৫ হাজার টাকায় ব্যবসা করার বিভিন্ন ধরনের উপায় ও আইডিয়া রয়েছে। আপনার যদি কম পুঁজি হয়ে থাকে তাহলে আপনি শুধুমাত্র ৫০০০ টাকাতেই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাছাড়াও আপনি শিক্ষিত হয়ে থাকলে শিক্ষিত লোকের ব্যবসা আইডিয়াগুলো জেনে ব্যবসা করতে পারেন।
কম পুজিতে ব্যবসা শুরু করতে হলে অবশ্যই ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে হবে এবং ব্যবসা করার আগ্রহ ও দক্ষতা থাকতে হবে। আপনি কম পুঁজি মাত্র পাঁচ হাজার টাকাতেই ব্যবসা শুরু করে ফেলতে পারেন। কিভাবে আপনি ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা করবেন সেই সম্পর্কেই আমরা আজকের পোস্টে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ভূমিকা
ব্যবসা করার দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা না থাকলে কখনোই আপনি কম পুঁজি দিয়ে ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন না। ব্যবসা করে লাভবান হতে হলে সামান্য হলে দক্ষতার প্রয়োজন হয়। আর অবশ্যই ব্যবসা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। যারা বর্তমানে বেকার রয়েছেন বা স্টুডেন্ট রয়েছেন তারা পড়াশোনা করে চালাতে চাইলে ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে কম পুঁজিতেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করা যায়।
এই ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে এবং আর্থিকভাবে সফল হচ্ছে। অনেকে পড়াশোনা করে চাকরির খোঁজ করে থাকেন, তবে সাধ্যমত চাকরি খুঁজে পান না তারা চাইলে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে পারেন। মূলত যাদের ব্যবসা করার বাজেট কম তারা এই ধরনের ছোট ব্যবসা গুলো করতে পারবেন। আর ব্যবসা করলে আপনি নিজের ইচ্ছামত কাজ করতে পারবেন। যা সাধারণত চাকরিতে করা যায় না। ব্যবসা করতে হলে প্রধানত মূলধন , সময় ও ব্যবসা করার মানসিকতা লাগে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রী লটারি খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়
অনেকেরই ব্যবসায়িক মূলধন কম হয়ে থাকে, বিশেষ করে অনেকের ৫ হাজার টাকা মূলধন থাকে। এই কম মূলধন দিয়েও শক্তি ও সঠিক পরিকল্পনা করে ব্যবসা শুরু করা যায়। ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা করার বেশ কিছু জনপ্রিয় আইডিয়া রয়েছে যা আমরা আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করব। আজকের আর্টিকেলে মূলত আপনি 5000 টাকায় কি ধরনের ব্যবসা করতে পারেন সেই সম্পর্কেই জানানোর চেষ্টা করব।
৫ হাজার টাকায় ব্যবসার ৩০টি জনপ্রিয় আইডিয়া
বন্ধুরা আমরা এখন এই অংশটিতে ৫ হাজার টাকায় ব্যবসার ৩০টি জনপ্রিয় আইডিয়া সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা যারা শুধুমাত্র কম পুঁজি অর্থাৎ ৫০০০ টাকা ব্যবসা শুরু করতে যান তাদের জন্য এই অংশটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা এমন কিছু ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে তুলে ধরব যেই ব্যবসা গুলো আপনি ৫ হাজার টাকাতেই শুরু করতে পারবেন ।
আরো পড়ুনঃ কাজ না করে বিকাশে প্রতিদিন ইনকাম করুন
আর এই ব্যবসা গুলো করে আপনারা অনেকেই লাভবান হয়ে আর্থিকভাবে সফল হতে পারবেন। তাছাড়াও এই ছোটখাটো ব্যবসা করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করছে, আপনিও চাইলে কম পুঁজি দিয়ে ছোট ব্যবসা শুরু করে বড় ব্যবসায় পরিণত করতে পারেন। নিম্নে ৫ হাজার টাকায় ব্যবসার ৩০টি জনপ্রিয় আইডিয়া তুলে ধরা হলোঃ
চায়ের দোকানঃ অল্প পুজিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা হল চায়ের দোকান। আপনি চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে প্রতি মাসে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই চায়ের ব্যবসাটি আপনি মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন। চায়ের দোকান খুলতে হলে আগে দোকান ভাড়া নিতে হবে। ছোট একটি দোকান ভাড়া নিয়ে চেয়ার টেবিল কিনে রাখতে হবে।
চায়ের দোকানের প্রয়োজনের সরঞ্জাম গুলোর ব্যবস্থা করুন। অন্যান্য চায়ের দোকান থেকে একটু আলাদা করে সাজাবেন। এভাবে আপনি ছোট একটি চায়ের দোকান দিয়ে পাঁচ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
মোবাইল রিচার্জের দোকানঃ আপনি চাইলে কম পুজিতেই মোবাইল রিচার্জ এর দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা করতে তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। আপনি 5000 টাকা দিয়েই মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি ছোট দোকান ভাড়া নিতে হবে।
৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যেই আপনি দোকান ভাড়া পেয়ে যাবেন। এরপর আপনি নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে চুক্তিবদ্ধ হবেন এবং তাদের কমিশন রেট জেনে নেবেন। এভাবে আপনি নিজের এলাকায় ছোট একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা করতে পারেন।
মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসাঃ অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে হলে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা দিয়ে শুরু করতে পারেন। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মিনারেল ওয়াটারের ড্রাম পৌঁছে দিতে পারেন। বর্তমানে অনেক এলাকায় বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায় না, যার কারণে তারা মিনারেল ওয়াটারের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। আপনি সেই সব এলাকায় বাড়িতে মিনারেল ওয়াটার সাপ্লাই দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। তবে কাজ একটু শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়, কারণ যেহেতু মিনারেল ওয়াটারের নাম টেনে নিয়ে যেতে হয়। তবে কাজটি আপনি কম টাকা দিয়েই শুরু করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ আপনি বিনা পুঁজিতেই যেকোন কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। অনেক ছোট ছোট কোম্পানিগুলো তাদের বিজনেস প্রচার করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভ থাকে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারণা করে থাকে। আর এই কাজগুলো করার জন্য একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর দরকার হয়। আপনি ফ্রিতে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করে অন্যতম সহজ উপায় হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য দক্ষতা থাকতে হবে। পাশাপাশি সামান্য খরচ করলেই গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজটি করে আপনি প্রতি মাসে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার বাসায় কম্পিউটার থাকলে এবং কিছু টাকা খরচ করে ওয়াইফাই ইন্টারনেট কানেকশন নিয়েই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে অনলাইনে যুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবেন। তাছাড়াও লোকাল মার্কেটপ্লেসে ছোটখাটো ব্যানার ডিজাইন , পোস্টার বানানো ইত্যাদি কাজগুলো করে দৈনিক ইনকাম করতে পারবেন। কম খরচেই আপনি এই কাজটি শুরু করতে পারেন।
ইউটিউব চ্যানেলঃ অনলাইনে কিছু টাকা খরচ করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় হল ইউটিউব চ্যানেল। আপনি নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করে গুগল থেকেই টাকা আয় করতে পারবেন। প্রথমত আপনি বাসা বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে নেবেন।
তারপর ইউটিউব ভিডিও বানানোর জন্য ক্যামেরা অথবা একশন ক্যামেরা নিতে পারেন। যেহেতু আপনি লাইভ কোন ভিডিও বানাবেন সেক্ষেত্রে ক্যামেরার প্রয়োজন হবে। এই ধরনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো আপনি ৫ হাজার টাকাতেই কিনে ফেলতে পারবেন। আর যাদের বাসায় কম্পিউটার নেই তারা মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিংঃ বিনিয়োগ ছাড়া অনলাইনে আপনি কনটেন্ট রাইটিং করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি নিজে কন্টেন্ট লিখে সেগুলো মার্কেটপ্লেসে বিক্রয় করার মাধ্যমে ছোট একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। মূলত ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বেশি থাকলে এই কাজটি বেশি পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাধারণত ইংরেজি ভাষায় কন্টেন্ট গুলো বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। তাছাড়াও কনটেন্ট লেখার কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে, সেই নিয়ম কানুন জেনে লিখতে হয়।
কনটেন্ট গুলো অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও করে লিখতে হবে। তাহলে আপনি এই সেক্টরে কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন। তাছাড়া বর্তমানে আঞ্চলিক বাংলা ভাষাতেও কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে একটি বাংলা কনটেন্ট লিখে আপনি প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করতে পারবেন। তাই দেরি কিসের, বিনা পুঁজিতেই কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করুন।
মেকআপ আর্টিস্টঃ আপনি যদি মেকআপ করতে ভালোবাসেন, অর্থাৎ সাজাতে পারেন তাহলে বিয়ে বাড়িতে কনে সাজিয়েই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কনে সাজানো , মেকআপ আর্টিস্ট হিসাবে কাজ করতে পারবেন। আপনি মেকাপের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো 5000 টাকা দিয়েই কিনে শুরু করতে পারবেন। আপনি যে মেকআপ আর্টিস্ট সেটি সকলকে জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে পারেন অথবা একটি ওয়েবসাইট খুলতে পারেন।
