মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জেনে আপনি খুব সহজে অনলাইনে বা অফলাইনের মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে পড়ুন, কারণ আর্টিকেলের প্রতিটি অংশে আমরা মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বর্তমান সময়ে খুব সহজেই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনা ও কৌশল জানলেই অনলাইন বা অফলাইন দুই মাধ্যম থেকেই ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায় বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত জানানো হলো।
সূচনা
বর্তমানে এই আধুনিক যুগে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়। বিশেষ করে প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের অগ্রগতির কারণে বর্তমানে আয়ের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে সফলতা অর্জন করতে হলে দক্ষতা , ধৈর্য ও সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। অনলাইন থেকে বা অফলাইন থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করে কাজ করতে হবে, কারণ পরিশ্রম ছাড়া জীবনে সফলতা অর্জন করা যায় না। আপনি পরিশ্রম ও ধৈর্য সহকারে কাজ করলেই মাসে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বিকাশে টাকা ইনকাম করার উপায়
আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট বিকাশ পেমেন্ট নেওয়ার উপায়
তবে শুধু পরিশ্রম করলে হবে না, পরিশ্রম করার সাথে সাথে স্মার্ট পদ্ধতিতে কৌশল ব্যবহার করে কাজ করতে হবে, তাহলে আপনি অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যম থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন। আমরা আজকের আর্টিকেলে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানাবো। তাই অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বন্ধুরা আপনারা চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমেই মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন। পাশাপাশি কিছু অফলাইন উপায় রয়েছে যেখানে পরিশ্রম করে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তবে আমরা যেহেতু আধুনিক যুগে বসবাস করি সেক্ষেত্রে অনলাইনে ঘরে বসে সহজ উপায়ে ইনকাম করতে হবে। আর অনলাইনে ঘরে বসে কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায় বিষয়টি নিয়ে এই অংশে আলোচনা করা হবে।
আপনি যে স্থানে থাকুন না কেন ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সকলেই অনলাইন ইনকামের বিষয়টিতে বেশি পাইরোটি দিয়ে থাকে। আমরা পোস্টটিতে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার অনলাইন ও অফলাইন দুই উপায় গুলো সম্পর্কেই আলোচনা করব। নিম্নে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ৩০টি কার্যকর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১. ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী গ্রাফিক্স ডিজাইন , অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট , ওয়েব ডেভেলপমেন্ট , কনটেন্ট রাইটিং , ডিজিটাল মার্কেটিং , ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারেন। এই কাজগুলোতে দক্ষতা বাড়িয়ে খুব সহজেই আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করতে পারবেন।
আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকলে সেই কাজটি ঘরে বসে করে ইনকাম করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেমন Upwork, Fiverr, এবং Freelancer ইত্যাদি । নিম্নে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের জনপ্রিয় কিছু কাজের ধারণা দেওয়া হলঃ
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ আপনার যদি HTML, CSS, JavaScript, PHP বা WordPress-এর মতো ফ্রিল্যান্সিং কাজে দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে অথবা ওয়েবসাইট পরিচালনা করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে।
গ্রাফিক ডিজাইনঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই কারণে লোগো, ব্যানার, পোস্টার ডিজাইন করে মাসে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করা যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ গুলো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের বাইরেও করতে পারবেন।
লেখালেখি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশনঃ আপনি যদি লেখালেখিতে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে ব্লগ, আর্টিকেল, ওয়েব কন্টেন্ট তৈরি করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। বিশেষ করে SEO-সম্পূর্ণ লেখা লিখে কন্টেন্ট মার্কেটিং করে প্রচুর আয় করা সম্ভব।
২. ব্লগিং ও এফিলিয়েট মার্কেটিং
নিজের ব্লগ তৈরি করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখে আয় করা সম্ভব। ব্লগের মাধ্যমে আয়ের প্রধান উপায় হলো গুগল অ্যাডসেন্স, স্পন্সরশিপ এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি এফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে কমিশনও পেতে পারেন। আর মূলত যারা কনটেন্ট রাইটিং এ দক্ষ তারা চাইলে নিজের ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলে কনটেন্ট লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও কনটেন্ট লিখে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করার মাধ্যমে কমিশন নিতে পারবেন।যেমন, Amazon Affiliate, ClickBank ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম গুলোতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। ব্লগের মাধ্যমে আয়ের প্রধান উপায় হলোঃ
