প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নিয়ে নিন খুব সহজ উপায়ে। বর্তমান সময়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার কিছু সহজ উপায় রয়েছে, যেই উপায়গুলো আপনি অবলম্বন করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করে বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন। তাই আমরা আজকের পুরো আর্টিকেলে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বন্ধুরা প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই পোস্টটি ভাল করে মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কারণ আমরা এখন এমন কিছু জনপ্রিয় অ্যাপস ও উপায় সম্পর্কে জানতে পারব যার সাহায্যে আপনি খুব সহজে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নিতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন।
উপস্থাপনা
প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া তেমন একটা কঠিন ব্যাপার নয়, আপনি চাইলে খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের টাক্স কমপ্লিট করে অথবা বিভিন্ন সাইটে কাজ করার মাধ্যমে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ে সামান্য একটু বুদ্ধি খাটিয়াই অনলাইনে কাজ করলেই টাকা ইনকাম করা যায়। টাকা ইনকাম করার এমন অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো জানলে আপনি খুব সহজেই টাকা আয় করে ফেলতে পারবেন।
যারা নিয়মিত অর্থাৎ প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করতে চান তারা অবশ্যই আমাদের দেখানো উপায় গুলো অনুসরণ করবেন। আমরা বেশ কিছু জনপ্রিয় উপায় তুলে ধরব যার সাহায্যে আপনি প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এবার চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার উপায়
বাংলাদেশের বর্তমানে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন ধরনের সোর্স রয়েছে। আপনি চাইলে সেই সোর্স গুলো অবলম্বন করে অতি সহজে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর এই টাকাগুলো আপনি বিকাশে অথবা নগদে এবং অন্যান্য পরিমাণ মেথড হিসেবে নিতে পারবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ অনেকগুলো অ্যাপস রয়েছে যেখানে কাজ করেও টাকা আয় করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কাজ করে দৈনিক ১০০ থেকে ২০০ টাকা আয় করতে পারবেন। তবে আমরা যেহেতু প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করব সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার উপায় গুলো জেনে রাখতে হবে। কিভাবে আপনি প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিবেন সেই উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- আর্টিকেল লেখালেখি করে ইনকাম
- ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
- রেফার করে ইনকাম
- ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট
- ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম
- অনলাইন শিক্ষকতা করে ইনকাম
- ফরেক্স অথবা অনলাইন ট্রেডিং করে ইনকাম
- ফুড ডেলিভারি করে ইনকাম
- রাইড শেয়ারিং করে ইনকাম
আপনারা উপরের দেখানো উপায় গুলো অবলম্বন করে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নিয়ে নিতে পারবেন। তবে আপনাদের অবশ্যই উপায় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে বিস্তারিত জানতে হবে। এজন্য আমরা এখন উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। চলুন নিম্নে উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জেনে আসি।
১। আর্টিকেল লেখালেখি করে ইনকাম
বন্ধুরা আপনারা কি জানেন বর্তমানে বাংলা ও ইংরেজি আর্টিকেল লেখালেখি করেও ইনকাম করা যায়। আপনি যে কোন দুটি ভাষাতে আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন। তবে বাংলা আর্টিকেল লেখায় সাধারণত কম ইনকাম করা যায়। সাধারণত ইংরেজি আর্টিকেল এর চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে ইংরেজি আর্টিকেল লিখে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।
এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ইংরেজি আর্টিকেল এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি প্রতিদিন একটি করে ইংরেজি আর্টিকেল লিখেই ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি বাংলা আর্টিকেল লিখে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশ পেমেন্ট নেওয়া যায়। আপনি যদি কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল লেখায় দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
বাংলা আর্টিকেল লিখে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে অর্ডিনারি আইটি ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করুন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেটি আপনি গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। এছাড়াও ফেসবুকে বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আর্টিকেল লেখার অনেক সাইট বা পেজ পেয়ে যাবেন। আর যারা ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে পারেন তারা অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করবেন।
২।ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম
প্রিয় বন্ধুরা, আমি যদি অনলাইন সেক্টরে বেশি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ওয়েবসাইট বানিয়েই ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ওয়েবসাইটের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি নিজে ওয়েবসাইট বানাতে পারেন তাহলে সেই ওয়েবসাইটটি বিক্রি করে প্রতি মাসেই 20 থেকে 50 হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা আয় করতে পারবেন। ওয়েবসাইট বানানোর জন্য ডোমেইন-হোষ্টিং ক্রয় করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ ফ্রী লটারি খেলে টাকা ইনকাম
এছাড়াও আপনি গুগলে প্ল্যাটফর্মে অর্থাৎ blogger.com এ ফ্রিতেই ডোমেইন কিনে ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। শুধুমাত্র দুই হাজার টাকা দিয়ে একটি ডোমেন কিনেই ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন। আর সেই ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স আবেদন করে এপ্রুভ পেলেই আপনি বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভ করে নিজেই আর্টিকেল লিখে প্রতিদিন ৪০০ টাকা বা তার বেশি আয় করতে পারবেন।
পাশাপাশি আপনি ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভ করিয়ে সেটি বিক্রি করেই ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে বুঝতে পারছেন ওয়েবসাইট বানিয়ে বা ওয়েবসাইটে কাজ করে কতটা ইনকাম করা যায়। তাই অযথা সময় নষ্ট না করে মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করেই ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলুন।
৩। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
বর্তমানে অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করছে। আপনি চাইলে ফ্রিতেই কোম্পানির এফিলেট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য মার্কেটিংয়ের কাজ দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন। আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের পণ্যগুলো বিক্রি করে দিতে পারলেই টাকা আয় করতে পারবেন।
মূলত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন হয়ে এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে কোন ব্যক্তি সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট ক্রয় করলে আপনি প্রতিটি প্রোডাক্ট এর ক্রয় করার বিনিময়ে নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। এই কমিশনগুলো আপনার একাউন্টে জমা হতে থাকবে। এভাবে আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা youtube এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন।
৪। রেফার করে ইনকাম
বর্তমানে রেফার করেও বিভিন্ন সাইটে কাজ করে ইনকাম করা যায়। আপনি বাংলাদেশী অ্যাপ বিকাশ রেফার করেই প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রতি একটি রেফারে বিকাশ অ্যাপ ২০ থেকে ৫০ টাকা বোনাস দিয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি যেকোনো অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মে রেফারের কাজ করেই ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যেই প্লাটফর্মে জয়েন হবেন সেখানে আপনি নিজের একটি রেফার লিংক পাবেন। এখন আপনি এই লিংকটি শেয়ার করার মাধ্যমে যতজন ব্যক্তিকে সেই প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট খুলবে তত আপনার ইনকাম হবে।
মূলত আপনার রেফারেল লিংক ব্যবহার করে কেউ অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্ম গুলোতে জয়েন হলেই আপনার ইনকাম হতে থাকবে। এমনই কিছু বাংলাদেশি অ্যাপ রয়েছে যেখানে ফ্রী তে রেফার করে টাকা ইনকাম করা যায়। ইতিমধ্যেই আমরা বিকাশ অ্যাপ এর কথা বলেছি, যেটি মূলত একটি বাংলাদেশী অ্যাপ। এছাড়াও আপনি বাংলাদেশী নগদ ও উপায় অ্যাপ ব্যবহার করে রেফার করেও টাকা আয় করতে পারবেন। নিম্নে বেশ কিছু জনপ্রিয় রেফার করে টাকা ইনকাম করার অ্যাপের নাম তুলে ধরা হলোঃ
- গুগল পে
- আর্ন মানি
- কিউ লিংক
- ওয়াইসেন্স
- টেরা বক্স
- টাস্কবক্স
- আর্ন ক্যাশ
৫। ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট
ফ্রি কুইজ খেলেই প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশী অনেকগুলো অ্যাপ রয়েছে যেখানে ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ বিকাশ ব্যবহার করেই ফ্রি কুইজ খেলতে পারবেন। আপনি সেইসব ওয়েবসাইটগুলোতে কুইজে সঠিক উত্তর দিয়ে, কুইজ গেম খেলে ও নির্দিষ্ট টাস্ক কমপ্লিট করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
পাশাপাশি আপনি বাংলাদেশী অ্যাপ কুইজ কিং থেকেও ফ্রি কুইজ খেলে টাকা আয় করতে পারবেন। ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করার জন্য Quiz Box,Perk Pop Quiz,Quiz King,BD Earning Quiz Game app,Brainbaazi app,WiNiT app ইত্যাদি জনপ্রিয় অ্যাপ গুলোতে কাজ করতে পারেন। এই অ্যাপগুলোতে আপনি প্রতিদিন ফ্রি কুইজ খেলেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আজ থেকেই ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম শুরু করুন।
৬। ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নিতে চান তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরেই কাজ করে অনলাইন থেকে সহজে টাকা আয় করা যায়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই টাকা পেমেন্ট পাবেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো খুবই বিশ্বস্ত। এখানে প্রায় সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সার গুলো নিজেদের মধ্যে কাজ করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি কাজ করে ডলার ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন।
ধরুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজে দক্ষ, তাহলে আপনি এই গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে করতে পারবেন এবং সেখান থেকে ভালো একটা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে, আপনিও চাইলে শুধুমাত্র একটি স্কিল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন।
৭। ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম
ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিভাবে ইনকাম করা সম্ভব এই সম্পর্কে অনেকেরই অজানা নয় অর্থাৎ সকলেই ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো জানেন। আমরা যেই ইউটিউবে ভিডিও দেখি, সেই ভিডিওতে মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন চলে আসে। এই বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমেই সেই ইউটিউব চ্যানেলের মালিক ইনকাম করে থাকে। একইভাবে আপনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এভাবে অনেকেই প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইউটিউব থেকে ইনকাম করছে। তাই নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করুন। ইউটিউবে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে , ভিডিও বানিয়ে , চ্যানেল প্রমোশন করে , প্রোডাক্ট রিভিউ করে , গেম খেলে ও লাইভ স্ট্রিম করে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই সকল উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করা সম্ভব।
৮। অনলাইন শিক্ষকতা করে ইনকাম
আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং কোন সাবজেক্ট যদি আপনার ভালো লাগে অর্থাৎ সেই সাবজেক্টটিতে আপনি পারদর্শী তাহলে আপনি সেই সাবজেক্টটি নিয়েই অনলাইনে শিক্ষকতা করে ইনকাম করতে পারবেন। প্রত্যেকেই বিভিন্ন সাবজেক্টে পারদর্শী হয়ে থাকে, তাই আপনি আপনার নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ভিডিও আপলোড করে অথবা শিক্ষকতা করে টাকা আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে বেশিরভাগ ছাত্ররা বার শিক্ষকরা অনলাইনে শিক্ষকতা করে ইনকাম করছে। এছাড়াও আপনি যদি পাঠ্য বইয়ের বিষয় ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং নিয়েও অনলাইনে কোর্স করাতে পারেন এবং শিক্ষকতা করতে পারেন। এভাবেই অনলাইনে প্রতিদিন বা প্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
৯। ফরেক্স অথবা অনলাইন ট্রেডিং করে ইনকাম
টাকা খরচ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করার চিন্তা ভাবনা থাকলে আপনি অনলাইন ট্রেডিং করতে পারেন। বর্তমানে অনেকেই অনলাইন প্লাটফর্মে টাকা ইনভেস্ট করে ট্রেডিং করার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। আপনিও চাইলে এভাবেই অনলাইন প্লাটফর্মে ফরেক্স ট্রেডিং করে ইনকাম করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাদের ফরেস্ট ট্রেডিং অথবা অনলাইন ট্রেডিং সম্পর্কে দক্ষতা ও ধারণা থাকতে হবে।
কারণ ট্রেডিং করতে হলে ট্রেডিং এর বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হয়, ট্রেডিং এর অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যেগুলো না জানলে আপনি ট্রেডিং করে টাকা লস করতে পারেন। তাই যাদের ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তারা চাইলে ট্রেডিং করতে পারেন। তবে ট্রেডিং এ এক্সপার্ট হলে ঝুঁকির কোন সম্ভাবনা নেই বরং আপনি প্রচুর টাকা লাভ করতে পারবেন। সামান্য ২০ থেকে ৩০ ডলার ইনভেস্ট করেই প্রতিদিন তিন থেকে চার ডলার ট্রেডিং করে ইনকাম করা যায়।
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ
বন্ধুরা আপনারা কি জানেন বাংলাদেশে অনেকগুলো অ্যাপ রয়েছে যেখানে কাজ করেই প্রতিদিন টাকা ইনকাম করা যায়। এজন্য আমরা এখন বাংলাদেশি টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। নিম্নে বেশ কিছু জনপ্রিয় টাকা ইনকাম করার অ্যাপ গুলোর নাম এর তালিকা দেওয়া হলঃ
- Earn Money App
- swagbucks
- ysense
- Taka Income BD
- Meesho
- Taka Income Pro
- Bikash app
- Facrbook
- Fiverr
- Linkedin Mobile
উপরোক্ত অ্যাপগুলোতে কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া যাবে। তাই যারা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তারা উপরে দেখানো বাংলাদেশি সহ বিদেশি অ্যাপ গুলোতে কাজ করতে পারেন। এই অ্যাপগুলো সম্পর্কে আপনি গুগলে অথবা youtube এ সার্চ করলেই বিস্তারিত জানতে পেরে যাবেন যাবেন।
শেষ কথা
আশা করছি আপনারা প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার ১৫টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আমরা আর্টিকেলটিতে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ গুলোর নাম তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যার ফলে আপনি সেই অ্যাপ গুলোতে কাজ করে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মূলত অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে পরিশ্রম করে কাজ করতে হয়। পাশাপাশি ধৈর্য দিয়ে কাজ করে গেলেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। তাই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে সঠিক লক্ষ্য রেখে কাজ করুন তাহলে ইনকাম করতে পারবেন। আশা করছি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি।