৩০টি ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। যারা ব্যবসার আইডিয়াগুলো জানতে চান তাদের জন্য আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে নিজের পছন্দ মত ব্যবসা বাছাই করে ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করুন। যদি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আপনার ধারণা না থাকে তাহলে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। কারণ আর্টিকেলে ব্যবসা করার আইডিয়া গুলো বিস্তারিত এ টু জেড আলোচনা করা হবে।
কয়েক বছর আগেও ব্যবসায়ের এতটা গুরুত্ব ছিল না। বর্তমানে কাঙ্ক্ষিত বেতনের চাকরি না পাওয়ার কারণে অনেকেই ব্যবসার দিকে ঝুকে পড়ছে। ব্যবসা করে চাকরির থেকেও অনেকটা বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যার কারণে সকলেই কমবেশি নতুন ধরনের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা করার চিন্তা ভাবনা করছে।
বিশেষ করে শহরের মানুষ বর্তমানে চাকরি না করে ব্যবসা করে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষ গুলো বর্তমানে ব্যবসার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ব্যবসার কৌশল ও পরিকল্পনা সঠিকভাবে করতে পারলে ব্যবসা করে ভালো পরিমাণ লাভবান হওয়া সম্ভব। আপনি যদি নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই ব্যবসার আইডিয়াগুলো সম্পর্কে ভালো রাখতে হবে।
আমরা বেশ কিছু ব্যবসা করার আইডিয়া আলোচনা করব যেখান থেকে আপনার ইচ্ছামত নিজের পছন্দ অনুযায়ী ব্যবসা সিলেক্ট করে পরিকল্পনা করে শুরু করতে পারেন। ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করার চিন্তা ভাবনা থাকলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। একমাত্র পরিশ্রম করেই ব্যবসা করে সফল হতে পারেন। চলুন ব্যবসা করার আইডিয়াগুলো বিস্তারিত জেনে আসি।
৩০টি ব্যবসা করার আইডিয়া
ব্যবসা করার পূঁজি থাকলে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে টাকা রোজগার করতে পারেন। বর্তমানে ব্যবসা করার হাজার হাজার আইডিয়া রয়েছে। আমরা নতুন ধরনের কিছু ব্যবসা করার আইডিয়াগুলো নিয়ে আলোচনা করব। মূলত অনেকগুলো ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করে ৩০টি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যেই ব্যবসা গুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়।
ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই ব্যবসা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। আমরা কিছুটা ধারণা দেবো এবং আপনি সেই ব্যবসাটি নিয়ে গবেষণা করবেন ও পরিকল্পনা করে ব্যবসাটি শুরু করার চেষ্টা করবেন। নিম্নে ব্যবসার আইডিয়াগুলো তুলে ধরা হলোঃ
- ফ্রিল্যান্স সেবা প্রদান (গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট)
- ব্লগ বা কনটেন্ট ক্রিয়েশন
- ইউটিউব চ্যানেল চালানো
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সি
- ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা
- ইবুক লেখা ও বিক্রি
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্ভিস
- SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) সেবা
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফে খোলা
- বুটিক বা ফ্যাশন স্টোর
- মোবাইল মেরামত ও আনুষঙ্গিক বিক্রয়
- ফার্নিচার তৈরির ব্যবসা
- ইলেকট্রনিক পণ্য মেরামত
- কৃষিভিত্তিক ব্যবসা (যেমন অর্গানিক ফার্মিং)
- জিম বা ফিটনেস সেন্টার
- ফুলের দোকান
- প্রসাধনী বা বিউটি প্রোডাক্টের ব্যবসা
- কার ওয়াশ সেবা
- হোম বেকারি ও কেকের ব্যবসা
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস
- ফ্রিল্যান্স লেখালেখি
- রেন্টাল সার্ভিস (ক্যামেরা, গাড়ি, ইত্যাদি)
- টিউশন সেন্টার
- গ্রোসারি হোম ডেলিভারি
- প্রিন্টিং ও ডিজাইন সেবা
- রাইড শেয়ারিং ব্যবসা
- ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি
- বেবি প্রোডাক্ট বা খেলনার ব্যবসা
ফ্রিল্যান্স সেবা প্রদান
ফ্রিল্যান্সিং সেবা দানের মাধ্যমে ব্যবসা করে টাকা আয় করতে পারেন। যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে জানেন তারা কিন্তু এই ফ্রিল্যান্সিং সেবা গুলো অনলাইন প্লাটফর্মে প্রদান করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি সরাসরি ফেসবুক ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে দিতে পারেন। প্রথমে ফেসবুক পেজ খুলবেন, facebook পেজটি ব্যবহার করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত সার্ভিস গুলো প্রদান করুন।
এভাবে আপনি লোকাল মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি কাজ নিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বিদেশি ক্লায়েন্টের সাথে প্রজেক্ট নিয়ে ঘন্টাভিত্তিক চুক্তি অনুযায়ী কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে নিজের আকর্ষণীয় প্রোফাইল খুলুন।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন 300 400 টাকা আয় করার উপায়
আরো পড়ুনঃ ছোট ব্যবসার আইডিয়া
আকর্ষণীয় প্রোফাইল খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজটি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকুন। অথবা সরাসরি বায়ারদের কাছে মেসেজ দিয়ে কাজ নিয়ে নিতে পারেন। যারা মূলত অনলাইনে ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন তারাই এই সেক্টরে কাজ করুন।
