উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় করা যায় কিনা এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন। এজন্য আমরা আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় করার উপায় ও ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব। যারা ৫০০০ টাকায় উৎপাদনমুখী ব্যবসা করতে চান তারা অবশ্যই পোস্টটি ভালো করে পড়বেন। মূলত ৫০০০ টাকায় কি কি উৎপাদন মুখী ব্যবসা করা যায় সেই সম্পর্কেই আলোচনা করা হবে।
আপনি কম পুজিতেই মাত্র ৫০০০ টাকায় উৎপাদন মুক্তি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। তবে আপনাদের অবশ্যই উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় সম্পর্কে জানতে হবে। যার জন্য আমরা পুরো পোস্টটিতে উৎপাদন মুখী ব্যবসার আইডিয়াগুলো সম্পর্কে তুলে ধরবো। তবে চলুন উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকা | উৎপাদনমুখী ব্যবসা কি
মূলত ব্যবসায় পণ্য উৎপাদন করাকেই উৎপাদন মুখী ব্যবসা বলা হয়ে থাকে। উৎপাদন মুখী ব্যবসায় পণ্য উৎপাদন , পন্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংযোজন করা হয়। আরেকভাবে বলা যায় পরিশ্রম ও যন্ত্রের মাধ্যমে কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাতকরণ করে পণ্যের রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে উৎপাদন মুখী ব্যবসা বলে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় চানাচুর, ধরুন আপনি ঘরে বসেই বা ছোট ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন যন্ত্র ও পরিশ্রম দিয়ে নিজেই চানাচুর তৈরি করলেন। আর এই চানাচুর প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বাজারে বিক্রয়ের জন্য পাঠালেন,
আর এটিকেই উৎপাদন মুখী ব্যবসা বলা হয়ে থাকে। যারা মূলত উৎপাদন মুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় শুরু করতে চান তারা অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকবেন। কারণ আমরা পোস্টটিতে এমন কিছু উৎপাদন মুখী ব্যবসা সম্পর্কে তুলে ধরব যেটি আপনি জেনে অবশ্যই ভালো একটি উৎপাদন মুখী ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন। নিম্নে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় শুরু করার নিয়ম ও উপায় গুলো তুলে ধরা হলো।
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
যাদের ব্যবসা করার পুঁজি কম রয়েছে তারা চাইলে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে 10000 টাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করা যায়। এমন অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেই ভালো লাভজনক ব্যবসা করা যায়। তবে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে হয়তো প্রথম দিকে আপনার লাভ কম হবে।
কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধি বাড়ালে বেশি লাভ করতে পারবেন। ১০০০০ টাকা দিয়েও ভালো ধরনের ব্যবসা করা যায়, যার ফলে আপনি ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন। নিম্নে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া গুলো তুলে ধরা হলোঃ
- হ্যান্ডমেট জুয়েলারি ব্যবসা
- মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা
- ঝাল মুড়ি ও চানাচুরের দোকান
- চায়ের দোকান
- সিজনাল ফলের ব্যবসা
- নার্সারি চারা বিক্রয় ব্যবসা
- সবুজ শাকসবজি ও কাঁচামালের ব্যবসা
- ফুলের দোকানের ব্যবসা
- অনলাইনে বাংলা বই বিক্রি
- অনলাইন শিক্ষকতা
- দর্জির দোকান
- মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান
- মোবাইল রিচার্জের দোকান
- মেকআপ আর্টিস্ট
- ডে কেয়ার সেন্টার
- লন্ড্রি ও ক্লিনিং সার্ভিস
- ফাস্ট ফুডের দোকান
- পুরনো বইয়ের ব্যবসা
- কাস্টমাইজড জুয়েলারি
- ফ্রিল্যান্স কন্টেণ্ট রাইটিং
