দুবাই যেতে কত টাকা লাগে অনেকেই এই সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন, বিশেষ করে যারা দুবাই শহরে যেতে চান তারা প্রায় এই প্রশ্নটি করে থাকেন। এজন্য আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে দুবাই ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ ও দুবাই যেতে কত টাকা লাগে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
দুবাই যেতে কত খরচ হয় এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, তাই আমরা আজকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে , দুবাই ভিসা খরচ , দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য গুলো আলোচনা করব।
দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ের বিভিন্ন ভিসাতে যাওয়া যায়। প্রায় অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে যে ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে পারবেন। দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা , দুবাই ভিজিট ভিসা , স্টুডেন্ট ভিসা , দুবাই কোম্পানি ভিসা ইত্যাদি সহ আরো অনেক ভিসা নিয়ে দুবাই শহরে যাওয়া যাবে।
ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে খরচ নির্ভর করে। দুবাই যেতে কত টাকা লাগে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে ভিসা ক্যাটাগরির উপর। এছাড়াও এজেন্সি অনুযায়ী খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। কারণ এজেন্সিরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের খরচ নিয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবের কোম্পানির নাম
আরো পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট খুললে কত টাকা বোনাস পাওয়া যায়
বর্তমান সময়ে দুবাই যেতে সকল খরচ সহ আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে সরকারিভাবে গেলে কিছুটা কম খরচ হতে পারে। সরকারি ভাবে গেলে সর্বনিম্ন ৮ লক্ষ টাকা বা তার কিছু কম খরচ করে দুবাই শহরে যেতে পারবেন।
দুবাই ভিসার দাম কত এই সম্পর্কে কেউ আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন না, এক্ষেত্রে আপনি দুবাই প্রবাসীর কাছ থেকে সঠিক তথ্যটি জেনে নিতে পারেন। তবুও আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে বিষয়টি সম্পর্কে আনুমানিক ধারণা দিয়ে দিয়েছি।
দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত
দুবাই শহর বর্তমানে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। প্রতি বছরই হাজার হাজার মানুষ দুবাই শহরে ভিজিট করার জন্য এসে থাকে। দুবাই শহরে ভ্রমণ করার জন্য যেতে হলে অবশ্যই টুরিস্ট ভিসা নিতে হবে। আর এক্ষেত্রে ডুবাই টুরিস্ট ভিসা দাম কত সম্পর্কে জানতে হবে।
আপনি ভিসা দুইভাবে আবেদন করতে পারবেন। সরাসরি নিজে অনলাইনের মাধ্যমে দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদন করতে পারবেন, এছাড়াও এজেন্সির মাধ্যমে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়া আবেদন করা যাবে। দুবাই টুরিস্ট ভিসা সাধারণত ১ থেকে ৩ মাস মেয়াদকাল হয়ে থাকে। তবে আপনি দুই মাসের মেয়াদকাল টুরিস্ট ভিসা আবেদন করে নিতে পারবেন।
এছাড়াও টুরিস্ট ভিসার দাম মূলত ভিসার মেয়াদকালের উপর নির্ভর করে থাকে। আপনার ভিসার মেয়াদকাল বেশি হলে ভিসা করতে খরচ বেশি হবে। বর্তমানে দুবাই টুরিস্ট ভিসা বা ভিজিট ভিসার দাম আনুমানিক ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা হলেই ভিজিট ভিসা পাওয়া যাবে।
দুবাই ভিসা কবে খুলবে ২০২৪
অনেকদিন ধরে দুবাই ভিসা বন্ধ ছিল, তবে বর্তমানে দুবাই ভিসা খোলা হয়েছে। অর্থাৎ এখন সকলে দুবাই ভিসা আবেদন করে দুবাই শহরে যেতে পারবে। আমরা এক সূত্রে জানতে পেরেছি বাংলাদেশে বর্তমানে দুবাই ভিসা চালু রয়েছে। ভিজিট ভিসা নিয়ে সহজেই দুবাইয়ে যাওয়া যাবে।
দুবাই ভিসা পাওয়ার জন্য সঠিকভাবে আবেদন করতে হবে। আপনি চাইলে এজেন্সির মাধ্যমে ঝামেলা ছাড়া আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও নিজে নিজে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। দুবাই ভিসা কবে খুলবে আশা করছি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বর্তমানে দুবাই ভিসা উন্মুক্ত রয়েছে।
দুবাই যেতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ
দুবাই ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট পরিবর্তন হয়ে থাকে। এজন্য আপনাদের দুবাই ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সমূহ সংগ্রহ করতে হবে। প্রথমে আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী দুবাই ভিসা সিলেক্ট করবেন। এরপর কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ না করলে ভিসা আবেদন করতে পারবেন না। যে যে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগে তা নিম্নে দেওয়া হলঃ
- বৈধ পাসপোর্ট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- কাজের দক্ষতার প্রমাণ পত্র
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- মেডিকেল হেলথ সনদপত্র