আর যাদের বিশেষ দক্ষতা অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সামান্য দক্ষতা রয়েছে তারা ফ্রিল্যান্সিং service ব্যবসাটি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ব্যবসা করার এই আইডিয়াটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। যদি সম্ভব হয় সকলেই ফ্রিল্যান্সিং শিখুন আর ঘরে বসে ইনকাম করুন।
ব্লগ বা কনটেন্ট ক্রিয়েশন
ব্লগিং সম্পর্কে অনেকেরই কিছু ধারণা রয়েছে। তাই আমরা বেশি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম না। যদি আপনি ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে বলবো ব্লগিং শুরু করুন। বর্তমানে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি উপায় ব্লগিং। ব্লগিং সেক্টরে আর্টিকেল লেখালেখি করতে হয়। আর্টিকেল বা কনটেন্ট কি আপনার নিশ্চয় জানেন।
কনটেন্ট হল মূলত নিজের জ্ঞান ও পারিপার্শ্বিক বিষয়কে এনালাইসিস করে লেখালেখি করা। এক কথায় অনলাইনে লেখালেখি করাকেই কনটেন্ট রাইটিং বলে। কনটেন্ট রাইটিং করার জন্য বিশেষ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র কনটেন্ট রাইটিং এর কিছু বিষয় জানলেই কনটেন্ট রাইটিং করে ব্লগিং থেকে আয় করা সম্ভব।
প্রথমে ওয়েবসাইট তৈরি করুন। এরপর ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত কনটেন্ট লিখতে থাকুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক সংখ্যা বাড়তে থাকছে। যখন আপনার ব্লগিং সাইটে নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্রাফিক সংখ্যা প্রতিদিন আসতে থাকবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
গুগল এডসেন্স অনুমোদন পেলেই বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি ব্লগিং থেকে হাজার হাজার ডলার প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারেন। ঘরে বসে ব্যবসা করার এই আইডিয়াটি বর্তমানে যুবকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যারা বাড়িতে বেকার বসে রয়েছেন তারা সময় নষ্ট করবেন না, এখনই ব্লগিং করা শুরু করুন আর ঘরে বসে প্রতিনিয়ত ইনকাম করুন।
ইউটিউব চ্যানেল চালানো
আপনারা বিভিন্ন জায়গায় নিউজে দেখে থাকবেন ইউটিউব চ্যানেল খুলে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে একটি যুবক। হ্যাঁ বন্ধুরা অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যদি আপনার পরিশ্রম করার প্রবল মানসিকতা থাকে তাহলেই ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে কন্টেন্ট বানিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে, তবে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করার মূল উপায় হলো ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করা। আকর্ষণীয় ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করে ইউটিউব থেকে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারেন। আপনাকে আকর্ষণীয় ভিডিও বানিয়ে প্রতিদিন youtube চ্যানেলে আপলোড করতে হবে।
ইউটিউব এর গাইডলাইন্স অনুযায়ী কাজ করলে আপনি নির্দিষ্ট সময় পর youtube অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর youtube এডসেন্স বা গুগল এডসেন্স অনুমোদন পেয়ে গেলেই ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
তাছাড়াও youtube চ্যানেলটি ব্যবহার করে অনলাইন স্টোর খুলে বা প্রোডাক্ট বিক্রি করেও টাকা উপার্জন করা যাবে। ব্যবসা করার আইডিয়া হিসেবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম বিষয়টি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আপনি প্রথমে কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করবেন সেই বিষয়টি নির্বাচন করবেন এবং সেই বিষয় অনুযায়ী ইউটিউব চ্যানেলের নাম সিলেক্ট করবেন। এরপর youtube চ্যানেল খুলে প্রতিদিন ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে থাকুন, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের পর গুগল এডসেন্স থেকে টাকা রোজগার করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সি ব্যবসা
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ হল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে পণ্য, সেবা, বা ব্র্যান্ড প্রচার করা। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক পেজে অথবা ইউটিউবে কিংবা টুইটারে বিভিন্ন পণ্যর প্রচার ও ব্যান্ড প্রমোশন করাকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সি খুলে ব্যবসা করতে পারেন। এখানে আপনার কাজ হবে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো প্রমোশন ও প্রচার করে দেওয়া। বর্তমানে কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে গ্রাহকদের জানাতে ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সহায়তা নিয়ে থাকে।
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সেক্টরে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজটি করে প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারবেন। প্রথমে আগে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় সেগুলো সম্পর্কে জানুন এবং শিখুন। তারপর সঠিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সি খুলে ব্যবসা শুরু করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা- ব্যবসা করার আইডিয়া
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিসের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রতিটি সেক্টরের ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ রয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য প্রচার করতে হলে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহায়তা নিতে হবে।
