অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। কারণ আমরা আর্টিকেলে অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার ডাউনলোড কিভাবে করবেন ও কোনগুলো সফটওয়্যার ভাইরাস নির্মূলে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বর্তমানে ডিজিটাল যুগে আমরা সকলেই প্রায় কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকি। এই কম্পিউটার ও ল্যাপটপে বিভিন্ন কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। কম্পিউটারের ভাইরাস আক্রমণ করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমনঃ কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় তথ্য মুছে যাওয়া , সকল ডাটা নষ্ট হয়ে যাওয়া, কম্পিউটারের মনিটর নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সহ নানা ধরনের সমস্যা ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে।
অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার
অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার মূলত হলো একটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার কম্পিউটার বা ডিভাইস থেকে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস অপসারণ করবে। বর্তমানে এমন সফটওয়্যার হাজার হাজার পেয়ে যাবেন। তবে সব ধরনের সফটওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করে থাকে না।
অনেকগুলো সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ম্যানুয়াল ভাবে ব্যবহার করে ভাইরাস রিমুভ করতে হয়। এছাড়াও কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো অটোমেটিক্যালি ভাইরাস স্ক্যান করে সেগুলো শনাক্ত করে অপসারণ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার
আরো পড়ুনঃ কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
আমরা আপনাদের আজকে অটোমেটিক্যালি ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যারা অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন, নিম্নে ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- Microsoft Defender (Windows Defender)
- Sophos Home Premium
- Malwarebytes Premium
- ESET NOD32 Antivirus
- AVG Internet Security
- Avast Premium Security
- McAfee Total Protection
- Norton 360 Deluxe
- Kaspersky Total Security
- Bitdefender Antivirus Plus
Microsoft Defender (Windows Defender)
Microsoft Defender (আগে যেটি Windows Defender নামে পরিচিত ছিল)। বর্তমানে এটি একটি এন্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার বা সিকিউরিটি সলিউশন যা মাইক্রোসফটের মাধ্যমে Windows অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ডেভেলপ করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারটি বিনামূল্য Windows 10, Windows 11 এবং Windows Server অপারেটিং সিস্টেমের সাথে যুক্ত রয়েছে।
অর্থাৎ আপনারা কম্পিউটারে এই সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে বর্তমানে পেয়ে যাবেন। এটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। এই সফটওয়্যারটি কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সিস্টেমে ম্যালওয়্যার, ভাইরাস, স্পাইওয়্যার, এবং অন্যান্য ক্ষতিকর সফটওয়্যার থেকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
এজন্যে ফ্রিতেই সকলেই এই সফটওয়্যারটি কম্পিউটারে ব্যবহার করে, কারণ এই সফটওয়্যারটি ফ্রিতে ভাইরাস থেকে আমাদের কম্পিউটারকে রক্ষা করে। যদি ফ্রিতে ভাইরাস নির্মূল করার সফটওয়্যার খুঁজে থাকেন তাহলে windows defender সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি সরাসরি উইন্ডোজের সাথে পেয়ে যাবেন।
উইন্ডোজ ডিফেন্ডার এর কিছু বৈশিষ্ট্যঃ
- এই সফটওয়্যারটি রিয়েল টাইম প্রটেকশন দিয়ে থাকে। যার কারণে যেকোনো সময় যদি আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমে ভাইরাস ঢুকে পড়ে, তখন সফটওয়্যারটি তৎক্ষণাৎ স্ক্যান করার মাধ্যমে ভাইরাস সনাক্ত করে নির্মূল করে থাকে।
- তাছাড়াও এই সফটওয়্যারটি ক্লাউড ভিত্তিক অনলাইনে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। অনলাইনে ফিশিং লিঙ্ক থেকে ও অনলাইন ভাইরাস অ্যাটাকিং থেকে কম্পিউটারকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
- আরো এই সফটওয়্যারটি নেটওয়ার্ক ট্রাফিক মনিটর করে এবং অনিরাপদ সংযোগগুলো ব্লক করে দেয়।
Sophos Home Premium
Sophos Home Premium হল কম্পিউটার ও ল্যাপটপের জন্য এটি এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটিতে অটোমেটিক্যালি ভাইরাস কাটার ফিচার রয়েছে। অর্থাৎ সফটওয়্যার থেকে রিয়েল টাইম প্রটেকশন পাবেন। সব সময় এই সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ স্ক্যান করতে থাকবে,
যদি সফটওয়্যারটি ভাইরাস সনাক্ত করে তখন সাথে সাথে ভাইরাস নির্মূল করার জন্য অ্যাকশন নিয়ে থাকে। তাছাড়া ও সফটওয়্যারটি মাল্টি-ডিভাইস সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ সকল ধরনের ডিভাইসে এই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম।
Sophos Home Premium এর বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