- বিজ্ঞাপনঃ ব্লগিং সাইটে Google Adsense অনুমোদন নিয়ে অ্যাড দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি অন্যান্য অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকেও বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় করা যায়।
- এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য প্রচার করে কমিশন পেতে পারেন। Amazon Affiliate, ShareASale, ClickBank ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে ব্লগিং ও এফিলিয়েট মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ এই কাজগুলো করা খুবই সহজ, যেকোন ব্যক্তি দক্ষতা ছাড়াই এই কাজগুলো করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবে। তবে আগে এই কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে এবং কিছু কৌশল জেনে নিতে হবে।
৩. ইউটিউব ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েশন
বর্তমান সময়ে ইউটিউবে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে গুগল অ্যাডসেন্স এবং স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় করা যায়। গেমিং, পার্সোনাল ব্লগিং, টিউটোরিয়াল, রিভিউ বা শিক্ষামূলক ভিডিও ইত্যাদি তৈরি করে আপনি মাসিক ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। তবে ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই কিছু দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে।
youtube ভিডিও কন্টেন্টটি ইউনিক হতে হবে এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট হতে হবে, কারণ দর্শকরা সবসময়ই আকর্ষণীয় কনটেন্ট গুলো দেখতেই পছন্দ করে। ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে সফল হওয়ার জন্য যেই দক্ষতাগুলো প্রয়োজনঃ
- দক্ষতাঃ ভিডিও এডিটিং , নরমাল গ্রাফিক্স ডিজাইন , ভিডিও SEO, ডিজিটাল মার্কেটিং , কথা বলার কলা কৌশল ইত্যাদি।
সঠিক নিয়মে ইউটিউব চ্যানেল খুলুন আর প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করুন। ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়ান আর ভিজিটর বৃদ্ধি করুন তাহলেই গুগল এডসেন্স আবেদন করে অনুমোদন নিয়ে মাসে ৩০০০০ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
৪. অনলাইন টিউশন বা কোচিং
অনলাইন টিউশন বা কোচিং এখন ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আপনি Zoom বা Google Meet-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পড়াতে পারেন। এছাড়া Udemy, Coursera-এর মতো প্ল্যাটফর্মে নিজের কোর্স তৈরি করেও আয় করা সম্ভব। তবে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে, যদি আপনি পড়াশোনার বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে টিউশন অথবা কোচিং খুলতে পারেন।
এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে দক্ষ হলে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলো নিয়ে অনলাইনে টিউশনি করতে পারেন। মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সমূহের মধ্যে এটি আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে। আপনি কোন বিষয় নিয়ে দক্ষ হয়ে থাকলে সেই বিষয়টি নিয়ে কোচিং করান অথবা অনলাইনে কোর্স বানিয়ে বিক্রি করুন।
৫. ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত সকল ধরনের সেবা প্রদান করে আপনি খুব সহজেই মাসে ৩০০০০ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি অনলাইন ব্যবসা করুন আর অফলাইন ব্যবসা করুন, সব ব্যবসাতেই সফল হতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজন হয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, SEO, SEM, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি কাজে দক্ষতা অর্জন করে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস প্রদান করতে পারেন।
৬. ই-কমার্স বা ড্রপশিপিং ব্যবসা
অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করতে চান তাহলে ড্রপ শিপিং ব্যবসা শুরু করুন। এই কাজটি ঘরে বসে অনলাইনে কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায়। এছাড়াও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুলেও অনলাইন থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ই-কমার্সের মাধ্যমে সহজে অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করা যায়।
আপনি নিজের পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন, অথবা ড্রপশিপিং মডেল ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে সরাসরি পণ্য মজুদ করার প্রয়োজন নেই। জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম Shopify এবং WooCommerce। এখানে আপনারা ড্রপ শিপিং এর কাজগুলো করতে পারেন।