দর্জির দোকানঃ ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে দর্জির দোকান দিয়ে শুরু করতে পারেন।কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই কাপড় বানানোর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিশেষ করে সৃজনশীলতা ভাবটি থাকা উচিত। আপনি নিজের পাড়ায় বা বাড়ির আশেপাশে ছোট একটি দোকান ভাড়া নিয়ে দর্জির দোকান দিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
আপনি গ্রাহকদের কাছ থেকে কাপড় ডিজাইন , কাপড় বানানো সহ দর্জির কাজগুলোর অর্ডার নিবেন। আর কম সময়ের মধ্যেই তাদের কাজগুলো কমপ্লিট করে গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেবেন। এভাবেই গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করে দর্জির দোকানের ব্যবসাটি দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারেন। অনেকেই বর্তমানে দর্জির দোকান দিয়ে আর্থিক জীবন যাপন করছে।
খাবার হোম ডেলিভারিঃ অল্প টাকায় কম খরচেই আপনি খাবার হোম ডেলিভারির কাজটি করতে পারেন। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই কর্মস্থলে ব্যস্ত থাকাই বাড়িতে প্রতিদিন রান্না করার সুযোগ পায় না, যার কারণে তারা প্রায়ই হোটেল থেকে খাবার অর্ডার করে থাকে। অনেক সময় তারা অনলাইন থেকেও খাবার অর্ডার করে।
আপনি চাইলে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেই বাড়িতে সুস্বাদু খাবার রান্না করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারেন। এভাবে আপনি খাবার হোম ডেলিভারি ব্যবসা পাঁচ হাজার টাকায় শুরু করতে পারবেন। তবে খাবার হোম ডেলিভারি ব্যবসা সম্পর্কে সকলকে জানানোর জন্য অবশ্যই প্রচার প্রচারণা করতে হবে।
এছাড়া বর্তমানে ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা করা যায় এমন অনেক আইডিয়া রয়েছে, যেই আইডিয়াগুলো আপনি অনুসরণ করেই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। নিচে ৫ হাজার টাকায় আরও ১৫টি ব্যবসার আইডিয়া তুলে ধরা হলোঃ
- অনলাইন শিক্ষকতা
- অনলাইন বেকারি ব্যবসা
- ফলের রসের ব্যবসা
- ট্যুর গাইড
- কাস্টমাইজড গয়না তৈরি ব্যবসা
- অনলাইনে হস্তশিল্প সামগ্রী ব্যবসা
- বিউটিশিয়ান বা ম্যাসাজ পার্লার
- অনুবাদের ব্যবসা
- ফটোগ্রাফি ব্যবসা
- বিয়ে মানেজমেন্ট
- অনলাইনে বই বিক্রি ব্যবসা
- টিফিন ডেলিভারি ব্যবসা
- ফুড ডেলিভারি
- ফুড ভ্যান ব্যবসা
- লন্ড্রি এর ব্যবসা
দৈনিক আয়ের ব্যবসা কি কি
আপনি কি প্রতিদিন আয় করতে চান, তাহলে নিশ্চয়ই দৈনিক আয়ের ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হবে। কি ধরনের ব্যবসা করে প্রতিদিন আয় করা যায় সেই সম্পর্কে আমরা এই অংশে জানানোর চেষ্টা করব। এমন অনেক ব্যবসা রয়েছে যেখানে প্রতিদিন আয় করা সম্ভব অর্থাৎ আপনি সেই ব্যবসা গুলো করে দৈনিক আয় করতে পারবেন। দৈনিক আয় করা যায় এমন ব্যবসা সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। নিচে দৈনিক আয়ের ব্যবসার আইডিয়া তুলে ধরা হলোঃ
- কম্পিউটার রিপেয়ার সার্ভিস
- কুরিয়ার সার্ভিস
- লন্ড্রি সার্ভিস
- গিফট শপ
- মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা
- মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট
- খাবার হোটেল ব্যবসা
- টি স্টল
- কাচামালের ব্যবসা
- মুদির দোকান
- ফলের ব্যবসা
- ফাস্টফুড দোকান
আমি দৈনিক আয়ের জন্য উপরোক্ত ব্যবসা গুলো করতে পারেন। উপরোক্ত ব্যবসা গুলো করে সহজেই দৈনিক ইনকাম করা যায়। আপনি যদি খাবার হোটেল দিতে পারেন তাহলে প্রতিদিনই খাবার বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। তাছাড়া মুদির দোকান দিয়ে প্রতিদিন আয় করা সম্ভব। আপনারা জানেন মুদির দোকানে বাসাবাড়ি প্রায় সকল প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে মুদির দোকান জনসমাগম এলাকায় থাকলে প্রচুর বিক্রি হয়।
আর এর থেকে দৈনিক নগদ অর্থ উপার্জন করা যায়। এছাড়াও ফলের ব্যবসাও করেও প্রতিদিন নগদ অর্থ আয় করতে পারবেন। কারণ অসুখ-বিসুখে মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেও ফল কিনে থাকে। আর তারা ফল কেনার জন্য ফলের দোকানগুলোতে যাই। আপনি বাজারের একটি ভালো পজিশনে ফলের দোকানের ব্যবসা শুরু করলেই প্রতিদিন এর থেকে লাভজনক আয় করতে পারবেন। উপরে লিস্টে দেখানো বেশিরভাগ ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
শিক্ষিত লোকের ব্যবসা আইডিয়া