- রিয়েল-টাইম ম্যালওয়্যার সুরক্ষা প্রদান করে।
- ওয়েব প্রোটেকশন প্রদান করে থাকে।
- এছাড়াও প্রাইভেসি প্রোটেকশন ফিচার রয়েছে, যেটি আপনার প্রাইভেসি সুরক্ষিত রাখবে।
- এডভান্সড থ্রেট প্রোটেকশন অপশন পাবেন, যেখানে আপনি সাইবার আক্রমণ থেকে কম্পিউটারকে নিরাপদে রাখতে পারবেন।
Malwarebytes Premium
অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটারটি সুরক্ষিত রাখতে চান, সেক্ষেত্রে Malwarebytes Premium সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। এই সফটওয়্যারটি মূলত পেইড ভার্সন ব্যবহার করলে অটোমেটিক্যালি ভাইরাস নির্মূল অপশনটি পাবেন।
অর্থাৎ এখানে আপনাকে টাকা দিয়ে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে কিনতে হবে এবং সেই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে কম্পিউটারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন। এই সফটওয়্যারটি কিছু ভালো বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমনঃ
- সফটওয়্যারটি র্যানসমওয়্যার এবং জিরো-ডে ম্যালওয়্যার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- এছাড়াও পিসি ক্লিনার হিসেবে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি পেইড ভার্সন ব্যবহার করেন তাহলে অনেক সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন।
ESET NOD32 Antivirus
ESET NOD32 Antivirus একটি জনপ্রিয় এন্টি-ম্যালওয়্যার এবং সাইবার সিকিউরিটি সলিউশন সফটওয়্যার। যেটি আপনি ব্যবহার করে কম্পিউটারে ভাইরাস নির্মূল করতে পারেন এবং সাইবার প্রোডাকশন নিতে পারেন। পাশাপাশি কম্পিউটারের বিভিন্ন জাঙ্ক ফাইল ও অ্যান্টি ম্যালওয়্যার দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন।
যারা বাড়িতে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তারা কিন্তু এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। এই সফটওয়্যারটি মূলত সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে যারা প্রফেশনাল ভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করেন তারা অন্যান্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারেন। সফটওয়্যারটির কিছু সুবিধা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- সন্দেহজনক ওয়েবসাইট এবং ইমেইল লিঙ্কগুলো থেকে ব্যবহারকারীর ডেটা চুরি হওয়া রোধ করে।
- সফটওয়্যারটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাইরাস স্ক্যান করে সনাক্ত করতে পারে।
- যারা গেম খেলে তাদের জন্য এটি আদর্শ সফটওয়ার, কারণে এই সফটওয়্যারটি কম্পিউটারে খুব কম পরিমাণে স্টোরেজ দখল করে।
- সফটওয়্যারটির পেইড ভার্শন রয়েছে,পেইড ভার্সনে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন।
AVG Internet Security
এটি মূলত একটি জনপ্রিয় কম্পিউটার এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার। সেই অনেক আগে থেকেই এই সফটওয়্যারটি সকলেই ফ্রিতে ব্যবহার করে আসছে। ফ্রি এন্টিভাইরাস হিসেবে এই AVG Internet Security সফটওয়্যারটি ভালোই সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
যারা ফ্রিতে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি এর পেইড ভার্সন রয়েছে যেটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা নিতে পারেন। নিম্নে সফটওয়্যার এর কিছু সুবিধা আলোচনা করা হলোঃ
- এই সফটওয়্যারটি ইমেইল সুরক্ষা এবং অ্যাডভান্স ফায়ারওয়াল সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
- এছাড়াও পাসওয়ার্ড সুরক্ষা এবং ডেটা এনক্রিপশন এর ফিচার পেয়ে যাবেন।
- আর সফটওয়্যারটি অটোমেটিক্যালি ভাইরাস রিমুভ করতে সক্ষম, কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ হলেই দ্রুত সময়ে এটি শনাক্ত করে ভাইরাস নির্মূল করে।
Avast Premium Security
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার হল avast। যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তারা সকলেই এই সফটওয়্যারটির নাম শুনেছেন। এই সফটওয়্যারটি দুইটি ভার্সন রয়েছে, একটি ফ্রি ভার্সন ও আরেকটি পেইড ভার্সন।
পেইড ভার্সনে আপনাকে টাকা দিয়ে সফটওয়্যারটি কিনে ব্যবহার করতে হবে। পেইড ভার্সন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস প্রোটেকশন অপশন পাবেন, যেগুলো ব্যবহার করে সারাক্ষণ আপনি কম্পিউটারের ভাইরাস আক্রমণ থেকে কম্পিউটারকে নিরাপদে রাখতে পারবেন। সফটওয়্যার এর কিছু ফিচার তুলে ধরা হলোঃ
- অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার এবং ওয়েবক্যাম সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
- স্বয়ংক্রিয় ভাইরাস অপসারণ সিস্টেম রয়েছে, অর্থাৎ অটোমেটিক্যালি ভাইরাস সনাক্ত করে তা অপসারণ করে।
McAfee Total Protection
যদি অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার ডাউনলোড করে কম্পিউটার সুরক্ষিত রাখতে চান, সেক্ষেত্রে McAfee Total Protection সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। সফটওয়্যারটি ফ্রিতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে।
