টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম 2025

টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন, তাহলে টেলিগ্রাম থেকে উপার্জন করার সঠিক গাইডলাইনগুলো আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন। টেলিগ্রাম ব্যবহার করে কিভাবে ইনকাম করা সম্ভব তা নিয়ে আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

টেলিগ্রাম মূলত একটি মেসেজিং অ্যাপ, যেটি ব্যবহার করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা যায় এবং কথা বলা যায়। পাশাপাশি টেলিগ্রামের ব্যবহার করে আপনি চ্যাটিং অথবা মেসেজিং করতে পারবেন। যার কারণে টেলিগ্রাম অ্যাপ থেকে ইনকাম করার সুযোগ হচ্ছে। 

টেলিগ্রাম বর্তমানে শুধুমাত্র ম্যাসেজিং অ্যাপ নয়, এই অ্যাপটি ব্যবহার করে যোগাযোগ করার সাথে সাথে ইনকাম করা যায়। অর্থাৎ আপনি টেলিগ্রাম ব্যবহার করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং পাশাপাশি বিভিন্ন উপায়ে টেলিগ্রাম থেকেই আয় করতে পারবেন।

টেলিগ্রাম থেকে সরাসরি ইনকাম করার উপায় রয়েছে, এছাড়াও টেলিগ্রামের ব্যবহার করে অন্যান্য মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন যেমনঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং , প্রোডাক্ট স্পন্সর , পণ্য বিক্রি , মনিটাইজেশন , কনটেন্ট ইত্যাদি। 

নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন

টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করা কি সম্ভব? 

আপনার যদি সঠিক গাইডলাইন ও উপায় গুলো জানা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করতে পারবেন। কারণ টেলিগ্রাম থেকে আয় করার বৈধ ও কার্যকরী উপায় রয়েছে। আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন জানেন তাহলে অবশ্যই আয় করতে পারবেন।

উপায় গুলো জানার পরে আপনাদেরকে সেই উপায় গুলো অনুসরণ করে পরিশ্রম করতে হবে তাহলেই ইনকাম করা সম্ভব হবে। অন্যথায় আপনি শুধুমাত্র উপায় গুলো জানলেন কিন্তু পরিশ্রম ও কাজ করলেন না তাহলে কখনোই অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন না।

অনলাইন মাধ্যমে ইনকাম করতে হলে কিছুটা পরিশ্রম করতে হয়, তারপরেই ইনকাম করা সম্ভব হয়। সত্যি কথা বলতে গেলে টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করা খুবই সহজ যদি আপনি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন। আমরা এমন কিছু বৈধ উপায় আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যেগুলো অবলম্বন করে আপনি টেলিগ্রাম থেকেই হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এবার চলুন বিস্তারিত জানা যাক। 

টেলিগ্রাম কি? 

টেলিগ্রাম একপ্রকার মোবাইল মেসেজিং অ্যাপ। এই টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে একে অপরকে মেসেজ করা যায় এবং কথা পর্যন্ত বলা যায়। এছাড়াও এই টেলিগ্রাম অ্যাপটি ব্যবহার করেই ডকুমেন্ট , ছবি ও ফাইল ট্রান্সফার করা যায়। যার কারণে টেলিগ্রাম অ্যাপটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়।

আর এই টেলিগ্রাম এপ মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার উভয়ে ব্যবহার করা যাবে। আর টেলিগ্রাম বর্তমানে নানা ধরনের নতুন নতুন ফিচার প্রদান করছে, যার কারণে বেশি সুবিধার জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করছে। টেলিগ্রাম অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।

টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করা যায়। অর্থাৎ টেলিগ্রাম অ্যাপ থেকে আয় করা সম্ভব। কিভাবে টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত থাকছে আজকের আর্টিকেলে। সকলকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। 

টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি

টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার প্রচুর পদ্ধতি রয়েছে যা আপনাদের সাথে এখন আলোচনা করা হবে। টেলিগ্রাম থেকে উপার্জন করতে হলে সর্বপ্রথম মোবাইলে টেলিগ্রাম অ্যাপটি ডাউনলোড করুন। মোবাইল ফোনের গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে টেলিগ্রাম লিখে সার্চ করুন,