৭. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে চান তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করুন, আপনার যদি ওয়েব ডেভলপমেন্ট কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের বা কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরি করে দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইন বা অফলাইন দুই মাধ্যম থেকে আয় করতে পারবেন।WordPress, HTML, CSS, JavaScript, PHP ইত্যাদি কোডিং শেখার মাধ্যমে ওয়েব ডেভলপার হয়ে মাসে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ এই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনি বিভিন্ন বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে, ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ও ওয়েবসাইট পরিচালনা করেও আয় করতে পারেন।
৮. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্র্যান্ড তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার খুঁজে থাকে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনা করে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ হল Facebook, Instagram, Twitter, LinkedIn-এর মাধ্যমে কন্টেন্ট পোস্ট করা, বিজ্ঞাপন প্রচারণা পরিচালনা করা এবং সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট বাড়ানো ইত্যাদি। এই কাজগুলো একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর করতে হয়। আপনি যদি এই কাজগুলোতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং করতে পারবেন।
৯. ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি খুলুন
বর্তমানে প্রতিটি ব্যবসার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই জরুরী, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফল হতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং করার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যদি SEO, SEM, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, অথবা পেইড বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে ছোট-মাঝারি ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিতে পারেন।
এভাবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বা লোকাল মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস প্রদান করে ইনকাম করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং সেবার মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনা , ব্লগ পোস্ট অপটিমাইজ করা, বিজ্ঞাপন প্রচার করা ইত্যাদি কাজগুলো করতে হয়।
১০. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে দক্ষতা থাকলে আপনি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ গুলো তৈরি করে কোম্পানির কাছ থেকে ইনকাম করতে পারেন, অনেক কোম্পানি তাদের নিজস্ব অ্যাপ তৈরি করে থাকে। বিশেষ করে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর অ্যাপের প্রয়োজন হয়।
আপনি তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অ্যাপ তৈরি করে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন । এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি নিজের অ্যাপ তৈরি করে সেখানে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
১১. গ্রাফিক ডিজাইন
যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের লোগো, ব্যানার, পোস্টার ও প্রোডাক্ট ডিজাইন করে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলো করে ইনকাম করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম , upwork ইত্যাদি।
১২. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে ইমেল ম্যানেজমেন্ট, ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি, বা ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগের কাজগুলো করে আয় করা যায়। এ কাজের জন্য প্রয়োজন শুধু ভালো কমিউনিকেশন স্কিল। যেকোনো অনলাইন প্রতিষ্ঠানে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে সামান্য ইংরেজিতে দক্ষতা ও কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে মাসে 30000 টাকা আয় করতে পারবেন।
১৩. কন্টেন্ট রাইটিং
বর্তমান সময়ে কনটেন্ট রাইটিং কাজের খুবই জনপ্রিয়তা রয়েছে, বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট রাইটিং কাজের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, প্রোডাক্ট রিভিউ, অথবা স্ক্রিপ্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে পারেন। একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের প্রতিদিন ভালো পরিমাণ ইনকাম হয়ে থাকে।
বিশেষ করে ইংলিশ কনটেন্ট রাইটারের প্রচুর ইনকাম হয়। কারণ বর্তমানে ইংরেজি কনটেন্ট এর অত্যাধিক চাহিদা রয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে শুধুমাত্র একটি এসইও সম্পন্ন ইংরেজি কনটেন্ট লিখেই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
১৪. ফটোগ্রাফি