আপনারা যারা শিক্ষিত লোক রয়েছেন, বিশেষ করে যারা পড়াশোনা করেছেন তারা অনেকেই শিক্ষিত লোকের ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন। এজন্য আমরা এখন শিক্ষিত লোকের ব্যবসা সম্পর্কে আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করব। একজন শিক্ষিত লোক কি কি ব্যবসা করতে পারে সেই সম্পর্কেই এখন আলোচনা করা হবে। নিচে শিক্ষিত লোকের ব্যবসার আইডিয়া তুলে ধরা হলোঃ
কোচিং সেন্টার ব্যবসাঃ আপনি যদি শিক্ষিত হয়ে থাকেন এবং পড়ালেখার যেকোন একটি বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি কোচিং সেন্টার খুলেই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীরা জ্ঞান অর্জনের জন্য কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে থাকে। তাই আপনি কোচিং সেন্টার খুলেই নির্দিষ্ট কোর্স ফি নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। কোচিং সেন্টারের ব্যবসা শুরু করতে হলে তেমন একটা বেশি টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না।
আপনি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে একটি রুম ভাড়া নিয়ে সেখানেই ছোট একটি কোচিং সেন্টার খুলে ফেলতে পারবেন। অথবা আপনি নিজের বাসাতেই কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন। এরপর আপনাকে কোচিং সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমনঃ খাতা কলম , পেন্সিল , ব্লাকবোর্ড , বই পত্র ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে। এভাবে আপনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করেই কোচিং সেন্টারে ব্যবসা খুলতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি ব্যবসাঃ ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে অনলাইনেই ব্যবসা করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। বর্তমানে অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য ওয়েবসাইট ক্রয় করতে চেয়ে থাকে। এজন্য আপনি ওয়েবসাইট বানানোর কাজ করে ফ্রিতেই ব্যবসা খুলতে পারেন। বর্তমানে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ওয়েব ডিজাইন সহ ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। শিক্ষিত ব্যক্তিরা এই ওয়েবসাইটির কাজটি করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
অনলাইন কোর্স বিক্রি ব্যবসাঃ যারা শিক্ষিত রয়েছেন তারা চাইলে অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়টি অনলাইনে কোর্স আকারে বিক্রি করে শিখিয়ে আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার ফেসবুক পেজ অথবা অন্য সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থাকতে হবে। তাছাড়া আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও কোর্স বিক্রি করতে পারেন। আপনি স্বল্প খরচেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিজের কোর্স সম্পর্কিত লিখে প্রচার করতে পারবেন। কম খরচে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসাঃ শিক্ষিত ব্যক্তিরা চাইলে নিত্যনতুন খাবার তৈরি আইডিয়া বের করে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করতে পারেন। সাধারণত একটি রেস্টুরেন্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো খাবারের গুণগতমান। আপনি যদি রেস্টুরেন্টের খাবারের গুণগতমান উন্নত রাখতে পারেন তাহলেই রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই জনসমাগম বা বাজার এলাকায় জায়গা নির্বাচন করতে হবে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সফলতা অর্জন করতে হলে খাবারের গুণগতমান ও বিশেষ খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শেষ কথা
৫ হাজার টাকায় ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে হয় আশা করছি আজকের পুরো পোস্টটিতে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। মূলত আমরা পাঁচ হাজার টাকায় ব্যবসার জনপ্রিয় ৩০ টি আইডিয়া সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এখন আপনারা ভালোভাবে পোস্টটি পড়ে, পছন্দের ব্যবসাটি নির্বাচন করে নেবেন। আর ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে হলে সঠিক পরিকল্পনা ও মানসিক প্রস্তুতি নিতে হয়। ব্যবসায় কখনো লস ও লাভের চিন্তা করা যাবে না। যদি আপনি লসের চিন্তা করেন তাহলে কখনোই ব্যবসাতে সফল হতে পারবেন না।
সঠিক ব্যবসা নির্বাচন এবং পরিকল্পনা করেই ব্যবসাতে লাভবান হওয়া যায়। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় সকলেই লাভজনক ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাই আপনিও চাকরির পিছনে না ছুটে ব্যবসার দিকে নজর রাখতে পারেন। বর্তমান সময়ে ভালো চাকরি পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসা শুরু করুন আর অন্যজনকে ব্যবসা করার আইডিয়া দিয়ে ব্যবসা করতে আকর্ষিত করুন।৫ হাজার টাকায় ব্যবসা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।