বিভিন্ন সেক্টরে প্রোডাক্ট ও পণ্য প্রচার করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্নভাবে করা যায়। যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস প্রদান করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি হলে অনেকেই ব্যবসা শুরু করছে। আপনি অনলাইনে চাইলে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। অনলাইনে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস প্রদান করুন।
SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) সেবা
অনলাইনে ব্যবসা করার আইডিয়া গুলোর মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও সবচেয়ে জনপ্রিয়। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে SEO এর ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমান সময়ে এসইও ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং সম্ভব নয়। এসইও বা Search Engine Optimization হল এমন একটি কৌশল যা একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের (যেমন গুগল, বিং, ইয়াহু) ফলাফলে শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এসিও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বড় বড় ক্লায়েন্টরা তাদের ওয়েবসাইট এসিও করার জন্য একজন এসইও এক্সপার্ট খুঁজে থাকে। আপনি যদি একজন এসিও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে এসিও সম্পর্কিত সার্ভিস গুলো প্রদান করে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রচুর ডলার আয় করতে পারেন।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট-ব্যবসা করার আইডিয়া
অনলাইন সেক্টরে ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করতে চাইলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কাজটি করতে পারেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা প্রোগ্রামিং ও কোডিং সম্পর্কে ভালো জানেন এবং এক্সপার্ট। তারা কিন্তু চাইলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত সার্ভিস গুলো প্রদান করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারেন।
অ্যাপ তৈরি করা , অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করা সহ অন্যান্য কাজগুলো করতে পারেন। তাছাড়াও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কাজে দক্ষ হলে বিভিন্ন কোম্পানিতে মোটা বেতনের চাকরি পর্যন্ত করতে পারবেন। আর আপনি যদি চাকরি না করে নিজের ব্যবসা করে আয় করতে চান, তাহলে বলব অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস ব্যবসা শুরু করুন।
রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফে খোলা
ব্যবসা করার শখ থাকলে রেস্টুরেন্ট বা কফি শপ খুলে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে শহরে এলাকায় রেস্টুরেন্টের ব্যবসা খুবই জাঁকজমক ভাবে চলছে। রেস্টুরেন্ট খুলে যদি খাবারের কোয়ালিটি মান ভালো রাখতে পারেন, তাহলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ রোজগার করতে পারবেন। একটি রেস্টুরেন্ট ভালোভাবে চলার মূল কারণ হলো সেই রেস্টুরেন্টের খাবার।
রেস্টুরেন্টের খাবার যদি ভালো হয় তাহলে নিশ্চয়ই আপনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে কফি শপের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার কফি শপে মানুষজন কফি খাওয়ার জন্য আসবে।
আপনি আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরনের কফি বানিয়ে গ্রাহকদের দিবেন। যদি আকর্ষণীয় ভালো মনের কপি বানাতে পারেন তাহলে ক্যাফে খুলে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তাই ব্যবসা করার আইডিয়া হিসেবে আপনি যদি দ্রুত টাকা উপার্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আমাদের মতে রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফে ব্যবসাটি করতে পারেন।
বুটিক বা ফ্যাশন স্টোর- ব্যবসা করার আইডিয়া
বুটিক ও ফ্যাশন স্টোর খুলে ভালো ধরনের ব্যবসা করা সম্ভব। আপনি বুটিক স্টোরে বিভিন্ন ধরনের ট্রেন্ডি পোশাক, আনুষঙ্গিক সামগ্রী এবং ফ্যাশন-সম্পর্কিত অন্যান্য পণ্য বিক্রি বিক্রি করে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারেন। এই ব্যবসাটি বর্তমানে অনেক লাভজনক যদি আপনি অনলাইনে ফ্যাশন স্টোরটি চালাতে পারেন।
বর্তমানে অনেকেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অনলাইনে বুটিক বা ফ্যাশন স্টোর খুলে কাপড় ডেলিভারি দিয়ে প্রচুর টাকা উপার্জন করছে। বুটিক বা ফ্যাশন স্টরে অবশ্যই আকর্ষণীয় ডিজাইনের ট্রেন্ডিং পোশাক ও আনুষঙ্গিক পোশাকগুলো রাখতে হবে।
বুটিক স্টোর সম্পর্কে গ্রাহকদের জানাতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহায়তা নিতে পারেন। তাছাড়াও আপনার বুটিক স্টরের আকর্ষণীয় ডিজাইনের পোশাকের ভিডিও বানিয়ে ফেসবুক পেজে আপলোড করুন। আর কাস্টমারদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন। তাহলেই বুটিক স্টোর বা ফ্যাশন স্টোর ব্যবসা করে ব্যাপক পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। আপনার পছন্দমত ব্যবসাটি সিলেক্ট করে ব্যবসা করা শুরু করুন। ব্যবসা করার পূর্বে অবশ্যই পরিকল্পনা করবেন, আর ব্যবসা করার নিয়ম ও কৌশল জেনে নিবেন।
আপনি যদি ব্যবসা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের ব্যবসার আইডিয়া ক্যাটাগরিতে ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা সম্পর্কিত আলোচনা করেছি, আর ব্যবসা সম্পর্কে কিছুটা আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করেছি।