- পুলিশ ভেরিফিকেশন ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয় পত্রের রঙিন ফটোকপি
- কর্মস্থলের সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র
- অন্যান্য কাগজপত্র(ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী)
উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজগুলো আবেদন করার সময় প্রয়োজন হয়। আর কি কি প্রয়োজন এর ডকুমেন্ট লাগতে পারে সেগুলো ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী সংগ্রহ করতে হবে, সে সম্পর্কে আপনি ভিসা এজেন্সির কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন।
কত বছর বয়স হলে দুবাই শহরে যাওয়া যায়
দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে এই সম্পর্কে অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন, প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা এখন হাজির হয়েছি। দুবাই ভ্রমণের ক্ষেত্রে বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা নেই। ভ্রমণের ক্ষেত্রে যে কোন বয়সে যাওয়া যাবে।
তবে যাদের ১৮ বছরের কম তাদের অবশ্যই গার্জিয়ানদের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু স্টুডেন্টও অনেক পারমিট ভিসাতে দুবাই যেতে হলে বয়সের সীমাবদ্ধ রয়েছে। স্টুডেন্ট হয়ে থাকলে সর্বনিম্ন ১৮ বছর তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বয়স নির্ধারণ করে দিতে পারবে।
আর যদি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে বয়স সর্বনিম্ন ২২ বছর হতে হবে। ২২ বছর বয়স হলে দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে দুবাই শহরের কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন। কিন্তু ১৮ বছর হলেও বর্তমানে দুবাই ভিসা পাওয়া যায়।
দুবাই ফ্যামিলি ভিসার দাম কত
যারা দুবাই শহরে শহরের ফ্যামিলি নিয়ে জীবন যাপনের জন্য যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই দুবাই ফ্যামিলি ভিসা নিয়ে যেতে হবে। আর এক্ষেত্রে দুবাই ফ্যামিলি ভিসার দাম কত সেই সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। দুবাই ফ্যামিলি ভিসার খরচ সাধারণত ফ্যামিলির মেম্বারের উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে।
আপনার ফ্যামিলির মেম্বার যদি বেশি হয় তাহলে দুবাই ফ্যামিলি ভিসা করতে খরচ বেশি হবে। সাধারণত দুবাই ফ্যামিলি ভিসা করতে আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগে। তবে বিভিন্ন ভিসা এজেন্সি অনুযায়ী ভিসা খরচ কম বেশি হতে পারে।
দুবাই স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত
বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দুবাই শহরে যেতে পারবে। উচ্চতার পড়াশোনা ও ডিগ্রী অর্জনের জন্য অনেকেই বর্তমানে দুবাই শহরে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গিয়ে থাকে। তাছাড়াও স্কলারশিপ এর মাধ্যমেই ফ্রিতেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দুবাই শহরে যাওয়া যায়।
বর্তমানে দুবাই স্টুডেন্ট ভিসার দাম আনুমানিক ১ লক্ষ 50 হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে পারবেন। সরকারি ভাবে গেলে ফ্রিতেই স্কলারশিপ নিয়ে দুবাই যাওয়া যাবে।
দুবাই কোম্পানি ভিসার দাম
দুবাই কোম্পানিতে গিয়ে ভালো মানের বেতনের চাকরি করতে হলে অবশ্যই দুবাই কোম্পানি ভিসা আবেদন করে দুবাই যেতে হবে। দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন কত এ সম্পর্কে অনেকেই জানে না তাই আমরা এখন দুবাই কোম্পানির ভিসা বেতন কত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। দুবাই কোম্পানি ভিসা নিয়ে গেলে কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাবেন।
বিশেষ করে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও বেশি বেতন সহ অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। দুবাই কোম্পানি ভিসার দাম আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা হলেই দুবাই কোম্পানি ভিসা আবেদন করে দুবাই যাওয়া যাবে। যারা কোম্পানিতে জব করতে চান তারা এই ভিসা আবেদন করে দুবাই যাবেন এতে করে অনেক সুবিধা পাবেন।
লেখকের শেষ কথা
আর্টিকেলটির মাধ্যমে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে ও দুবাই স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। আমরা আরো বিভিন্ন ধরনের ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী আনুমানিক দাম জানানোর চেষ্টা করেছি। যারা দুবাই শহরে যেতে চান তারা অবশ্যই অরজিনাল ভিসা নিয়ে যাবেন এতে করে ভালো ধরনের সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন।
ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে ভিজিট ভিসা আবেদন করবেন, আর কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা আছে, তাছাড়াও স্কলার্শিপ এর মাধ্যমে ফ্রিতে দুবাইয়ের শিক্ষার্থীরা যেতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা ও থাকতে হবে। দুবাই শহরে কিভাবে যেতে পারেন এবং দুবাই ভিসার দাম কত সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।