আরো পড়ুনঃ  ২০টি বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ নিন

আরো পড়ুনঃ টিকটক থেকে ইনকাম করার উপায়

আরো পড়ুনঃ আমি টাকা ইনকাম করতে চাই -সহজ উপায় 

আর টেলিগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ইন্সটল করে নিন। এখন আপনাদের টেলিগ্রাম অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে গেলে আমাদের দেখানো উপায় গুলো অনুসরণ করে আয় করার চেষ্টা করুন। নিম্নে টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার কার্যকরী ১১টি পদ্ধতি আলোচনা করা হলোঃ

টেলিগ্রাম চ্যানেল / গ্রুপ বেচাকেনা

টেলিগ্রাম চ্যানেল বা গ্রুপে প্রচুর মেম্বার থাকলে সেই চ্যানেল বিক্রি করে ইনকাম করা যায়। আপনার যদি একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল থাকে এবং সেখানে ১০ থেকে ২০ হাজার মেম্বার থাকে। তাহলে আপনি সেই টেলিগ্রাম চ্যানেলটি কমপক্ষে 20 হাজার টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন।

একইভাবে টেলিগ্রাম গ্রুপে মেম্বার বেশি থাকলেও আয় করা সম্ভব। টেলিগ্রাম গ্রুপ বিক্রি করা যায়, তবে এক্ষেত্রে টেলিগ্রাম গ্রুপে কমপক্ষে ১ হাজারের বেশি মেম্বার থাকতে হবে। টেলিগ্রাম গ্রুপ বা চ্যানেলে মেম্বার বাড়িয়ে আপনি বিক্রি করতে পারেন।

টেলিগ্রামে আপনার নিজস্ব চ্যানেলে মেম্বার বাড়ানোর জন্য কন্টেন্ট লিখতে পারেন। আপনি যে কোন বিষয় নিয়ে গ্রাহকদের বিনোদন অথবা সাহায্য করুন, দেখবেন আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বা গ্রুপে মেম্বার সংখ্যা বাড়তে থাকবে। 

টেলিগ্রাম চ্যানেলে মেম্বার বাড়ানোর উপায়ঃ
  • প্রতিদিন নতুন কনটেন্ট দিন
  • ইউজারদের সাথে ইন্টার‌্যাক্ট করুন
  • Giveaways চালু করুন
  • WhatsApp/Facebook/Twitter-এ টেলিগ্রাম চ্যানেল লিংক শেয়ার করুন
  • YouTube ভিডিওতে টেলিগ্রাম লিংক ব্যবহার করুন
  • মেম্বার বাড়ানোর জন্য অন্য গ্রুপে প্রোমোশন করুন বা পেইড প্রোমো নিন
টেলিগ্রাম চ্যানেল/গ্রুপ বেচাকেনা করার জন্য কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসঃ 
  • EpicNPC
  • PlayerUp
  • Social Tradia
  • facebook-এর “Telegram Channel Buy Sell” গ্রুপগুলো
ইনকামের পরিমাণঃ
  • ১,০০০ – ১০,০০০ মেম্বার বিশিষ্ট চ্যানেলঃ $20 – $200+
  • ১০,০০০ – ৫০,০০০ মেম্বারঃ $200 – $1,000+ 
  • বড় চ্যানেল (৫০k+): হাজার ডলারে বিক্রি হয়

টেলিগ্রাম মার্কেটিং সার্ভিস অফার করে ইনকাম

আপনি যদি জানেন কীভাবে একটি চ্যানেল গ্রো করতে হয়, তাহলে অন্যদের টেলিগ্রাম চ্যানেল ম্যানেজমেন্ট বা মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সহ নিজের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে মেম্বারদের এই সার্ভিসগুলো দিতে পারেন।