- হোমমেড ফুড ডেলিভারি
- অনলাইন গিফট শপ
- ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা
- মধুর ব্যবসা
- ফলের জুস ও শরবতের ব্যবসা
উপরে উল্লেখিত ২৫টি ব্যবসা আপনি সহজেই ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন। অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো দুই হাজার টাকা দিয়েও শুরু করা যায়। আশা করি ১০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায়
প্রায় ১০০ টিরও বেশি উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় শুরু করতে পারবেন। উৎপাদন মুখী ব্যবসা করলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়। তাই আপনি চাইলে কম পুঁজিতেই অল্প টাকায় উৎপাদন মুখী ব্যবসা শুরু করতে পারেন। উৎপাদন মুখী ব্যবসার কাজ হল নিজেই পণ্য তৈরি করে ব্যবহার উপযোগী করতে হয়। তবে অবশ্যই উৎপাদন মুখী ব্যবসায়ী পণ্যের কোয়ালিটি ও গুণগতমান ভালো হতে হবে।
উৎপাদন মুখী ব্যবসা আপনি অল্প ঢাকাতেই শুরু করতে পারবেন, এখানে বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না। আপনি কম খরচেই একটি উৎপাদন মুখী ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। চলুন নিম্নে বেশ কিছু জনপ্রিয় উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় শুরু করা যায় তার তালিকা তুলে ধরা হলোঃ
- মুরগির খামার
- হাতের তৈরি মাদুর ব্যবসা
- সেন্ডেল তৈরির কারখানা
- শসার চাষাবাদ
- কাস্টমাইজ মগ
- কোয়েল পাখির খামার
- মাছ উৎপাদন ব্যবসা
- হাতে তৈরি জুয়েলারি
- ডিটারজেন্ট তৈরির ব্যবসা
- চানাচুর তৈরির ব্যবসা
- দুধ উৎপাদন ব্যবসা
- মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ
- মাটির জিনিসপত্র তৈরি
- মাটির হাড়ি পাতিল তৈরি ব্যবসা
- আচার তৈরির ব্যবসা
আপনি চাইলে উপরোক্ত উৎপাদনমুখী ব্যবসা গুলো ৫০০০ টাকায় শুরু করতে পারেন। তবে আপনাদের এই ব্যবসা গুলো সম্পর্কে অবশ্যই বিস্তারিত কিছু তথ্য জানতে হবে। চলুন নিচে ব্যবসা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নেওয়া যাক।
মুরগির খামার ৫০০০ টাকায় শুরু করুন
আপনি স্বল্প খরচে ৫০০০ টাকার মধ্যেই মুরগির খামার গড়ে তুলে উৎপাদনমুখী ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর যদি খামার স্থাপন না করতে পারেন তাহলে বাড়ির আশেপাশে আঙিনায় অথবা বারান্দায়, বাড়ির রুমে মুরগির বাসস্থান তৈরি করতে পারেন। এরপর আপনি মুরগির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও পানির ব্যবস্থা করবেন। তারপর স্বল্প খরচে ২০০ থেকে ৩০০ টি মুরগির বাচ্চা কিনে কয়েক মাস লালন পালন করে অল্প দিনেই বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্যই মুরগির বাসস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। এভাবেই ৫০০০ টাকায় উৎপাদন মুখী মুরগীর খামার ব্যবসা শুরু করা যায়।
হাতের তৈরি মাদুর ব্যবসা
আপনি চাইলে নিজেই বাসা বাড়িতে হাতে তৈরি মাদুর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কম পুজিতেই মাত্র ৫ হাজার টাকাতেই আপনি মাদর তৈরির ব্যবসা করতে পারবেন। সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে মাদুর বিক্রি হয়ে থাকে, আর এছাড়াও মাদুর নামাজ পড়ার জন্য , বসার জন্য , বিশ্রামের জন্য অতি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। এজন্য মাদুর ব্যবসাটি করে আপনি লাভবান হতে পারবেন। আপনি নিজের হাতেই বাসা বাড়িতে অথবা ছোট দোকান ভাড়া নিয়ে মাদুর তৈরির ব্যবসা করতে পারেন। হাতে তৈরি মাদুর ব্যবসা উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় করতে পারবেন।
সেন্ডেল তৈরির কারখানা করুন