ফটোগ্রাফিতে দক্ষতা থাকলে আপনি বিভিন্ন ইভেন্ট, বিয়ের অনুষ্ঠান বা কর্পোরেট ইভেন্টে ফটোগ্রাফির কাজ করতে পারেন। এছাড়াও স্টক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইটে ছবি আপলোড করে আয় করার সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি ফটোগ্রাফিতে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে ফটোগ্রাফি করার ওয়েবসাইট গুলোতে ছবি আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফির কাজ করেও সহজে আয় করা সম্ভব। মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সমূহের মধ্যে ফটোগ্রাফি বিষয়টি নির্বাচন করতে পারেন। কারণ ফটোগ্রাফি করে অনেকেই বর্তমানে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে, বড় বড় ইভেন্টে ফটোগ্রাফি কাজ করতে পারলেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে।
১৫. ভিডিও এডিটিং
ভিডিও এডিটিংয়ে দক্ষ হলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ভিডিও এডিটরের কাজ করতে পারেন। ইউটিউবার, কোম্পানি, বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ভিডিও এডিটিং কাজ করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। পাশাপাশি নিজের ইউটিউব অথবা ফেসবুক চ্যানেল খুলে সেখানে ভিডিও এডিটিং করে আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন।
১৬. রিয়েল এস্টেট এজেন্ট
রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে কাজ করে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা-বেচা বা ভাড়া দিয়ে কমিশনের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এছাড়াও প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করেও ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদের দেশের মধ্যে অনেক প্রপার্টি রয়েছে, কিন্তু দেখাশোনা করার মানুষ নেই। সে ক্ষেত্রে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রপার্টি ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে পারেন।
১৭. অনলাইন কোর্স তৈরি
আপনার যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকে, তাহলে Udemy, Coursera-এর মতো প্ল্যাটফর্মে অনলাইন কোর্স তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন। একবার কোর্স তৈরি করলে তা থেকে নিয়মিত আয় হতে থাকে। তাছাড়াও নিজস্ব ফেসবুক বা ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে অনলাইন কোর্স বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিক্রি করার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল ফেসবুক ও ইউটিউব।
১৮. অনলাইন শপ পরিচালনা
আপনি চাইলে অনলাইনেই শপ খুলে পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারেন। তাছাড়াও নিজস্ব পণ্য তৈরি করেও অনলাইনে দোকান দিয়ে আয় করা সম্ভব। বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে বিজনেস করে সফলতা অর্জন করছে। আপনিও চাইলে স্মার্ট পদ্ধতিতে, বুদ্ধি খাটিয়ে অনলাইনে শপ পরিচালনা করে ইনকাম করতে পারেন।
১৯. ফুড ডেলিভারি সার্ভিস
ফুড ডেলিভারি কাজ করে মাসে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এখানে আপনাকে শারীরিকভাবে বেশি পরিশ্রম করতে হবে। তাহলেই ত্রিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনারা ফুড পান্ডা,Uber Eats ইত্যাদি ফুড সার্ভিস প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ফুড ডেলিভারি কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ফুড পান্ডা খুবই জনপ্রিয় একটি ফুড সার্ভিস প্রতিষ্ঠান, আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে ফুড ডেলিভারি কাজ নিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
২০. ডাটা এন্ট্রির কাজ
যাদের দ্রুত টাইপিং স্পিড রয়েছে, আর অন্যান্য ভাষা বুঝতে পারেন তারা চাইলে ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করতে পারেন। ডেটা এন্ট্রি কাজ তুলনামূলক সহজ এবং বিশেষ কোনো স্কিলের প্রয়োজন হয় না। আপনি ডাটা এন্টির কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে পেতে পারেন। এছাড়াও সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে ডাটা এন্টির কাজ পেতে পারেন।
২১. পডকাস্টিং
আপনার যদি কথা বলার দক্ষতা ও কৌশল থাকে তাহলে পডকাস্টিং করেই মাসে ভালো উপার্জন করতে পারবেন।স্পন্সরশিপ, বিজ্ঞাপন বা ডোনেশনের মাধ্যমে পডকাস্ট থেকে আয় করা যায়। পডকাস্টিং করার জন্য কমিউনিকেশন স্কিল ও কথা বলার দক্ষতা থাকা খুবই প্রয়োজন।
২২. গেমিং স্ট্রিমিং
গেম খেলে টাকা আয় করার জন্য গেমিং স্ট্রিমিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনি ইউটিউব অথবা ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে গেমিং লাইভ স্ট্রিম করে স্পন্সরশিপ এবং ডোনেশনের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এছাড়াও সরাসরি ফেসবুক ও ইউটিউব মনিটাইজেশন থেকেও ইনকাম করতে পারবেন।
২৩. রিসেলিং ব্যবসা
আপনি চাইলে পাইকারি বাজার থেকে কম দামে পণ্য কিনে, তা অনলাইনে বা অফলাইনে বিক্রি করে রিসেলিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন, এতে করে ভালো অর্থ উপার্জন করা যায় এবং ব্যবসাতে লাভজনকভাবে ইনকাম করা যায়। এই পদ্ধতিতে অনেকেই মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করছে। মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে রিসেলিং ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ব্যবসাটি অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।