টেলিগ্রাম মার্কেটিং সার্ভিস বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়, যদি আপনি একবার শিখতে পারেন তাহলে সহজেই অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। এখন অনেকেই প্রশ্ন করেন টেলিগ্রাম মার্কেটিং সার্ভিস কি কি? এবার চলুন নিম্নে টেলিগ্রাম মার্কেটিং সার্ভিসগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

  • চ্যানেল/গ্রুপ সেটআপ ও ব্র্যান্ডিং
  • মেম্বার বাড়ানো (রিয়েল ও টার্গেটেড)
  • বাল্ক মেসেজ / ব্রডকাস্ট সার্ভিস
  • কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট (পোস্ট তৈরি ও শিডিউল)
  • বট সেটআপ (Auto-reply, কুইজ, ফর্ম ইত্যাদি)
  • স্পন্সরড পোস্ট প্লেসমেন্ট (আপনার বা অন্যদের চ্যানেলে)

উপরোক্ত সার্ভিস গুলো আপনি দিতে পারেন। এই ধরনের সার্ভিসগুলো দেওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু বিষয়ে দক্ষ হতে হবে যেমনঃ

  • কনটেন্ট রাইটিং
  • কাস্টমার কমিউনিকেশন
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • কিছুটা বেসিক বট কোডিং (বা বট বিল্ডার টুল জানা)
টেলিগ্রাম মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে ইনকামের পরিমাণঃ 
  • চ্যানেল সেটআপ করে দিয়ে $30 – $100+ ডলার পেতে পারেন। 
  • বট সেটআপ করে $20 – $150+
  • মেম্বার বাড়ানো (1000 মেম্বার): $10 – $50 (রিয়েল হলে আরও বেশি)
  • কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট: $100 – $500/মাস
  • স্পন্সরড পোস্ট (আপনার চ্যানেলে): প্রতি পোস্টে $10 – $200+ ডলার নিতে পারেন

পেইড গ্রুপ কোচিং / ট্রেনিং

আপনার যদি কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকে তাহলে সেই বিষয়টি নিয়ে টেলিগ্রামে পেইড চ্যানেল খুলে ট্রেনিং দিতে পারেন। মূল কথা আপনি পেইড চ্যানেল খুলে কোর্স করিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে টেলিগ্রাম চ্যানেল খুলে ইনকাম করা সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ  ১০টি সেরা বাংলাদেশি app দিয়ে টাকা ইনকাম ২০২৫

এক্ষেত্রে আপনার এমন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে যেগুলোর বর্তমানে চাহিদা বেশি। আর সে বিষয়গুলোতে মানুষজন অনলাইনে শিখতে চাই। এমনই একটি বিষয় হলো ফ্রিল্যান্সিং। আপনি চাইলে টেলিগ্রামে পেইড চ্যানেল খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কোর্স ফি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখাতে পারেন।

এভাবে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সাররা টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করছে। আপনি যদি এমন কোন ডিমান্ডেবল বিষয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে টেলিগ্রামে পেইড গ্রুপ খুলুন এবং সেখানে দর্শকদের শিক্ষাদান করে আয় করুন। 

টেলিগ্রামে ফ্রিল্যান্স সার্ভিস বিক্রি করা

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি যদি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর সার্ভিস গুলো টেলিগ্রামে দিতে পারেন। বর্তমানে সকলেই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস প্রদান করে থাকে। আপনি চাইলে ব্যতিক্রমভাবে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খুলে সেখানে মেম্বার সংখ্যা বাড়িয়ে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস গুলো বিক্রি করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস বিক্রি করে টেলিগ্রাম থেকে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজগুলোতে দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অনেকগুলো কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে যেমনঃ কন্টেন্ট রাইটিং , গ্রাফিক্স ডিজাইন , ভিডিও এডিটিং , ফেসবুক মার্কেটিং , ডেভেলপমেন্ট ও এসিও।

এই কাজগুলোতে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি এই কাজগুলোর সার্ভিস দিয়ে টেলিগ্রাম অ্যাপটি ব্যবহার করে আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস বিক্রি করে আয় করার উপায়ঃ