বর্তমানে সকলে আমরা কমবেশি কম দামে স্যান্ডেল কিনতে চেয়ে থাকি। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসেই স্যান্ডেল তৈরির সরঞ্জাম কিনে স্যান্ডেল তৈরির কারখানা খুলতে পারেন। মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়েই স্যান্ডেল তৈরির উপকরণগুলো কিনে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। উৎপাদন মুখী ব্যবসা হিসেবে এটি খুবই লাভজনক। বর্তমানে সাধারণ স্যান্ডেল গুলো জোড়া ৮০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম করুন নতুন উপায়।
তাহলে বুঝতে পারছেন আপনি মাত্র ৫০ টাকা খরচ করে স্যান্ডেল তৈরি করে বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পাইকারি বিক্রি করতে পারবেন। স্যান্ডেল তৈরি ব্যবসা করার জন্য ঘর অথবা দোকান ভাড়া নিবেন। আর অবশ্যই উপকরণগুলো পাইকারি দামে কিনবেন, কারণ পাইকারি দামে কিছুটা কম দামে উপকরণ পাওয়া যাবে।
উৎপাদন মুখী সহ শসার চাষ করুন
আপনি কম সময়ে স্বল্প খরচে শসার ব্যবসা করতে পারেন। নিজের জমিতে বা জমি ভাড়া নিয়ে শসা চাষাবাদ শুরু করতে পারেন। উৎপা।।মুখী ব্যবসায়ী শসা চাষ করে খুব সহজেই কম সময়ে লাভবান হওয়া যায়। আমাদের দেশে প্রায় সবসময় শসার দাম বেশি হয়ে থাকে, বিশেষ করে রমজান মাসে শসা দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত হয়।
আপনি চাইলে নিজের জমিতে কম জায়গাতেই শসা চাষাবাদ করতে পারেন। মাত্র 5% জমিতেই শসার চাষাবাদ শুরু করা যায়, এতে আপনার আনুমানিক ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা খরচ হতে পারে। আর আপনি এভাবেই শসা চাষাবাদ করে ১৫০০০ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। তাহলে বুঝতে পারছেন উৎপাদন মুখী ব্যবসা হিসেবে শশা চাষ খুবই লাভজনক।
কাস্টমাইজ মগ তৈরি করুন
বাসা বাড়িতে সাধারণ মগ কিনে এনে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করার মাধ্যমে কাস্টমাইজ মগ তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে এই ব্যবসাটি অনলাইনে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে । অনেকেই প্রিয়জনকে গিফট করার জন্য কাস্টমাইজ মগ কিনে থাকে। আপনি চাইলে অনলাইনে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
কাস্টমাইজ মগ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে ব্যবসা শুরু করুন। আপনি এই ব্যবসাটি পাঁচ হাজার টাকাতেই শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি অনলাইনে কাস্টমাইজ মগ তৈরির অর্ডার পর্যন্ত নিতে পারেন। এতে করে আপনি কম সময়ে ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন।
কোয়েল পাখির খামার
বর্তমানে কোয়েল পাখি সহ কোয়েল পাখির ডিমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যার কারণে আপনি কোয়েল পাখির খামার এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় আপনি কোয়েল পাখির খামার গড়ে তুলতে পারেন। খুব কম সময়ে কোয়েল পাখির খামার দিয়ে লাভবান হওয়া যায়। আপনি একটি কোয়েল পাখির ঘর তৈরি করবেন এবং সেখানে কয়েকশ কোয়েল পাখির বাচ্চা রাখবেন। আপনি কম খরচেই ২০০০ টাকায় ১০০ টি কোয়েল পাখি কিনতে পারবেন।
এভাবে কোয়েল পাখি একমাস লালন পালন করুন দেখবেন অনেকটা বড় হয়ে যাবে। এখন আপনি প্রতি পিস কোয়েল পাখি ৫০ টাকা করে বিক্রি করতে পারবেন। আর কোয়েল পাখি ডিম গুলো পাঁচ থেকে দশ টাকা পিস বিক্রি করা যাবে। তাহলে বুঝতে পারছেন কম খরচে কম সময়ে এটি সবচেয়ে লাভজনক উৎপাদনমুখী ব্যবসা।
মাছ উৎপাদন ব্যবসা
উৎপাদনমুখী ব্যবসা হিসেবে আপনি মাছ উৎপাদন ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে উৎপাদনমুখী ব্যবসার মধ্যে মাছ উৎপাদন অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। বিশেষ করে যারা গ্রামে রয়েছেন তারা এই ব্যবসাটি করে খুবই লাভবান হতে পারবেন। গ্রামে আপনার নিজস্ব পুকুর থাকলে সেখানে মাস উৎপাদন ব্যবসা করতে পারেন।
2000 টাকা দিয়ে কয়েকশো বিভিন্ন মাছের পোনা সংগ্রহ করে পুকুরে ছাড়বেন। এরপরে মাছের জন্য কিছু টাকা দিয়ে খাবার সংগ্রহ করবেন। এভাবে আপনি পুকুরে এক মাসে মাছ চাষ করে বিক্রি করতে পারবেন। তাহলে বুঝতে পারছেন উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় মাছ ব্যবসা শুরু করা যায়।
হাতে তৈরি জুয়েলারি ব্যবসা করুন
আপনি নিজেই জুয়েলারি হাতে তৈরি করে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারবেন। বর্তমানে কাস্টমাইজ জুয়েলারি প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে নাটক ও সিনেমায় এ ধরনের জুয়েলারি দরকার হয়ে থাকে। এছাড়া অনেকেই সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের কাস্টমার জুয়েলারি কিনে থাকে। এজন্য আপনি তাদের চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন ইউনিক ডিজাইনের কাস্টমাইজ ইমিটেশন জুয়েলারি তৈরি করতে পারেন। নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে জুয়েলারি ডিজাইন করুন এবং বিক্রয় করুন।
ডিটারজেন্ট তৈরির ব্যবসা
ঘরে বসে আপনি কিছু টাকা খরচ করে ডিটারজেন্ট বানানোর মেশিন কিনে ডিটারজেন্ট তৈরির ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে উৎপাদন মুখী ব্যবসা হিসাবে এটি অল্প টাকা দিয়ে শুরু করা যায়। ডিটারজেন্ট তৈরির উপকরণগুলো কিনে এনে ঘরে বসে ডিটারজেন্ট তৈরি করে প্যাকেট জাত করুন। এরপর ডিটারজেন্টকে বাজারে সাপ্লাই দেয়ার জন্য সেলস মার্কেটিং করুন। প্রথম থেকে আপনি নিজেই সেলস মার্কেটিং করবেন, এতে করে আপনার খরচ কম হবে। পরবর্তীতে ব্যবসা বড় হয়ে গেলে সেলস মার্কেটিং করার জন্য লোক নিয়োগ দিতে পারেন।
চানাচুর তৈরির ব্যবসা করুন
বাড়িতে আপনি চানাচুর তৈরির উপকরণ কিনে এনে চানাচুর তৈরি করতে পারবেন। আর এই চানাচুর আপনি বাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে মুখরোচক ঝাল যুক্ত খাবার হিসেবে চানাচুরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনার চানাচুরের যত বেশি কোয়ালিটি ভালো হবে তত বেশি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে এবং বিক্রয় অনেকটা বেড়ে যাবে। এজন্য ভালো কোয়ালিটির চানাচুর তৈরি করুন এবং সেটি বাড়িতেই প্যাকেট করে বাজারে বিক্রি করার চেষ্টা করুন। আপনি শুধু মাত্র ৫ হাজার টাকাতেই উৎপাদনমুখী ব্যবসা হিসেবে চানাচুর ব্যবসা করতে পারেন। মূলত কম পুজিতেই চানাচুর তৈরীর ব্যবসা করা যায়।
দুধ উৎপাদন ব্যবসা
আপনি সরাসরি ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছাগল বা বড় গরু কিনে দুধ উৎপাদন ব্যবসা করতে পারবেন না, তবে আপনি চাইলে বাচ্চা ছাগল বা বাচ্চা গরু কিনে লালন পালন করে বড় করে দুধ উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সারা বছর কম-বেশি দুধের চাহিদা থেকেই থাকে। এজন্য আপনি ছোট বাছুর অথবা বাচ্চা ছাগল ৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে লালন পালন করে বড় করে দুধ উৎপাদন করতে পারবেন। তবে বড় পরিসরে দুধ উৎপাদন ব্যবসা করতে হলে অনেক বেশি পুজি দরকার হবে।
মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ
বর্তমানে সারা বছর মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা রয়েছে। এজন্য আপনি নিজেই মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ করে বিক্রয় করতে পারেন। মূলত আপনি যদি কৃষি কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে নিজের ছোট জমিতেই দুই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ করে মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে আপনি এই মিষ্টি কুমড়া গুলো বাজারে কমপক্ষে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কাজ না করে বিকাশে প্রতিদিন পেমেন্ট নিন
এছাড়াও ৫০০০ টাকা দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার ব্যবসা শুরু করলে পরবর্তীতে মিষ্টি কুমড়া বড় হলে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকাতে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। তাহলে বুঝতে পারছেন মিষ্টি কুমড়ার ব্যবসা কতটা লাভজনক। মাত্র ৫ হাজার টাকার মিষ্টি কুমড়ার ব্যবসা শুরু করলে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করা যায়।
মাটির জিনিসপত্র তৈরি
গ্রামাঞ্চল সহ শহর অঞ্চলে ও মাটির তৈরি জিনিসের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাটির তৈরি ব্যাংক ও হাড়ি পাতিলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এজন্য আপনি মাটির তৈরি সরঞ্জাম জিনিসপত্র তৈরি করে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও মাটির তৈরি ফুলের টব তৈরি করতে পারেন। এতে প্রচুর লাভবান হওয়া যায়। কারণ অনেকেই বাসা বাড়ির জন্য মাটির তৈরি ফুলের টব কিনে থাকে। আর বর্তমানে একটি মাটির তৈরি ফুলের টবের দাম আনুমানিক আকার অনুযায়ী ৫০ থেকে ১৫০ টাকা হয়ে থাকে। এই ব্যবসাটি করে কম সময়ে আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন।
মাটির হাড়ি পাতিল তৈরি ব্যবসা
আপনি যদি মাটির হাড়ি পাতিল তৈরিতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই ৫ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বিশেষ করে আপনি মাটির তৈরি হাড়ি পাতিল তৈরি করে ভালো একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। কম বাজেটে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়, আপনি মাটির তৈরি হাড়ি পাতিল তৈরি করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও শোপিস তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের প্রথম চাহিদা রয়েছে বাজারে। যার কারণে আপনি এই ব্যবসাটি করে আর্থিকভাবে সফল হতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন অবশ্যই আপনার মাটি তৈরি হাড়ি পাতিল বা মাটির জিনিসপত্র তৌরির দক্ষতা থাকতে হবে।
উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় আচার তৈরি
সামান্য কিছু বুঝিনি আপনি ঘরে বসে আচার তৈরি করতে পারবেন। বর্তমানে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের আচার এর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে চালতার আচার , বরই আচার , কুমড়া আচার , আমের আচার , রসুনের আচার , তেতুলের আচার , আমলকির আচার ইত্যাদি চাহিদা রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আচার খেতে পছন্দ করে থাকে।
এজন্য আপনি কিছু টাকা খরচ করেই আচার তৈরি সরঞ্জাম কিনে ঘরে বসেই আচার তৈরি করতে পারেন। আর সেই গাছের আপনি প্যাকেটজাত করে দোকানে সাপ্লাই দিয়ে বিক্রয় করতে পারবেন। মূলত আপনার যদি আচার তৈরিতে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আপনি আচার তৈরি করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আমরা আজকের পুরো পোস্টটিতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় করার ১০টি উপায় ও ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পেরেছি। আপনি এখন এই ব্যবসার উপায়গুলো জেনে নিজের পছন্দমত ব্যবসা সিলেক্ট করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অবশ্যই আপনি যেই ব্যবসাটি করতে পারবেন সেই ব্যবসাটি শুরু করবেন তাহলেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। বর্তমানে ব্যবসা করে অনেকেই কোটিপতি হয়ে হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনিও চাইলে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় করেই ধীরে ধীরে কোটিপতি হতে পারেন। আজে এ পর্যন্ত শেষ করছি, দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে অনলাইন ইনকাম ও ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে।