবং ভালো উপার্জন করা সম্ভব। নিম্নে ব্যবসাগুলো তুলে ধরা হলোঃ
- মোবাইল অ্যাকসেসরিজ বিক্রি অনলাইনে
- গ্রাফিক ডিজাইনিং সেবা
- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- ভিডিও এডিটিং
- ফ্রিল্যান্সিং সেবা (লেখালেখি/অনুবাদ)
- প্যাকেটজাত খাবার বিক্রি
- পানীয় সরবরাহ ব্যবসা
- অর্গানিক খাদ্য সরবরাহ
- চকলেট বা ক্যান্ডি তৈরির ব্যবসা
- আইটি কনসালটেন্সি
- ফল ও সবজি চাষ
- ফিশারি ব্যবসা
৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
পঞ্চাশ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া গুলো এখন বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। অনেক জনপ্রিয় ব্যবসা রয়েছে যেগুলো ৫০ হাজার টাকা দিয়ে করতে পারবেন। আর সেই ব্যবসাগুলো লাভজনকভাবে শুরু করা যাবে। নিম্নে ব্যবসার আইডিয়াগুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলঃ
- পণ্য বিক্রির ব্যবসা
- হোম-মেড খাবার সরবরাহ
- জামা কাপড়ের ব্যবসা
- হস্তশিল্প পণ্য
- ব্যাগ ও জুয়েলারি বিক্রি ব্যবসা
- ব্লগিং
- চা বা কফি স্টল
- ফাস্ট ফুড বিক্রি
- জুস কর্নার
- বেকারি পণ্য বিক্রি
- মসলার প্যাকেট বিক্রি
- স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স বিক্রি ব্যবসা
- স্পোকেন ইংলিশ কোর্স
- ই-বুক লিখে বিক্রি
- বিউটি পার্লার হোম সার্ভিস
- মোবাইল ফোন মেরামত
- ছোট ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
নতুন ব্যবসার আইডিয়া 2025
আমরা এখন এখানে বেশ কিছু নতুন ব্যবসার আইডিয়াগুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনারা যারা নতুন ধরনের ব্যবসা গুলো করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের দেখানো এই আইডিয়া গুলো অনুসরণ করতে পারেন। আমরা নতুন ধরনের ব্যবসার আইডিয়াগুলো শেয়ার করব। নিম্নে নতুন ব্যবসার আইডিয়াগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত এ টু জেড তুলে ধরা হলোঃ
- রোবোটিকস ব্যবসা
- ড্রোন সেবা
- থ্রিডি প্রিন্টিং
- ইকো-ফ্রেন্ডলি পণ্য তৈরি
- প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা
- স্মার্ট হোম সেবা
- ট্রাভেল ব্লগিং
- ফ্যাশন ডিজাইন
- ওয়েডিং প্ল্যানিং
- কার মেরামতের সেবা
- প্যাকিং ও মুভিং সেবা
- ডেলিভারি সেবা
- কার রেন্টাল সেবা
- মেডিক্যাল সরঞ্জাম বিক্রি
- হেলথ কনসালটেন্সি
- জিম বা ফিটনেস সেন্টার
- ম্যাসাজ সেন্টার
- বইয়ের দোকান
- মধু চাষ
- পোলট্রি ফার্ম
লেখকের শেষ কথা
ছোট ব্যবসার আইডিয়া ও নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আর্টিকেলটিতে স্টেপ বাই স্টেপ সুন্দরভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি পরিপূর্ণ ধারণা পেয়ে গেছেন। যারা স্বল্প পুঁজিতে ছোট ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তারা আজকের নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ ভালো করে পড়ুন। তাহলে ছোট ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পাশাপাশি যারা নতুন ধরনের ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তারা আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। বেশ কিছু নতুন আইডিয়া শেয়ার করেছি, যেখানে আপনি নতুন ব্যবসা গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। নতুন ব্যবসা গুলো কম পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন। আর ব্যবসায়ী সফল হতে হলে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকলেই ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন।