এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব করুন সেরা কিছু জনপ্রিয় উপায়ে, আর উপায় গুলো আমরা আজকের পোস্টটির মাধ্যমেই জানানোর চেষ্টা করব।তাই যারা এসএসসি পাস করেছেন তারা চাইলে আমাদের দেখানো উপায় গুলো অবলম্বন করে ঘরে বসেই অনলাইনে এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব করতে পারেন।
বন্ধুরা আপনি যদি এসএসসি পাস করে থাকেন এবং পার্টটাইম জব খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাহলে আজকের পোস্টটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের আর্টিকেলে এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব আইডিয়া গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন জেলা থেকেই পার্টটাইম জব করার সুযোগ সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও আজকের পোস্টটিতে ঢাকা মোহাম্মদপুর পার্ট টাইম জব,পার্ট টাইম জব উত্তরা ২০২৪ ,পার্ট টাইম জব ঢাকা ২০২৪,কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব,পার্ট টাইম জব চট্টগ্রাম ২০২৪,রংপুরে পার্ট টাইম জব ২০২৪ ,আড়ং পার্ট টাইম জব ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে।
ভূমিকা
এসএসসি পাস করার পর আমরা সকলেই কলেজে ভর্তি হয়ে থাকি। আর বর্তমানে কলেজে অনেকটা পড়াশোনা খরচ বেড়ে যায়। আপনার এই পড়াশুনার খরচ চালানোর জন্য পার্ট টাইম জব করতে পারেন। অনেকেরই হাত খরচের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে যারা কলেজে পড়েন তাদের তো অনেকটা পড়াশোনা খরচের সাথে সাথে হাত খরচে চাহিদা বেড়ে যায়।
এজন্য আপনি চাইলে অনলাইনে কিছু পার্টটাইম জব করে পড়াশোনা খরচ চালানোর পাশাপাশি হাত খরচ চালাতে পারেন। আপনি চাইলে ঘরে বসেই পড়াশোনা করার পাশাপাশি কিছু সময় দিয়ে পার্ট টাইম জব করেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাদের অনলাইন পার্ট টাইম জব আইডিয়াগুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।
আমরা এখন এমন কিছু জনপ্রিয় অনলাইন পার্ট টাইম জব আইডিয়াগুলো তুলে ধরব যেগুলো আপনি অনুসরণ করে খুব সহজে ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। তাছাড়া যারা পড়াশোনা খরচ চালাতে পারছেন না, তারা চাইলে এই পার্ট টাইম জব করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারেন। তাই দেরি না করে এখনই পোস্টটি শুরু থেকে মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলেই এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব আইডিয়া
প্রতিটি ছাত্রের স্টুডেন্ট লাইফে টাকার প্রয়োজন পড়ে, বিশেষ করে পড়াশুনা খরচ ও বাড়তি হাত খরচ চালানোর জন্যও টাকার প্রয়োজন হয়। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের মা-বাবারা তাদের সন্তানদের গ্রাম থেকে শহরে পড়ালেখা করার জন্য পাঠিয়ে থাকে। আর তারা তাদের সন্তানদের নির্দিষ্ট পরিমাণ পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা পড়াশোনার খরচ প্রতি মাসে দিয়ে থাকে। তবে স্টুডেন্টরা অনেক সময় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা দিয়ে পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে যায়।
পাশাপাশি রয়েছে নিজের পকেট খরচ, আপনি চাইলে নিজের পকেট খরচ বা বাড়তি খরচ চালানোর জন্য এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব করতে পারেন। আপনি পড়াশোনা করার পাশাপাশি নিজের খরচ চালানোর জন্য এই পার্ট টাইম জব গুলো করতে পারেন। নিম্নে আমরা বেশ কিছু জনপ্রিয় এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জবের আইডিয়াগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। নিচে জনপ্রিয় ১০টি অনলাইন ভিত্তিক পার্টটাইম জবের নাম তুলে ধরা হলোঃ
আর্টিকেল রাইটার পার্ট টাইম জব
স্টুডেন্টদের জন্য অনলাইনে পার্ট টাইম জব হিসাবে আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আমার মতে ছাত্রদের জন্য আর্টিকেল রাইটিং একটি সেরা অনলাইন পার্টটাইম জব। যারা পার্ট টাইম জব করতে চাচ্ছেন তারা ঘরে বসেই অনলাইনে কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি কন্টেন রাইটিং দুই ভাবে করতে পারেন, মূলত আপনি বাংলা অথবা ইংরেজিতে কন্টেন রাইটিং করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার উপায়
তবে ইংরেজিতে কন্টেন রাইটিং এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আর ইংলিশে কনটেন্ট রাইটিং করলে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। তবে পাশাপাশি আপনি বাংলায় ভালো হয়ে থাকলে বাংলাতেও কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ইন্টারনেটে প্রায় অনেক ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখানে আপনি প্রতিদিন কন্টেন্ট রাইটিং করে দৈনিক ইনকাম করতে পারবেন। আজকাল বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্টের প্রমোশন করার জন্য কনটেন্ট রাইটারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ডলার ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নেওয়ার সাইট