  • টেলিগ্রাম চ্যানেল অথবা গ্রুপে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে বেশি বেশি পোস্ট করুন। 
  • গ্রাহক বা দর্শকদের আপনার সার্ভিস সম্পর্কে অবগত করুন এবং ডিসকাউন্ট দিন
  • আকর্ষণীয় সার্ভিস হলে খুব দ্রুত বিক্রয় করতে পারবেন।
  • তাই আকর্ষণীয় বিষয়গুলোতে সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করুন।

এভাবে নিয়ম মেনে কাজ করলে টেলিগ্রামে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দিয়ে আয় করা যায়।

টেলিগ্রাম বট তৈরি করে আয়

কোডিং বা প্রোগ্রামিং জানলে টেলিগ্রাম বট তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। টেলিগ্রাম বট তৈরি করে বর্তমানে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়। আপনি বিদেশী ক্লাইন্টের টেলিগ্রাম বট তৈরি করে দিয়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন।

এই কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের বেশি পাওয়া যায়, যেখানে আয় করা সম্ভাবনা বেশি থাকে। টেলিগ্রাম বট তৈরি করার জন্য কোডিং বিষয়ে নলেজ থাকা জরুরী। এছাড়া বর্তমানে ফ্রীতে বিভিন্ন সাইট ব্যবহার করে টেলিগ্রাম বট তৈরি করা যায়। টেলিগ্রাম বট তৈরি করার সাইটগুলো হলঃ

  • Manybot
  • Chatfuel
  • Bots.Business
  • Tidio / Flow XO

এবার অনেকেই প্রশ্ন করেন টেলিগ্রাম বট বানালে সেগুলো কোথায় বিক্রি করব? কোথায় বট সার্ভিস অফার করবেন? নিম্নে দেখে নিন।

  • Fiverr, Upwork, Freelancer
  • Facebook Groups (Telegram Bot Developer)
  • নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ
  • YouTube টিউটোরিয়াল বানিয়ে ক্লায়েন্ট জোগাড় করা
  • Reddit

উপরোক্ত প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপনি টেলিগ্রাম বট সার্ভিস অফার করতে পারেন। এই টেলিগ্রাম বট সার্ভিস দিয়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে 1000 ডলারের বেশি ইনকাম করা সম্ভব। 

স্পনসরশিপ ও বিজ্ঞাপন – টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম

আপনার চ্যানেলে যদি অনেক সাবস্ক্রাইবার থাকে, তবে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন নিয়ে ইনকাম করতে পারেন। পাশাপাশি টেলিগ্রাম চ্যানেলে অনেক মেম্বার থাকলে আপনি সেখানে প্রোডাক্ট মার্কেটিং এবং প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করতে পারেন।

এছাড়াও এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট শেয়ার করেও ইনকাম করতে পারবেন। যদি সহজ উপায়ে ইনকাম করতে চান তাহলে টেলিগ্রাম থেকে এই উপায়ে আয় করুন। আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে কোম্পানির কাছ থেকে নির্দিষ্ট কমিশন নিয়ে আয় করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই বড় ধরনের একটি চ্যানেল থাকতে হবে। পাশাপাশি যদি টেলিগ্রাম গ্রুপ থাকে তাহলে স্পন্সর শিপ থেকেও আয় করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ  লুডু গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট নিন ২০২৫

এই পদ্ধতিতে 10 থেকে 20 হাজার টাকা বা তার বেশি ইনকাম এর সম্ভাবনা থাকে। যদি আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে 1 থেকে 5 লক্ষের বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকে তাহলে আপনি প্রতি মাসে 30 থেকে 50 হাজার টাকা মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। 

টেলিগ্রাম মনিটাইজেশন থেকে ইনকাম

আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেল থাকলে আপনি সেখান থেকে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। টেলিগ্রাম মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল থাকতে হবে। এর জন্য সরাসরি টেলিগ্রাম অ্যাপটি ডাউনলোড করে ফ্রিতেই টেলিগ্রাম চ্যানেল খুলে নিন।

টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপনার কন্টেন্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছবি যোগ করুন। আপনার চ্যানেলের বিষয় অনুযায়ী প্রতিদিন কনটেন্ট আপলোড করতে থাকবেন। আপনি চাইলে ভিডিও ,রাইটিং content ইত্যাদি শেয়ার করতে পারেন। যখন আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ হবে তখন আপনি মনিটাইজেশনের মাধ্যমে অ্যাড দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।

মনিটাইজেশন পেলে আপনি অ্যাড দেখানো সুযোগ পাবেন। তারা আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের এড দেখাবে এবং আপনাকে ইনকাম প্রদান করবে। আপনার ইনকাম করা অর্থ টেলিগ্রাম ওয়ালেটে TON কয়েন হিসেবে জমা হবে। যা পরবর্তীতে ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি উত্তোলন করতে পারবেন।

এই উপায়ে সহজে মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারা যায়।  আপনার যদি কোন ইউটিউব চ্যানেল অথবা ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থাকে তাহলে সেখানে টেলিগ্রাম চ্যানেলের লিংক শেয়ার করে টেলিগ্রাম চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। এভাবে চ্যানেলের মেম্বার বা সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা সহজেই বাড়ানো যায়। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে

টেলিগ্রাম চ্যানেলে অনেক বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকলে আপনি এই উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে আয় করা সম্ভব। পাশাপাশি আপনার যদি অনেক বড় গ্রুপ থাকে তাহলে সেখানে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন।

বিভিন্ন কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রামে রেজিস্টার করুন এবং এফিলিয়েট লিংক টেলিগ্রাম গ্রুপে শেয়ার করে আয় করুন। বর্তমানে এমাজন , দারাজ ইত্যাদি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ দিচ্ছে।

আপনি এখানে ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে রেজিস্টার করে তাদের প্রোডাক্ট প্রমোশন করে অথবা বিক্রি করে দেয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কমিশনে আয় করতে পারেন। 

পেইড সাবস্ক্রিপশন চ্যানেল 

যদি বিশেষ কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে পেইড সাবস্ক্রিপশন চ্যানেল খুলে সেখানে গ্রাহকদের বা দর্শকদের শিক্ষা দিয়ে আয় করতে পারেন। একমাত্র কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ হলেই আপনি গ্রাহকদের শেখাতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট ফি নেওয়ার মাধ্যমে পেইড চ্যানেল চালিয়ে আয় করতে পারবেন। 

টেলিগ্রামে অ্যাপ রেফার করে ইনকাম

বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ পাবেন যেখানে রেফারেল প্রোগ্রাম চালু থাকে। আপনি সেই অ্যাপ গুলো মোবাইল ইনস্টল করে রেফারেল প্রোগ্রামে জয়েন হয়ে, রেফার করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। রেফার সম্পূর্ণ করার জন্য রেফার লিংক শেয়ার করতে হয়।

আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেল থাকলে সেখানে রেফার লিংক শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যদি আপনার রেফার লিংক থেকে টেলিগ্রামে থাকা কোন ব্যক্তি একাউন্ট খুলে বা অ্যাপটি ডাউনলোড করে তাহলে আপনি রেফার বোনাস পেয়ে যাবেন।

এভাবে কিন্তু বিভিন্ন মোবাইল আর্নিং অ্যাপ থেকে রেফার করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। কোন কোন অ্যাপ ব্যবহার করে রেফার ইনকাম করা যায় তা সম্পর্কে আমরা আর বিস্তারিত আলোচনা করছি না। কারণ ইতি মধ্যেই আমরা অন্য একটি পোস্টে রেফার করে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশে আলোচনা করেছি। 

শেষ কথা

সর্বশেষে বলা যায় টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করা সম্ভব, যদি আপনি সঠিক উপায় গুলো জেনে কাজ করা শুরু করতে পারেন। আমরা আর্টিকেলটিতে টেলিগ্রাম থেকে কিভাবে কার্যকরী ভাবে ইনকাম করা যায় তা সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে অবশ্যই টেলিগ্রাম থেকে আয় করার উপায় গুলো সঠিকভাবে জানতে পারবেন। এই ধরনের আরো অনলাইন ইনকাম রিলেটেড সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। 

Leave a Comment