২৪. অনলাইন সার্ভে ও মাইক্রো টাস্ক
বর্তমানে অনলাইন সার্ভে বা ছোট ছোট কাজ করে আয় করা যাচ্ছে। Swagbucks, InboxDollars-এর মতো প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন মাইক্রো টাস্ক করে আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশি সাইট workup place ও Workup job থেকেও মাইক্রো জব কাজগুলো করে ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশী সাইট গুলোতে কাজ করে আপনি সরাসরি বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন, অর্থাৎ ফ্রী টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
২৫. স্টক মার্কেট ইনভেস্ট
স্টক মার্কেটে আপনি টাকা বিনিয়োগ করে খুব সহজে আয় করতে পারবেন, তবে এক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। তাই সরাসরি স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করতে যাবেন না, আগে প্রথমে স্টক মার্কেট সম্পর্কে জানবেন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তখনই স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করবেন।
২৬. রাইড শেয়ারিং সার্ভিস
আপনার নিজস্ব গাড়ি থাকলে Uber, Pathao, Lyft প্ল্যাটফর্মে যোগ দিয়ে রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এখানে প্রতিটি রাইড শেয়ারিংয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এখানে প্রতিদিন দশটি রাইড শেয়ার করলেই ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন। এতে করে মাসে সহজে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায় ।
২৭. রেস্টুরেন্ট ব্যবসা
অল্প সময়ে খুব লাভজনক ব্যবসা করতে হলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে প্রায় মানুষই ফাস্টফুড খুবই পছন্দ করে থাকে। আপনি রেস্টুরেন্টে ফাস্টফুডের সকল খাবার গুলো মজুদ রাখবেন। বিশেষ করে বার্গার , পিকজা , চিকেন পপ , গ্রিল ইত্যাদি ফাস্টফুড গুলো আকর্ষণীয় ভাবে তৈরি করে রেস্টুরেন্টের মজুদ রাখবেন। আর আপনার রেস্টুরেন্টের লোকেশন জনসমাগম এলাকায় হলে প্রতিদিন বেশি টাকার বিক্রি হবে। মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় থেকে ইনকাম করতে চাইলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
২৮. ইলেকট্রনিক ব্যবসা
পাইকারি দামে ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট গুলো কিনে, খুচরা মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ইলেকট্রনিকের ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ ইলেকট্রনিক ব্যবসা করলে ব্যবসাতে বেশি লাভ করা সম্ভব। কম দামে ইলেকট্রনিক পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। এজন্য আপনারা মাসে 50000 টাকা আয় করতে চাইলে ইলেকট্রনিকের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ইলেকট্রনিক ব্যবসা শুরু করার আগে ব্যবসার ধারণাগুলো ভালোভাবে নিন, আর ব্যবসা কিভাবে করতে হয় তা জেনে নিবেন।
২৯. ফেসবুক পেজ
অনলাইনে প্রতিমাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ফেসবুক পেজ দিয়ে শুরু করতে পারেন। ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট বানিয়ে অনেকের লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করছে। আপনিও চাইলে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন।
এছাড়াও ফেসবুক পেজে অনলাইন ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন, অর্থাৎ facebook পেজে অনলাইন ব্যবসা করেও ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে প্রথমে ফেসবুক পেজ খুলুন, ফেসবুকে ভিডিও বানানোর জন্য কন্টেন্ট নির্বাচন করুন। আপনি যেই ধরনের ভিডিওগুলো বানাতে পারদর্শী সেই ভিডিও গুলো বানিয়ে এডিট করে ফেসবুকে আপলোড করুন। এভাবে ভিডিও আপলোড করে ট্রাফিক বাড়লে মাসে লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব
৩০. ট্রান্সলেশন সার্ভিস
কমিউনিকেশন স্কিল ও অন্য কোন ভাষাতে দক্ষতা থাকলে ট্রানসলেশন সার্ভিস প্রদান করে খুব সহজে অনলাইনে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। মূলত ট্রান্সলেশন করার যোগ্যতা থাকলেই আপনি ট্রান্সলেশন সেবাটি দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। ট্রান্সলেশন সার্ভিস জনিত কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন।
শেষ কথা
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বিষয়টি নিয়ে পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা এতক্ষণে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার কার্যকরী ৩০ টি উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে গেছেন। মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করতে হলে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে। আপনি অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমেই বিভিন্ন উপায়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। আমরা আর্টিকেলটিতে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় ও সহজ উপায় গুলো তুলে ধরেছি। আমাদের দেখানো উপায় গুলো অনুসরণ করলেই সহজেই মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।