আপনি চাইলে সেই সকল কোম্পানি অথবা নিউজ চ্যানেল এর সাথে কাজ করতে পারেন। এ কাজগুলো আপনি ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনার ইন্টারনেট কানেকশনটি দ্রুত সম্পন্ন হতে হবে। এছাড়াও আপনার যদি কনটেন্ট রাইটিং এ এক্সপেরিয়েন্স থেকে থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করেও সরাসরি ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে প্রচুর স্টুডেন্টরা এই কাজের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে, তার অন্যতম কারণ হলো কন্টেন্ট রাইটিং কাজ খুবই সহজ। আপনি কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং করে প্রতি মাসেই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার কনটেন্ট হাই কোয়ালিটির ইউনিক এসইও সম্পন্ন হতে হবে।
আপনি প্রতিটি বাংলা আর্টিকেল ১০০০ থেকে ২০০০ শব্দে লেখার জন্য ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পেতে পারেন। এছাড়াও ইংলিশ আর্টিকেল 1000 শব্দে লিখলেই ৫ থেকে ৭ ডলার আয় করতে পারবেন। বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। পাশাপাশি ইংলিশ আর্টিকেল লিখে আয় করার চিন্তা ভাবনা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলুন এবং ইনকাম করুন।
পার্ট টাইম কাজ করুন ইউটিউবে
বর্তমানে অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় উৎস হল ইউটিউব। আপনি নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে ভিডিও আপলোড করেই ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউব চ্যানেল খুলে বর্তমানে প্রচুর লোক অনলাইন থেকে ইনকাম করছে। ভিডিও দেখার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলে ইউটিউব, আর এই ভিডিও আপলোড করে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনি কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ হলে সেই বিষয়ে প্রতি ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানেন এবং অভিজ্ঞ, তাহলে আপনি এই ডিজিটাল মার্কেটিং জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ভিডিও বানিয়ে অন্যদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। এভাবে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ ও জানেন তার ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করুন।
আর এভাবেই একজন স্টুডেন্ট চাইলে তার অবসর সময়ে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ভিডিও আপলোড করার পর আপনার চ্যানেলে যখন সাবস্ক্রাইবার হবে তখন আপনি মনিটাইজেশন এপ্লাই করে গুগল এডসেন্স থেকেই ইনকাম করতে পারবেন। তাই আমার মতে পার্ট টাইম জব হিসাবে ইউটিউব সেরা।
এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব করুন ভিডিও এডিট করে
বন্ধুরা আপনি যদি এসএসসি পাস করে থাকেন এবং পার্ট টাইম জব করতে চান তাহলে নিশ্চয়ই ভিডিও এডিট অপশনটি বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে টাকা আয়ের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ভিডিও এডিটিং। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এ দক্ষতা অর্জন করে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও এডিট করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং এর কাজ হল বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপগুলো সাজানো এবং ভিডিওকে আকর্ষণীয়ভাবে স্থাপন করা।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ বড় ইউটিউব চ্যানেল গুলো ভিডিও এডিট এর জন্য ভিডিও এডিটর নিয়োগ দিয়ে থাকে। তারা ভিডিও এডিট করার জন্য প্রায় ভালো মানের ভিডিও এডিটর নিয়োগ দেয়। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এ এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে তাদের সাথে কাজ করে প্রতি মাসেই ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
ভিডিও এডিট করতে হলে আগে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে জানতে হবে, পাশাপাশি আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার দিয়ে কাজ শিখতে পারেন এবং সার্ভিস দিতে পারেন। আপনি ভিডিও এডিটিং এ দক্ষ হয়ে থাকলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলবেন এবং ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগ করবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