শুধুমাত্র ইন্টারনেটের সার্চ করুন এবং অরিজিনাল ভার্সনটি ডাউনলোড করুন ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাবেন। এই সফটওয়্যার টি ওয়েবক্যাম সুরক্ষা ও ফায়ারওয়েল প্রটেকশন দিয়ে থাকে। তাছাড়াও ইনস্ট্যান্ট ভাইরাস স্ক্যান অপশন রয়েছে যেটি ব্যবহার করে দ্রুত কম সময়ের মধ্যে ভাইরাস সনাক্ত করা যায়।
অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার ডাউনলোড
অটোমেটিকলি ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করার জন্য আপনারা অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। কিন্তু ডাউনলোড করার অপশন খুঁজে পান না। তাই আমরা আজকের এই অংশে অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার ডাউনলোড কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার ডাউনলোড করার উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- প্রথমত আপনারা যেকোন ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার গুলোর নাম লিখে গুগলে সার্চ করুন।
- যেই সফটওয়্যারটির নাম লিখে সার্চ করবেন, সেই সফটওয়্যারটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।
- যদি সফটওয়্যারটি ফ্রি এন্টিভাইরাস সার্ভিসে দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সফটওয়্যার গুলো ফ্রিতেই তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
- প্রতিটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্দিষ্ট অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে, তাদের সেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করতে পারবেন।
- তাছাড়াও অনেক থার্ড পার্টি সাইট রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে এন্টিভাইরাস গুলো ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
- অবশ্যই থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট গুলো যাচাই-বাছাই করে নিবেন। যদি ভাল মনে হয় তখন ওয়েবসাইটগুলো থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
এভাবে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্টারনেটে সার্চ করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। শুধুমাত্র সফটওয়্যার গুলোর নাম লিখে ক্রোম ব্রাউজারে সার্চ করবেন তাহলেই সফটওয়্যার গুলোর অফিসিয়াল সাইট পেয়ে যাবেন। আর অফিসিয়াল সাইট থেকে আপনি অফিসিয়াল ভাবে সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করার টিপস
- এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করবেন।
- এন্টিভাইরাস সফটওয়ারের সিস্টেমে রিয়েল-টাইম প্রোটেকশন চালু রাখুন।
- অজানা লিংক বা ফাইল ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন।
সেরা ৫টি ফ্রি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
যারা কম্পিউটার ফ্রি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান, তারা এই নিবন্ধনটি ভালো করে পড়ুন। বর্তমানে অনেক ধরনের ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার রয়েছে, যেগুলো ফ্রিতে ভাইরাস অপসারণ করতে সাহায্য করে থাকে। তবে আমরা এখন সেরা ফ্রি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করব। নিম্নে ৫টি ফ্রি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলোর তালিকা তুলে ধরা হলোঃ
- Avast Free Antivirus
- AVG Antivirus Free
- Microsoft Defender
- Malwarebytes Free
- Kaspersky Security Cloud Free
- Avira Free Security
- Panda Free Antivirus
- ZoneAlarm Free Antivirus + Firewall
- Comodo Free Antivirus
দৈনন্দিন ব্যবহার করার জন্য আপনারা উপরে লিস্টের মধ্যে থেকে Avast বা AVG ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী উল্লেখিত এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন। কম্পিউটারে অবশ্যই যেকোন একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল রাখবেন।
একাধিক এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার কম্পিউটার ইন্সটল করলে বিভিন্ন ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে, তখন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। এজন্য কম্পিউটারে একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করে রাখুন। আমরা উপরের লিস্টে ১০টি অ্যান্টিভাইরাসের নাম তুলে ধরেছি। আপনার পছন্দ অনুযায়ী এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
শেষ কথা
অটো ভাইরাস কাটার সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনারা ইতিমধ্যেই সকল এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলোর নাম জেনে গেছেন। বেশ কিছু ফ্রি এন্টিভাইরাস সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি, যেগুলো ফ্রিতে ব্যবহার করে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
এন্টিভাইরাস কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিয়েছি, যদি আর্টিকেলটি ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে অবশ্যই সকল তথ্যগুলো জানতে পারবেন। বন্ধুরা আপনারা কি এন্টিভাইরাস সম্পর্কে অবগত হয়েছেন, যদি না হয়ে থাকেন তাহলে পুনরায় আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়তে পারেন।