বন্ধুরা আপনারা এসএসসি পাশ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজগুলো করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি ব্যবসা পদ্ধতি যেখানে আপনার কাজ হবে প্রতিষ্ঠানের বা কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোশন করে দেওয়া এবং সেগুলো বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। আপনি যেকোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারেন।
এখানে আপনার কাজ হবে কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিউ লেখা এবং সেগুলো গ্রাহকদেরকে ভালোভাবে জানানো। মূলত কাজ হল কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রচার করা। এভাবেই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে অনলাইনে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ঘরের বাইরে যেতে হয় না, আপনি ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অর্থাৎ ফেসবুকে কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রচার করুন। এভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে এসএসসি পাশে ইনকাম করতে পারেন।
ব্লগিং(অনলাইন লেখালেখি করা)
বর্তমানে প্রায় সকল ক্ষেত্রে অনলাইন থেকে আয় করার সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্লগিং জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই ব্লগিং করার মাধ্যমে অনেক মানুষ অনলাইন থেকে প্রচুর টাকা উপার্জন করছে। বর্তমানে সাধারণ চাকরির তুলনায় ব্লগিং করেই বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। তাই চাকরির পিছনে না ছুটে আপনি চাইলে ব্লগিংকে পেশা হিসেবে নিয়ে নিতে পারেন।
এজন্য আপনাদের অবশ্যই প্রফেশনাল ব্লগার হতে হবে। আপনি স্টুডেন্ট হয়ে থাকলে প্রথমদিকে পার্ট টাইম জব হিসেবে ব্লগিং করতে পারেন। এরপর আস্তে আস্তে ব্লগিং সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আর প্রফেশনাল ব্লগার হলে আপনি খুব সহজেই চাকরি থেকেও বেশি টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। ব্লগিং শুরু করতে হলে অনলাইনে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
এরপর আপনি ব্লগ সাইটে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করবেন। তবে ব্লগিং করার জন্য অবশ্যই কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে জানতে হবে। কিভাবে কনটেন্ট রাইটিং করতে হয়, কিভাবে এসইও সম্পূর্ণ আর্টিকেল লিখতে হয় এই সম্পর্কে জানতে আপনি গুগলে সার্চ করতে পারেন। বর্তমানে গুগলেও ইউটিউব প্লাটফর্মে এই নিয়ে অনেক ভিডিও রয়েছে যা দেখে আপনি ফ্রিতেই ব্লগিং কাজ শিখতে পারবেন। এভাবেই এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব করুন ব্লগিং করে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন পার্ট টাইম জব করুন
পড়াশোনা করার পাশাপাশি আপনি এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব হিসাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন। এ কাজটি অনলাইনেই পার্ট টাইম জব হিসেবে করা যায়। তবে এক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা ও দক্ষতা থাকতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আপনি লোগো ডিজাইন , ব্যানার ডিজাইন , পোস্টার ডিজাইন , কাপড় ডিজাইন ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারবেন। আপনি কাজগুলো করে সরাসরি মার্কেটপ্লেস থেকেই টাকা আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে অনেক কোম্পানিগুলো তাদের ব্যান্ডের প্রমোশন করার জন্য নিজেদের লোগো , ব্যানার বানিয়ে থাকে। আর তারা এগুলো বানানোর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের ভাড়া করে থাকে। তাই আপনি যদি একটু ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে এই ধরনের কোম্পানির সাথে কাজ করে প্রতি মাসে টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন ছবি এডিট করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে পড়াশোনা পাশাপাশি প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক ডিজাইন করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস দিতে পারবেন। সেখানে প্রতিটি গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য কমপক্ষে 10 থেকে 100 ডলার পেতে পারেন।
এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব ফ্রিল্যান্সিং করুন
বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইচ্ছামত টাকা ইনকাম করার অন্যতম উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। এই সেক্টরে কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। আপনি যখন চাকরি করেন তখন নিশ্চয়ই সঠিক টাইমে অফিসে প্রবেশ করতে হয়।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি যেকোনো সময় নিজের ইচ্ছামত কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে তার মধ্যে থেকে আপনি যদি যেকোনো একটিতেও অভিজ্ঞ ও দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যে ধরনের কাজগুলো আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন তা দেওয়া হলঃ
- কনটেন্ট রাইটিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েবসাইট এসইও
- ভিডিও এডিটিং
- ট্রান্সলেশন জব
- লোগো ডিজাইন
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব ডাটা এন্ট্রি
আপনি ছাত্র হয়ে থাকলে নিজের হাতে থাকা মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করেই ডাটা এন্টির কাজ করতে পারবেন। আপনি যেকোন জেলাতে বসেই অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাদের টাইপিং দক্ষতা ও কম্পিউটার বেসিক ধারণা থাকতে হবে। ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে চাইলে অবশ্যই ইংলিশে দক্ষতা হতে হবে,
কারণ ডাটা এন্টির কাজ সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইংলিশে হয়ে থাকে। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ডাটা দেওয়া হবে সেটি আপনি বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ভালোভাবে সাজাবেন, এটি হলো আপনার ডাটা এন্টির কাজ। ডাটা এন্টির কাজ ডিজিটাল ডিভাইসে করতে হয়। ডাটা এন্টির কাজ পাওয়ার জন্য ফাইবার , ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলুন।
ওয়েবসাইট বিক্রয় করে পার্ট টাইম জব
আপনারা যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন কিছু সময় দিয়ে নিজে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রয় করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। পার্ট টাইম জব হিসাবে এটি আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে। আপনি ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা খরচ করে ডোমেন হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এবার প্রতিদিন আর্টিকেল পাবলিশ করবেন।
অবশ্যই আর্টিকেল গুলো ইউনিকো হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে। এভাবে ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লিখে নির্দিষ্ট সময় পর google এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভ পেয়ে গেলে আপনি সেই ওয়েবসাইটটি বিক্রয় করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ঢাকা মোহাম্মদপুর পার্ট টাইম জব
বন্ধুরা আপনারা কি ঢাকা মোহাম্মদপুর থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই ঢাকা মহম্মদপুর পার্ট টাইম জব সম্পর্কে জানার জন্য আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। আপনি যে স্থানে থাকুন কিনা অনলাইনে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকেই অনলাইনে টাকা আয় করা সম্ভব। উপরের দেখানো উপায় গুলো অনুসরণ করে আপনি ঢাকা মোহাম্মদপুর থেকেও অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই অবশ্যই পোস্টের উপরে এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব অংশটি ভালো করে পড়বেন তাহলেই ঢাকা মোহাম্মদপুর পার্ট টাইম জব করতে পারবেন।
কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব
আপনারা যারা কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব করতে চান তারা অবশ্যই কোম্পানিগুলোতে চাকরির খোঁজ করবেন। বর্তমানে বিভিন্ন আইটি কোম্পানিতে কল সেন্টারের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিস কাস্টমার সেন্টারেও কল সেন্টারের কাজ দেওয়া হয়। কল সেন্টারে কাজ হল কাস্টমারদের সাথে কথা বলা এবং কাস্টমারের সমস্যাগুলোর সমাধান দেওয়া।
কল সেন্টারে কাজ করতে হলে অবশ্যই কথা বলার দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে হবে এবং কল সেন্টার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে সার্ভিস প্রদান করতে হবে। কল সেন্টার পার্ট টাইম জব করতে চাইলে bdjob ওয়েবসাইটে খোঁজ করতে পারেন।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আমরা আপনাদের এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পেরেছি। আপনারা যারা এসএসসি পাস করে পার্টটাইম জব করতে চান তারা পোস্টটি ভাল করে পড়বেন। বিশেষ করে যারা স্টুডেন্ট রয়েছেন তারা নিজেদের খরচ চালানোর জন্য হলেও পার্ট টাইম জব করতে পারেন। আর আমরা পোস্টটিতে পার্ট টাইম জব কিভাবে পাবেন বা করবেন তা সম্পর্কে বলে দিয়েছি। এভাবে আপনি অনলাইনে পার্টটাইম জব করে আয় করতে পারবেন।